৫২৯৭

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - তাওয়াক্কুল (আল্লাহর ওপর ভরসা) ও সবর (ধৈর্যধারণ) প্রসঙ্গে

৫২৯৭-[৩] সুহায়ব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: ঈমানদারের ব্যাপারটাই অদ্ভূত। বস্তুত ঈমানদারের প্রতিটি কাজই তার জন্য কল্যাণকর। আর এটা একমাত্র মু’মিনদেরই বৈশিষ্ট্য। তার সচ্ছলতা অর্জিত হলে সে শোকর করে, এটা তার জন্য কল্যাণকর। তার ওপর কোন বিপদ আসলে সে ধৈর্য ধরে, এটাও তার জন্য কল্যাণকর। (মুসলিম)

الفصل الاول (بَاب التَّوَكُّل وَالصَّبْر)

وَعَنْ صُهَيْبٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم «عجبا لأمر الْمُؤمن كُله خَيْرٌ وَلَيْسَ ذَلِكَ لِأَحَدٍ إِلَّا لِلْمُؤْمِنِ إِنْ أَصَابَتْهُ سَرَّاءُ شَكَرَ فَكَانَ خَيْرًا لَهُ وَإِنْ أَصَابَتْهُ ضَرَّاءُ صَبَرَ فَكَانَ خَيْرًا لَهُ» رَوَاهُ مُسلم رواہ مسلم (64 / 2999)، (7500) ۔ (صَحِيح)

ব্যাখ্যা: (عجبا لأمر الْمُؤمن) ঈমানদারদের ব্যাপারটাই অদ্ভূত। অর্থাৎ সর্বদা তার জান ও মালের কল্যাণকর অবস্থার জন্য। তার সকল অবস্থায় কল্যাণ রয়েছে আর এটা মু'মিন ছাড়া অন্য কারো জন্য নেই।
(إِنْ أَصَابَتْهُ سَرَّاءُ شَكَرَ) যদি তার ওপর কোন কল্যাণ আসে তথা নি'আমত ও জীবিকার প্রাচুর্যতা, স্বচ্ছলতা এবং কল্যাণকর কাজের সে যখন তাওফীক পায় তখন সে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা আদায় করে যা তার জন্য কল্যাণকর।
(وَإِنْ أَصَابَتْهُ ضَرَّاءُ صَبَرَ) আর যদি তার কোন অকল্যাণ হয় তখনও ধৈর্যধারণ করে। দরিদ্রতা অসুস্থতা, দুঃখ, কষ্ট, বিপদাপদ ইত্যাদিতে পতিত হয় তখনও ধৈর্যধারণ করে আর তা তার জন্য কল্যাণকর হয়।

অতএব এ হাদীস থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে, এ কথা সর্বদা সঠিক নয়ঃ (أَنَّ الْفَقِيرَ الصابِرَ أَفْضَلُ مِنَ الْغَنِيِّ الشَّا كِرِ) নিশ্চয় ধৈর্যধারণকারী দরিদ্র, কৃতজ্ঞ ধনী ব্যক্তি থেকে উত্তম। বরং এ কথাটি সময়ের ভিন্নতা ও ব্যক্তির অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যক্তির অবস্থার উপর ছেড়ে দেয়াই উত্তম। যেহেতু আল্লাহ তা'আলা বলেন, (وَ اللّٰهُ یَعۡلَمُ وَ اَنۡتُمۡ لَا تَعۡلَمُوۡنَ) “আল্লাহই ভালো জানেন, তোমরা জান না”- (সূরা আল বাক্বারাহ ২: ২১৬)। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)