৫১৭৬

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

৫১৭৬-[২২] উক্ত রাবী [আবু হুরায়রাহ্ (রা.)] হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: সাবধান! নিশ্চয় দুনিয়া অভিশপ্ত, তন্মধ্যে আল্লাহর যিক্র ও আল্লাহ যা কিছু ভালোবাসেন এবং জ্ঞানী ও জ্ঞান অনুসন্ধানকারী ব্যতীত সব কিছুই অভিশপ্ত। (তিরমিযী ও ইবনু মাজাহ)।

اَلْفصْلُ الثَّنِفْ

وَعَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «أَلَا إِنَّ الدُّنْيَا مَلْعُونَةٌ مَلْعُونٌ مَا فِيهَا إِلا ذكرُ الله وَمَا وَالَاهُ وَعَالِمٌ أَوْ مُتَعَلِّمٌ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ اسنادہ حسن ، رواہ الترمذی (2322 وقال : حسن غریب) و ابن ماجہ (4112) ۔ (حسن)

ব্যাখ্যা : (إِنَّ الدُّنْيَا مَلْعُونَةٌ) অর্থাৎ দুনিয়া তার অধিবাসীকে আল্লাহ থেকে বিমুখ করে রাখে বলে তাকে অভিশপ্ত বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। (مَلْعُونٌ مَا فِيهَا) অর্থাৎ যারা আল্লাহর যিক্র থেকে বিমুখ তারাও অভিশপ্ত। 

(وَمَا وَالَاهُ) অর্থাৎ- সৎ কাজ করার জন্য তাকে আল্লাহ ভালোবাসেন। যে ব্যক্তি আল্লাহর আদেশ মান্য করে, নিষেধ বর্জন করে এবং তার যিক্রে মত্ত থাকে সে অভিশপ্ত নয়। আল্লামাহ্ মুযহির (রহিমাহুল্লাহ) বলেন : এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, দুনিয়ায় আল্লাহ তা'আলা যে সমস্ত কার্যকলাপ পছন্দ করেন সেগুলো উদ্দেশ্য। 

 ‘আল্লামাহ্ মানাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন : (مَلْعُونَةٌ) শব্দের অর্থ হলো (مروكة) অর্থাৎ বর্জনীয়। তিনি বলেন : দুনিয়াকে অভিশপ্ত বলে আখ্যায়িত করার কারণ হলো, সে মানুষকে আল্লাহর ইবাদত থেকে বিমুখ করে প্রবৃত্তির অনুসরণে মত্ত রাখে। (তুহফাতুল আহওয়াযী ৬ষ্ঠ খণ্ড, হা. ২৩২২; মিরক্বাতুল মাফতীহ)