২১৯৫

পরিচ্ছেদঃ ১৩. স্বপ্নে জামা, কূপ, দুধ, মধূ, ঘি, খেজুর ও অন্যান্য জিনিস দেখা

২১৯৫. ইবনু ’আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক লোক রাসূলূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সাহাবীগণকে বলতেন: “তোমাদের মধ্যে কেউ কোনো স্বপ্ন দেখলে সে যেন তা আমার নিকট বর্ণনা করে যাতে আমি তাকে এর ব্যাখ্যা বলে দিতে পারি।”

তিনি (ইবনু আব্বাস) বলেন, এরপর একজন লোক এসে বলল, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমি (স্বপ্নে) আসমান ও যমীনের মাঝে একখন্ড মেঘ দেখলাম, যা থেকে মধু ও ঘি ফোঁটায় ফোঁটায় ঝরছে। আমি আরও দেখলাম, একটা রশি যমীন থেকে আসমান পর্যন্ত মিলে রয়েছে। আমি লোকদেরকে দেখলাম তারা তা থেকে তুলে নিচ্ছে। কেউ অধিক পরিমাণ আবার কেউ কম পরিমাণ। আমি দেখলাম আপনি তা ধরে উপরে উঠছেন। আর আল্লাহ আপনাকে উপরে উঠিয়ে নিলেন। তারপর অন্য এক লোক তা ধরল ও এর সাহায্যে উপরে উঠে গেল। ফলে আল্লাহ তাঁকে উপরে উঠিয়ে নিলেন। আর এরপর আরেক লোক তা ধরে এর দ্বারা উপরে উঠে গেল। ফলে আল্লাহ তাঁকে উপরে উঠিয়ে নিলেন। এরপর আরেক লোক তা ধরল। কিন্তু তা ছিঁড়ে গেল। পুনরায় তা জোড়া লাগানো হলে তা জোড়া লেগে গেল। তখন আবূ বকর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি অবশ্যই আমাকে এ স্বপ্নের ব্যাখ্যা দেয়ার অনুমতি দিবেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ “তুমি এর ব্যাখ্যা দাও।” আর তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পরে লোকদেরকে স্বপ্নের ব্যাখ্যা দিতেন।

আবূ বকর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বললেন, মেঘের ব্যাখ্যা হল ইসলাম। আর তার থেকে যে ঘি ও মধু ঝরছে তা হল কুরআন। (তাতে রয়েছে) মধুর মিষ্টতা ও ঘিয়ের কোমলতা। আর যার তা (মধূ ও ঘি) সংগ্রহ করছিল, কেউ বেশি সংগ্রহ করছে, আর কেউ কম- তারা হলো কুরআন বহনকারী। আসমান থেকে যমীন পর্যন্ত ঝুলন্ত দড়িটি হচ্ছে ঐ হক (মহাসত্য) যার উপর আপনি প্রতিষ্ঠিত রয়েছেন। আপনি তা ধরবেন, আর আল্লাহ্ আপনাকে এর মাধ্যমে সুউচ্চে উঠাবেন। আপনার পরে আরেকজন তা ধরবে। ফলে এর দ্বারা সেও উচ্চে উঠবে। অতঃপর আরেকজন তা ধরে এর মাধ্যমে সে উচ্চে উঠবে। এরপর আকেরজন তা ধরবে। কিন্তু তা ছিঁড়ে যাবে। পুনরায় তা জোড়া লেগে যাবে, ফলে সে এর দ্বারা উচ্চে উঠবে। হে আল্লাহর রাসূল। আমাকে বলুন, আমি ঠিক বলেছি, না ভুল? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ “কিছু ঠিক বলেছ। আর কিছু ভুল বলেছ।” তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহর কসম! আপনি অবশ্যই আমাকে বলে দিবেন যা আমি ভুল করেছি। কিন্তু তিনি তা বলতে অস্বীকার করলেন।[1]

بَاب فِي الْقُمُصِ وَالْبِئْرِ وَاللَّبَنِ وَالْعَسَلِ وَالسَّمْنِ وَالتَّمْرِ وَغَيْرِ ذَلِكَ فِي النَّوْمِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ هُوَ ابْنُ كَثِيرٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ مِمَّا يَقُولُ لِأَصْحَابِهِ مَنْ رَأَى مِنْكُمْ رُؤْيَا فَلْيَقُصَّهَا عَلَيَّ فَأَعْبُرَهَا لَهُ قَالَ فَجَاءَ رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ رَأَيْتُ ظُلَّةً بَيْنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ تَنْطِفُ عَسَلًا وَسَمْنًا وَرَأَيْتُ أُنَاسًا يَتَكَفَّفُونَ مِنْهَا فَمُسْتَكْثِرٌ وَمُسْتَقِلٌّ وَرَأَيْتُ سَبَبًا وَاصِلًا مِنْ السَّمَاءِ إِلَى الْأَرْضِ فَأَخَذْتَ بِهِ فَعَلَوْتَ فَأَعْلَاكَ اللَّهُ ثُمَّ أَخَذَ بِهِ الَّذِي بَعْدَكَ فَعَلَا فَأَعْلَاهُ اللَّهُ ثُمَّ أَخَذَهُ الَّذِي بَعْدَهُ فَعَلَا فَأَعْلَاهُ اللَّهُ ثُمَّ أَخَذَهُ الَّذِي بَعْدَهُ فَقُطِعَ بِهِ ثُمَّ وُصِلَ فَاتَّصَلَ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ يَا رَسُولَ اللَّهِ ائْذَنْ لِي فَأَعْبُرَهَا فَقَالَ اعْبُرْهَا وَكَانَ أَعْبَرَ النَّاسِ لِلرُّؤْيَا بَعْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ أَمَّا الظُّلَّةُ فَالْإِسْلَامُ وَأَمَّا الْعَسَلُ وَالسَّمْنُ فَالْقُرْآنُ حَلَاوَةُ الْعَسَلِ وَلِينُ السَّمْنِ وَأَمَّا الَّذِينَ يَتَكَفَّفُونَ مِنْهُ فَمُسْتَكْثِرٌ وَمُسْتَقِلٌّ فَهُمْ حَمَلَةُ الْقُرْآنِ فَقَالَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَصَبْتَ وَأَخْطَأْتَ فَقَالَ فَمَا الَّذِي أَصَبْتُ وَمَا الَّذِي أَخْطَأْتُ فَأَبَى أَنْ يُخْبِرَهُ