৩৯২৯

পরিচ্ছেদঃ ২. ফসলের তৃতীয়াংশ বা চতুর্থাংশ দেয়ার শর্তে বর্গা দেয়া সম্পর্কে বিভিন্ন হাদীস এবং হাদীসের বর্ণনাকারীদের বর্ণনাগত পার্থক্য

৩৯২৯. হুসায়ন ইন মুহাম্মদ (রহঃ) ... উরওয়া ইবন যুবায়র (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যায়দ ইবন সাবিত (রাঃ) বলেছেনঃ আল্লাহ্ তা’আলা রাফে ইবন খাদীজা (রাঃ)-কে ক্ষমা করুন। আল্লাহর কসম! আমি এই হাদীস তার চাইতে অধিক জ্ঞাত। তা এই যে, দুই ব্যক্তির পরস্পর ঝগড়াকালে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমাদের অবস্থা যদি এই হয়, তাহলে তোমরা তোমাদের জমি কেরায়া দিও না। আর তিনি শুধু “কৃষি ভূমি কেরায়া দিও না” এতটুকুই শুনেছেন।

আবু আবদুর রহমান ইমাম নাসাঈ (রহঃ) বলেন, বর্গাচাষে বীজ এবং খরচ বহন করবে জমির মালিক আর যে চাষ করবে সে জমির উৎপন্ন দ্রব্যের এক-চতুর্থাংশ পাবে। এ মর্মে একটা চুক্তিপত্র থাকা চাই যা নিম্নরূপ হবেঃ

এটি একটি চুক্তিপত্র যা অমুকের পুত্র অমুকের নাতি অমুখ লিখেছেন। তিনি তা স্বজ্ঞানে ও সুস্থ অবস্থায় লিখেছেন। তিনি তা এমন অবস্থায় লিখেছেন, যে অবস্থায় তার সকল কারবার লেনদেন করা বৈধ ছিল। এতে রয়েছে, তুমি অর্থাৎ জমির মালিক, তোমার সমস্ত ভূমি যা অমুক পরগণার অমুক স্থানে অবস্থিত, তা আমাকে চাষ করার জন্য দিয়েছে। এই জমির নাম চিহ্ন এবং চতুর্সীমা, যার একদিক ঐ জমির সাথে এবং দ্বিতীয় এবং তৃতীয় এবং চতুর্থ সীমা এভাবে অমুক স্থানের সাথে মিলিত। তুমি এই তপসিলের জমি, এর সমস্ত হক, পানির অংশ নালা এবং নহরসহ আমাকে দিয়েছ। এই জমি এখন খালি, পরিষ্কার, এতে গাছ এবং শস্য নেই। পূর্ণ এক বছরের জন্য এটা দিয়েছ যা অমুক মাসের চাঁদ দেখার সাথে সাথে শুরু হয়ে অমুক বছরের অমুক মাসের শেষ দিন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এই শর্তে যে, আমি উপরোক্ত তপসিলের জমিতে যখনই ইচ্ছা করবো এবং যা ইচ্ছা চাষ করতে পারবাে। যেমন গম ও যব অথবা ধান-তুলা, তরিতরকারির বাগান বা বুট, মসুর, খিরাই, তরমুজ, গাজর, শালগম, মূলা, পিয়াজ, রসুন, শাক, যে কোন প্রকার ফুল গাছ বা চারা ইত্যাদি। যে ফসলই হোক, তা শীতকালে হোক অথবা গ্রীষ্মকালে বপন করতে পারবাে। কিন্তু বীজ ও চারা তোমার দায়িত্বে থাকবে। আমার কাজ শুধু চাষাবাদ করা, তাতে আমি আমার ইচ্ছামত সহযোগী শ্রমিক, গরু-লাঙ্গল ইত্যাদি ব্যবহ চাষ করা, আবাদ করা, জমিকে ঠিক করা, হাল চালান, আগাছা পরিষ্কার করা, যেখানে পানি দেয়া আবশ্যক হয় তাতে পানি দেওয়া; যেখানে সারের প্রয়োজন তথায় সার দেওয়া, দরকার হলে নালা খনন করা, ফল সংগ্রহ করা, যে ফল কাটার মত হয়, তা কাটা, পরিষ্কার করা সবই আমার দায়িত্বে থাকবে। কিন্তু যা খরচ হবে, তা তোমাকে বহন করতে হবে। হ্যাঁ, কাজ, শ্রম আমার পক্ষ হতে এবং আমার লোকদের পক্ষ হতে, তোমার পক্ষ হতে নয়, এই শর্তে যে, আল্লাহ্ তা’আলা এই কাজের পর ঐ মুদ্দতের মধ্যে যা দান করবেন, তা হতে চার ভাগের তিন ভাগ জমি, পানি, বীজ এবং খরচের বিনিময়ে তোমার থাকবে। অবশিষ্ট চার ভাগের এক ভাগ চাষ, কাজ, মেহনত-এর বদলে আমার থাকবে। উপরিউক্ত তপসিলভুক্ত এই জমি এর যাবতীয় অধিকার ও সংশ্লিষ্ট বিষয়াদিসহ তুমি আমাকে দিলে, আর আমি তা অমুক দিন, অমুক মাস এবং অমুক বছর হতে গ্রহণ করলাম। এখন এই জমি আমার অধিকারে এলো। তবুও এতে আমার কোন মালিকানা স্বত্ব নেই, আর এতে আমার কোন দাবিও নেই। শুধু কৃষি করার জন্য তুমি আমাকে দিলে, যা এই কাগজে উল্লেখ রয়েছে। আর আমি অমুক বছরের অমুক মাসের অমুক দিন হতে কর্তৃত্ব গ্রহণ করলাম। এ সময় শেষ হলে, আমি এ জমি তোমাকে ফিরিয়ে দিতে বাধ্য থাকব। আর মেয়াদ শেষ হওয়ামাত্র এ জমি আমার ও আমার লোক নেওয়ার এখতিয়ার তোমার থাকবে।

এতে উভয় পক্ষের তসদীক ও দস্তখত থাকবে এবং এর দুটি কপি করা হবে।

ذِكْرُ الْأَحَادِيثِ الْمُخْتَلِفَةِ فِي النَّهْيِ عَنْ كِرَاءِ الْأَرْضِ بِالثُّلُثِ وَالرُّبُعِ وَاخْتِلَافُ أَلْفَاظِ النَّاقِلِينَ لِلْخَبَرِ

أَخْبَرَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ مُحَمَّدٍ قَالَ حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِسْحَقَ عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ الْوَلِيدِ بْنِ أَبِي الْوَلِيدِ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ قَالَ قَالَ زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ يَغْفِرُ اللَّهُ لِرَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ أَنَا وَاللَّهِ أَعْلَمُ بِالْحَدِيثِ مِنْهُ إِنَّمَا كَانَا رَجُلَيْنِ اقْتَتَلَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنْ كَانَ هَذَا شَأْنُكُمْ فَلَا تُكْرُوا الْمَزَارِعَ فَسَمِعَ قَوْلَهُ لَا تُكْرُوا الْمَزَارِعَ قَالَ أَبُو عَبْد الرَّحْمَنِ كِتَابَةُ مُزَارَعَةٍ عَلَى أَنَّ الْبَذْرَ وَالنَّفَقَةَ عَلَى صَاحِبِ الْأَرْضِ وَلِلْمُزَارِعِ رُبُعُ مَا يُخْرِجُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ مِنْهَا هَذَا كِتَابٌ كَتَبَهُ فُلَانُ بْنُ فُلَانِ بْنِ فُلَانٍ فِي صِحَّةٍ مِنْهُ وَجَوَازِ أَمْرٍ لِفُلَانِ بْنِ فُلَانٍ إِنَّكَ دَفَعْتَ إِلَيَّ جَمِيعَ أَرْضِكَ الَّتِي بِمَوْضِعِ كَذَا فِي مَدِينَةِ كَذَا مُزَارَعَةً وَهِيَ الْأَرْضُ الَّتِي تُعْرَفُ بِكَذَا وَتَجْمَعُهَا حُدُودٌ أَرْبَعَةٌ يُحِيطُ بِهَا كُلِّهَا وَأَحَدُ تِلْكَ الْحُدُودِ بِأَسْرِهِ لَزِيقُ كَذَا وَالثَّانِي وَالثَّالِثُ وَالرَّابِعُ دَفَعْتَ إِلَيَّ جَمِيعَ أَرْضِكَ هَذِهِ الْمَحْدُودَةِ فِي هَذَا الْكِتَابِ بِحُدُودِهَا الْمُحِيطَةِ بِهَا وَجَمِيعِ حُقُوقِهَا وَشِرْبِهَا وَأَنْهَارِهَا وَسَوَاقِيهَا أَرْضًا بَيْضَاءَ فَارِغَةً لَا شَيْءَ فِيهَا مِنْ غَرْسٍ وَلَا زَرْعٍ سَنَةً تَامَّةً أَوَّلُهَا مُسْتَهَلَّ شَهْرِ كَذَا مِنْ سَنَةِ كَذَا وَآخِرُهَا انْسِلَاخُ شَهْرِ كَذَا مِنْ سَنَةِ كَذَا عَلَى أَنْ أَزْرَعَ جَمِيعَ هَذِهِ الْأَرْضِ الْمَحْدُودَةِ فِي هَذَا الْكِتَابِ الْمَوْصُوفُ مَوْضِعُهَا فِيهِ هَذِهِ السَّنَةَ الْمُؤَقَّتَةَ فِيهَا مِنْ أَوَّلِهَا إِلَى آخِرِهَا كُلَّ مَا أَرَدْتُ وَبَدَا لِي أَنْ أَزْرَعَ فِيهَا مِنْ حِنْطَةٍ وَشَعِيرٍ وَسَمَاسِمَ وَأُرْزٍ وَأَقْطَانٍ وَرِطَابٍ وَبَاقِلَّا وَحِمَّصٍ وَلُوبْيَا وَعَدَسٍ وَمَقَاثِي وَمَبَاطِيخَ وَجَزَرٍ وَشَلْجَمٍ وَفُجْلٍ وَبَصَلٍ وَثُومٍ وَبُقُولٍ وَرَيَاحِينَ وَغَيْرِ ذَلِكَ مِنْ جَمِيعِ الْغَلَّاتِ شِتَاءً وَصَيْفًا بِبُزُورِكَ وَبَذْرِكَ وَجَمِيعُهُ عَلَيْكَ دُونِي عَلَى أَنْ أَتَوَلَّى ذَلِكَ بِيَدِي وَبِمَنْ أَرَدْتُ مِنْ أَعْوَانِي وَأُجَرَائِي وَبَقَرِي وَأَدَوَاتِي وَإِلَى زِرَاعَةِ ذَلِكَ وَعِمَارَتِهِ وَالْعَمَلِ بِمَا فِيهِ نَمَاؤُهُ وَمَصْلَحَتُهُ وَكِرَابُ أَرْضِهِ وَتَنْقِيَةُ حَشِيشِهَا وَسَقْيِ مَا يُحْتَاجُ إِلَى سَقْيِهِ مِمَّا زُرِعَ وَتَسْمِيدِ مَا يُحْتَاجُ إِلَى تَسْمِيدِهِ وَحَفْرِ سَوَاقِيهِ وَأَنْهَارِهِ وَاجْتِنَاءِ مَا يُجْتَنَى مِنْهُ وَالْقِيَامِ بِحَصَادِ مَا يُحْصَدُ مِنْهُ وَجَمْعِهِ وَدِيَاسَةِ مَا يُدَاسُ مِنْهُ وَتَذْرِيَتِهِ بِنَفَقَتِكَ عَلَى ذَلِكَ كُلِّهِ دُونِي وَأَعْمَلَ فِيهِ كُلِّهِ بِيَدِي وَأَعْوَانِي دُونَكَ عَلَى أَنَّ لَكَ مِنْ جَمِيعِ مَا يُخْرِجُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ مِنْ ذَلِكَ كُلِّهِ فِي هَذِهِ الْمُدَّةِ الْمَوْصُوفَةِ فِي هَذَا الْكِتَابِ مِنْ أَوَّلِهَا إِلَى آخِرِهَا فَلَكَ ثَلَاثَةُ أَرْبَاعِهِ بِحَظِّ أَرْضِكَ وَشِرْبِكَ وَبَذْرِكَ وَنَفَقَاتِكَ وَلِي الرُّبُعُ الْبَاقِي مِنْ جَمِيعِ ذَلِكَ بِزِرَاعَتِي وَعَمَلِي وَقِيَامِي عَلَى ذَلِكَ بِيَدِي وَأَعْوَانِي وَدَفَعْتَ إِلَيَّ جَمِيعَ أَرْضِكَ هَذِهِ الْمَحْدُودَةِ فِي هَذَا الْكِتَابِ بِجَمِيعِ حُقُوقِهَا وَمَرَافِقِهَا وَقَبَضْتُ ذَلِكَ كُلَّهُ مِنْكَ يَوْمَ كَذَا مِنْ شَهْرِ كَذَا مِنْ سَنَةِ كَذَا فَصَارَ جَمِيعُ ذَلِكَ فِي يَدِي لَكَ لَا مِلْكَ لِي فِي شَيْءٍ مِنْهُ وَلَا دَعْوَى وَلَا طَلِبَةَ إِلَّا هَذِهِ الْمُزَارَعَةَ الْمَوْصُوفَةَ فِي هَذَا الْكِتَابِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ الْمُسَمَّاةِ فِيهِ فَإِذَا انْقَضَتْ فَذَلِكَ كُلُّهُ مَرْدُودٌ إِلَيْكَ وَإِلَى يَدِكَ وَلَكَ أَنْ تُخْرِجَنِي بَعْدَ انْقِضَائِهَا مِنْهَا وَتُخْرِجَهَا مِنْ يَدِي وَيَدِ كُلِّ مَنْ صَارَتْ لَهُ فِيهَا يَدٌ بِسَبَبِي أَقَرَّ فُلَانٌ وَفُلَانٌ وَكُتِبَ هَذَا الْكِتَابُ نُسْخَتَيْنِ


It was narrated that 'Urwah bin Az-Zubair said: "Zaid bin Thabit said: 'May Allah forgive Rafi' bin Khadij. By Allah, I have more knowledge of the Hadith than him. We were two men who fought and the Messenger of Allah said: If this is how it is between you, then do not lease land. And he only heard the words: Do not lease land.'