৫০০৩

পরিচ্ছেদঃ ১৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - আল্লাহ তা‘আলার প্রতি ভালোবাসা এবং আল্লাহ তা‘আলার জন্য বান্দার প্রতি ভালোবাসা

৫০০৩-[১] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সকল রূহ্ শরীরে প্রবেশ করার পূর্বে একদল পতাকাধারী সৈন্যের মতো ছিল। যে সব রূহ্ শরীরে প্রবেশ করানোর পূর্বে পরস্পর পরিচিত ছিল, এখনো তারা পরস্পর পরিচিত এবং একে অপরের সাথে বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ। আর যে সব রূহ্ ঐ সময় পরস্পর অপরিচিত ছিল, তাদের এখনো পরস্পর মতানৈক্য রয়েছে। (বুখারী)[1]

بَابُ الْحُبِّ فِى اللهِ وَمِنَ اللهِ

عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْأَرْوَاحُ جُنُودٌ مُجَنَّدَةٌ فَمَا تَعَارَفَ مِنْهَا ائْتَلَفَ وَمَا تَنَاكَرَ مِنْهَا اخْتَلَفَ» . رَوَاهُ البُخَارِيّ

ব্যাখ্যাঃ (الْأَرْوَاحُ جُنُودٌ مُجَنَّدَةٌ) ইমাম খত্ত্বাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ এর সম্ভাব্য অর্থ এটা হতে পারে যে, এ সমস্ত মানুষের রূহগুলো কল্যাণ অকল্যাণের দিক বিবেচনায় সাদৃশ্যপূর্ণ। মানুষের অবয়ব অনুপাতে তাদের দিকে কল্যাণ প্রসারিত হতে পারে। ঠিক তার মতই অকল্যাণের বিষয়টি। অতএব ঐগুলোর পরস্পরের পরিচিতি তাদেরকে যে বৈশিষ্ট্যের উপর সৃষ্টি করা হয়েছে সে বৈশিষ্ট্যের উপরই হয়ে থাকে। সুতরাং তারা যখন একই বৈশিষ্ট্যে বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত হয় তখন তারা পরস্পর পরস্পরের সাথে পরিচিতি লাভ করে। পক্ষান্তরে তাদের বৈশিষ্ট্য যদি ভিন্ন ভিন্ন হয় তখন তারা পরস্পর অপরিচিত থেকে যায়। এর অর্থ এটা হওয়ারও সম্ভাবনা আছে যে, অদৃশ্যে আল্লাহ রব্বুল ‘আলামীন সৃষ্টিকুলের যে সৃষ্টি শুরু করেছিলেন সে কথাই এখানে বলা হয়েছে। রূহগুলো সৃষ্টি করা হয়েছে শরীরের আগে। যখন রূহগুলো শরীরে প্রবেশ করলো তখন তারা পরিচিতি লাভ করলো। কেউ কেউ বলেছেন, রূহ যখন প্রথম সৃষ্টি করা হয় তখন দু’ প্রকার করে সৃষ্টি করা হয়েছে। (‘আওনুল মা‘বূদ ৮ম খন্ড, হাঃ ৪৮২)