৪১৫৮

পরিচ্ছেদঃ ৩. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - ‘আক্বীকার বর্ণনা

৪১৫৮-[১০] বুরয়দাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, জাহিলী যুগে আমাদের কারো সন্তান জন্ম নিলে সে একটি বকরী যাবাহ করত এবং তার রক্ত নিয়ে শিশুর মাথায় মালিশ করে দিত। কিন্তু ইসলাম আবির্ভাবের পর শিশুর জন্মের সপ্তম দিন আমরা একটি বকরী যাবাহ করি, তার মাথা কামিয়ে ফেলি এবং তার মাথায় যা’ফরান মালিশ করি। (আবূ দাঊদ)[1]

আর ইমাম রযীন অতিরিক্ত এ কথাটিও বর্ণনা করেছেন যে, সেদিন আমরা তার নামও রাখি।

عَن بُريدةَ قَالَ: كُنَّا فِي الْجَاهِلَيَّةِ إِذَا وُلِدَ لِأَحَدِنَا غلامٌ ذَبَحَ شاةٌ ولطَّخَ رأسَه بدمه فَلَمَّا جَاءَ الْإِسْلَامُ كُنَّا نَذْبَحُ الشَّاةَ يَوْمَ السَّابِعِ وَنَحْلِقُ رَأْسَهُ وَنُلَطِّخُهُ بِزَعْفَرَانٍ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَزَاد رزين: ونُسمِّيه

ব্যাখ্যাঃ আলোচ্য হাদীসে দলীল রয়েছে যে, নবজাতকের মাথায় রক্ত মালিশ করাটা জাহিলিয়্যাতের কাজ এবং তা মানসূখ বা রহিত করা হয়েছে।

এ হাদীসে এ মর্মেও দলীল রয়েছে যে, নবজাতকের মাথা মুন্ডানোর পর মাথায় যা‘ফরান কিংবা অন্য যে কোন সুগন্ধি লাগানো মুস্তাহাব। আর যা‘ফরান পবিত্র এবং তাতে কোন নেশাজাতীয় বস্তু নেই। কারণ যাতে নেশা জাতীয় বস্তু থাকে তা সুগন্ধি কিংবা হালাল-পবিত্র বস্তুতে ব্যবহার করা হয় না। (‘আওনুল মা‘বূদ ৫ম খন্ড, হাঃ ২৮৪০)