৪৯৪০

পরিচ্ছেদঃ ১৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - অনুগ্রহ ও স্বজনে সদাচার

৪৯৪০-[৩০] ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, জনৈকা মহিলা আমার বিবাহ বন্ধনে ছিল, আমি তাকে ভালোবাসতাম। অথচ আমার পিতা ’উমার তাকে ঘৃণা করতেন। তিনি আমাকে বললেনঃ তুমি এ মহিলাকে ত্বলাক (তালাক) দিয়ে দাও। আমি অস্বীকার করলাম। তখন আমার পিতা ’উমার (রাঃ) রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এলেন এবং তাঁকে ঘটনা বললেন। তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেনঃ তুমি তাকে ত্বলাক (তালাক) দিয়ে দাও। (তিরমিযী ও আবূ দাঊদ)[1]

وَعَن ابنِ عمَرَ قَالَ: كَانَتْ تَحْتِي امْرَأَةٌ أُحِبُّهَا وَكَانَ عُمَرُ يَكْرَهُهَا. فَقَالَ لِي: طَلِّقْهَا فَأَبَيْتُ. فَأَتَى عُمَرُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرَ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «طَلِّقْهَا» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُد

ব্যাখ্যাঃ এ বিষয়ে ইতোপূর্বে ৪৯২৮ নং হাদীসের ব্যাখ্যায় আলোচনা করা হয়েছে।

অত্র হাদীস থেকেও বুঝা গেল যে, যদি পিতা স্ত্রীকে ত্বলাক দিতে বলেন তাহলে ঐ স্ত্রীকে ত্বলাক দিয়ে দিবে। আমাদের উচিত পিতা-মাতাকেই অগ্রাধিকার দেয়া যতক্ষণ না তারা আমাদেরকে আল্লাহ এবং তার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নাফরমানী হয় এমন বিষয়ে আদেশ দেন। (তুহফাতুল আহওয়াযী ৫ম খন্ড, হাঃ ১১৮৯)

পিতা-মাতার অন্যায় অবৈধ নির্দেশ হলে আলোচনার মাধ্যমে তাদের বুঝিয়ে সমন্বয় করে নিতে হবে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ