৪৪৮৫

পরিচ্ছেদঃ ৩. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - চুল আঁচড়ানো

৪৪৮৫-[৬৭] ’আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্ত্রীলোকের মাথা মুড়িয়ে ফেলতে নিষেধ করেছেন। (নাসায়ী)[1]

وَعَنْ عَلِيٍّ قَالَ: نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ تَحْلِقَ الْمَرْأَةُ رَأْسَهَا. رَوَاهُ النَّسَائِيُّ

ব্যাখ্যাঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মহিলাদের মাথার চুল মুড়িয়ে ফেলতে নিষেধ করেছেন। কেননা পুরুষদের দাড়ি থাকলে যেমন সুন্দর লাগে তেমনি মেয়েদের মাথায় লম্বা চুল থাকলে সুন্দর লাগে। সুতরাং মেয়েদের কোন অবস্থাতেই চুল মুণ্ডন করা জায়িয নেই। এমনকি হজ্জ ও ‘উমরাহ্ থেকে হালাল হওয়ার ক্ষেত্রেও না। বরং তারা এক্ষেত্রে তাকসীর বা চুলের অগ্রভাগ থেকে সামান্য অংশ কর্তন করবে। (তুহফাতুল আহওয়াযী ৩য় খন্ড, হাঃ ৯১৪)

হাদীসের ভাষ্য থেকে বুঝা যায় যে, পুরুষদের জন্য মাথায় চুল মুণ্ডন করা জায়িয, এতে কোন মতবিরোধ নেই। এটা ‘আলী (রাঃ)-এর সুন্নাত। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুলাফায়ে রাশিদীনের সুন্নাত অনুসরণ করতে আদেশ করে বলেন- তোমাদের উচিত আমার সুন্নাত এবং সঠিক পথ প্রদর্শিত খুলাফায়ে রাশিদীনের সুন্নাতকে আঁকড়িয়ে ধরা। অথবা আমরা বলতে পারি এটা, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সরাসরি সুন্নাত নয়, কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং সাহাবীগণ সব সময় চুল মুণ্ডন করতেন না। কেবলমাত্র হজ্জ ও ‘উমরাহ্ শেষ করার পর চুল মুণ্ডন করতেন। সুতরাং মুণ্ডন করার অনুমতি আছে, এটাই গ্রহণযোগ্য মত (আল্লাহ ভালো জানেন)। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)