৪৮৫৯

পরিচ্ছেদঃ ১০. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - জিহ্বার হিফাযাত, গীবত এবং গালমন্দ প্রসঙ্গে

৪৮৫৯-[৪৮] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন কোন পাপী লোকের প্রশংসা করা হয়, আল্লাহ তা’আলা ক্রুদ্ধ হন এবং তার প্রশংসার কারণে আল্লাহ তা’আলার ’আরশ কেঁপে ওঠে। (’বায়হাক্বী’র ’’শু’আবুল ঈমানে’’ বর্ণনা করেছেন।)[1]

عَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا مُدِحَ الْفَاسِقُ غَضِبَ الرَّبُّ تَعَالَى وَاهْتَزَّ لَهُ الْعَرْشُ» رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي «شعب الْإِيمَان»

ব্যাখ্যাঃ (إِذَا مُدِحَ الْفَاسِقُ) যখন কোন ফাসিক বা পাপাচারী ব্যক্তির প্রশংসা করা হয়। যেমন তাকে সাইয়্যিদ বা সর্দার বলে সম্বোধন করা হয়।

(غَضِبَ الرَّبُّ تَعَالٰى) তখন আল্লাহ তা‘আলা প্রশংসাকারীর ওপর রাগান্বিত হন। (وَاهْتَزَّ لَهُ الْعَرْشُ) এবং তার উক্ত প্রশংসা করার কারণে ‘আরশ প্রকম্পিত হয়।

‘আল্লামা ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ ‘আরশ প্রকম্পিত হওয়ার অর্থই হলো বিরাট কোন কাজ সংঘটিত হওয়া। কেননা তাতে সন্তুষ্ট প্রকাশ করা হয় যাতে আল্লাহ অসন্তুষ্ট এবং রাগান্বিত হন। বরং সে কুফরীর একদম কাছে পৌঁছে যায়। কেননা সে যেন আল্লাহ যা হারাম করেছে তা হালাল বানিয়ে ফেলে; আর এটা বর্তমানে ব্যাপক মহামারীর আকার ধারণ করেছে। অধিকাংশ ‘আলিম, কবি-সাহিত্যিক এবং লোক দেখানো কুরআনের কারীদের মধ্যে। আর এটা যদি ফাসিকের প্রশংসা করার বিধান হয় তাহলে যারা যালিমের প্রশংসা করে এবং তাদের শরণাপন্ন হয় তাদের কি অবস্থা কি হবে? অথচ আল্লাহ বলেছেন- وَلَا تَرْكَنُوا إِلَى الَّذِينَ ظَلَمُوا فَتَمَسَّكُمُ النَّارُ ‘‘তোমরা যালিমদের প্রতি ঝুঁকে পড়ো না, তাহলে আগুন তোমাদেরকে স্পর্শ করবে...’’- (সূরাহ্ হূদ ১১ : ১১৩)। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ