৪৯৪৩

পরিচ্ছেদঃ ১৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - অনুগ্রহ ও স্বজনে সদাচার

৪৯৪৩-[৩৩] ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি এমন অবস্থায় সকাল করল যে, সে তার মাতা-পিতার ব্যাপারে আল্লাহ তা’আলার আদেশের অনুগত রয়েছে, তখন তার সে সকাল এমন অবস্থায় হয় যে, তার জন্য জান্নাতের দু’টো দরজা খোলা থাকে। যদি একজন হয়, তখন জান্নাতের একটি দরজা খোলা থাকে। আর যে ব্যক্তি মাতা-পিতার ব্যাপারে আল্লাহ তা’আলার কাছে অপরাধী হিসেবে সকাল করে, তবে সে যেন এমনভাবে ভোর করল যে, জাহান্নামের দু’টো দরজা তার জন্য খোলা থাকে। আর যদি তাঁদের একজন থাকে, তবে একটি দরজা খোলা থাকে। এ সময় জনৈক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করল, যদি তাঁরা পুত্রের ওপর অবিচার করে? জবাবে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ যদি তারা পুত্রের প্রতি অবিচার করে, যদিও তাঁরা পুত্রের প্রতি অবিচার করে, যদিও তাঁরা পুত্রের প্রতি অবিচার করে।[1]

وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ أَصْبَحَ مُطِيعًا لِلَّهِ فِي وَالِدَيْهِ أَصْبَحَ لَهُ بَابَانِ مَفْتُوحَانِ مِنَ الْجَنَّةِ وَإِنْ كَانَ وَاحِدًا فَوَاحِدًا. وَمَنْ أَمْسَى عَاصِيًا لِلَّهِ فِي وَالِدَيْهِ أَصْبَحَ لَهُ بَابَانِ مَفْتُوحَانِ مِنَ النَّارِ وَإِنْ كَانَ وَاحِدًا فَوَاحِدًا» قَالَ رَجُلٌ: وَإِنْ ظَلَمَاهُ؟ قَالَ: «وَإِنْ ظلماهُ وإِن ظلماهُ وإِنْ ظلماهُ»

ব্যাখ্যাঃ মাতা-পিতার অনুগত্য আল্লাহর আনুগত্যের অংশবিশেষ, যা স্বয়ং আল্লাহ নিজে তার বান্দার প্রতি আবশ্যক করে দিয়েছেন। অনুরূপ মাতা-পিতার অবাধ্যচারিতা বা নাফরমানী এবং তাদের কষ্ট দেয়া আল্লাহর নাফরমানী এবং তাকে কষ্ট দেয়ারই নামান্তর, যা আল্লাহ হারাম বা নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন।

‘আল্লামা ‘আলী কারী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ মাতা-পিতার নাফরমানী করা এবং তাদের কষ্ট দেয়া আল-কুরআনের বাণী : إِنَّ الَّذِينَ يُؤْذُونَ اللهَ وَرَسُولَه ‘‘নিশ্চয় যারা আল্লাহ এবং তার রসূলকে কষ্ট দেয়’’- (সূরাহ্ আল আহযা-ব ৩৩ : ৫৭)-এর অন্তর্ভুক্ত। কোন কোন সংকলণে ‘পিতা-মাতার আনুগত্যের’ শব্দের পরিবর্তে শুধু ‘পিতার আনুগত্যের’ কথা উল্লেখ হয়েছে, সেখানে পরিহার করার বিধান প্রযোজ্য।

মাতা-পিতা জুলুম করলেও তাদের কষ্ট দেয়া যাবে না এবং তাদর নাফরমানীও করা যাবে না।

‘আল্লামা ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ এই জুলুম দ্বারা দীনী কিংবা পরকালীন জুলুম উদ্দেশ্য নয়, বরং দুনিয়াবী জুলুম। আরেকটি কথা স্মরণযোগ্য যে, আল্লাহর নাফরমানী করে মাতা-পিতার আনুগত্য করা যাবে না। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)