৯৬২

পরিচ্ছেদঃ ৯. নামাযের ওয়াক্তসমূহ এবং এ সম্পর্কিত হাদীস বর্ণনায় মতভেদ।

৯৬২(১). আবু বাকর আবদুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে যিয়াদ আন-নায়সাপুরী (রহঃ) ... ইবনে শিহাব (রহঃ) থেকে বর্ণিত। উমার ইবনে আবদুল আযীয (রহঃ) মিম্বারের উপর উপবিষ্ট ছিলেন। তিনি আসরের নামায পড়তে কিছুটা বিলম্ব করলেন। উরওয়া ইবনুয যুবাইর (রহঃ) বলেন, নিশ্চয়ই জিবরীল (আ.) মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে নামাযের ওয়াক্ত সম্পর্কে অবহিত করেছেন। উমার (রহঃ) তাকে বলেন, তুমি যা বলছে আমি তা জানি। উরওয়া (রহঃ) বলেন, আমি বশীর ইবনে আবু মাসউদ (রহঃ)-কে বলতে শুনেছি, আমি আবু মাসউদ আল-আনসারী (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, আমাকে জিবরীল (আ.) এসে নামাযের ওয়াক্ত সম্পর্কে অবহিত করলেন। আমি তার সঙ্গে নামায পড়েছি, তারপর তার সঙ্গে নামায পড়েছি, তারপর তার সঙ্গে নামায পড়েছি। (রাবী) নিজের আঙ্গুলের সাহায্যে গণনা করেন পাঁচ ওয়াক্ত নামায।

অতএব আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সূর্য (পশ্চিমাকাশে) ঢলে পড়ার পর যুহরের নামায পড়তে দেখেছি। তবে কখনো কখনো অধিক গরমের কারণে তিনি বিলম্বেও তা পড়েছেন। আর আমি তাঁকে আসরের নামায পড়তে দেখেছি সূর্য উর্ধ্বাকাশে আলোক উদ্ভাসিত অবস্থায় থাকতে এবং তাতে হলুদ বর্ণ ধারণ করার পূর্বে। অতঃপর কোন ব্যক্তি (নামাযশেষে) সূর্যাস্তের পূর্বে (ইচ্ছা করলে) যুল-হুলায়ফায় পৌছতে পারতো। তিনি সূর্য অস্ত গেলে পর মাগরিবের নামায পড়েন এবং এশার নামায পড়েন যখন পশ্চিম দিগন্ত কালো (অন্ধকার) হয়ে গেল। তিনি কখনো লোকসমাগমের অপেক্ষায় তা বিলম্ব করতেন। আর-রাবী (রহঃ) বলেন, আমার কিতাব থেকে হাত্তা (পর্যন্ত) শব্দটি বাদ পড়ে গিয়েছিল। তিনি একবার অন্ধকারের মধ্যে ফজরের নামায পড়েন, তারপর আরেকবার (অন্ধকার দূরীভূত হয়ে) ফর্সা হলে ফজরের নামায পড়েন। তারপর তিনি মৃত্যু পর্যন্ত অন্ধকার থাকতে ফজরের নামায পড়েছেন, অতঃপর কখনো ফর্সা হলে ফজরের নামায পড়েননি।

بَابُ ذِكْرِ بَيَانِ الْمَوَاقِيتِ وَاخْتِلَافِ الرِّوَايَاتِ فِي ذَلِكَ

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ زِيَادٍ النَّيْسَابُورِيُّ ، ثَنَا الرَّبِيعُ بْنُ سُلَيْمَانَ ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ ، أَخْبَرَنِي أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ ، أَنَّ ابْنَ شِهَابٍ أَخْبَرَهُ ؛ أَنَّ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - كَانَ قَاعِدًا عَلَى الْمِنْبَرِ ، فَأَخَّرَ صَلَاةَ الْعَصْرِ شَيْئًا ، فَقَالَ عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ : أَمَا إِنَّ جِبْرِيلَ - عَلَيْهِ السَّلَامُ - قَدْ أَخْبَرَ مُحَمَّدًا - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - بِوَقْتِ الصَّلَاةِ ، فَقَالَ لَهُ : عُمَرُ : اعْلَمْ مَا تَقُولُ . قَالَ عُرْوَةُ : سَمِعْتُ بَشِيرَ بْنَ أَبِي مَسْعُودٍ ، يَقُولُ : سَمِعْتُ أَبَا مَسْعُودٍ الْأَنْصَارِيَّ ، يَقُولُ : سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - يَقُولُ : " نَزَلَ جِبْرِيلُ - عَلَيْهِ السَّلَامُ - فَأَخْبَرَنِي بِوَقْتِ الصَّلَاةِ ، فَصَلَّيْتُ مَعَهُ ، ثُمَّ صَلَّيْتُ مَعَهُ ، ثُمَّ صَلَّيْتُ مَعَهُ " . يَحْسِبُ بِأَصَابِعِهِ خَمْسَ صَلَوَاتٍ فَرَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - يُصَلِّي الظُّهْرَ حِينَ تَزُولُ الشَّمْسُ ، وَرُبَّمَا أَخَّرَهَا حِينَ يَشْتَدُّ الْحَرُّ ، وَرَأَيْتُهُ يُصَلِّي الْعَصْرَ وَالشَّمْسُ مُرْتَفِعَةٌ بَيْضَاءُ قَبْلَ أَنْ تَدْخُلَهَا الصُّفْرَةُ ، فَيَنْصَرِفُ الرَّجُلُ مِنَ الصَّلَاةِ ، فَيَأْتِي ذَا الْحُلَيْفَةِ قَبْلَ غُرُوبِ الشَّمْسِ ، وَيُصَلِّي الْمَغْرِبَ حِينَ تَسْقُطُ الشَّمْسُ ، وَيُصَلِّي الْعِشَاءَ حِينَ يَسْوَدُّ الْأُفُقُ ، وَرُبَّمَا أَخَّرَهَا حَتَّى يَجْتَمِعَ النَّاسُ - قَالَ الرَّبِيعُ : سَقَطَ مِنْ كِتَابِي : " حَتَّى " فَقَطْ - وَصَلَّى الصُّبْحَ مَرَّةً بِغَلَسٍ ، ثُمَّ صَلَّى مَرَّةً أُخْرَى فَأَسْفَرَ ، ثُمَّ كَانَتْ صَلَاتُهُ بَعْدَ ذَلِكَ بِالْغَلَسِ حَتَّى مَاتَ ، ثُمَّ لَمْ يَعُدْ إِلَى أَنْ يُسْفِرَ


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ