৪১১০

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - যেসব প্রাণী খাওয়া হালাল ও হারাম

৪১১০-[৭] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দব্ব আমি খাইও না এবং তাকে হারামও বলি না। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

بَابُ مَا يَحِلُّ أَكْلُهُ وَمَا يَحْرُمُ

وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الضَّبُّ لَسْتُ آكُلُهُ وَلَا أُحَرِّمُهُ»

ব্যাখ্যাঃ আলোচ্য হাদীস থেকে এটাই প্রমাণিত হয়, যা ইমাম মুসলিম ও অন্যান্য ‘উলামা উল্লেখ করেছেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দব্বের ব্যাপারে বলেছেন, আমি এটা খাই না হারামও করি না। অপর বর্ণনায় রয়েছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা খাও, কারণ এটা হালাল। কিন্তু এটা (দব্ব) আমার খাদ্যের মধ্য নেই (অর্থাৎ আমার অঞ্চলে এটা খাওয়া হয় না)। অপর বর্ণনায় রয়েছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দব্ব ভুনার পাত্র থেকে হাত উঠে নিলেন। অতঃপর তাঁকে বলা হলো হে আল্লাহর রসূল! এটা কি হারাম? তিনি বললেন, না, তবে আমার অঞ্চলে এর প্রচলন নেই। কাজেই আমি এটার ব্যাপারে অনাগ্রহী তথা অভ্যস্ত নই। অতঃপর তারা সকলেই খেয়ে নিলেন, তিনি (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তা প্রত্যক্ষ করলেন।

সকল ‘উলামার ঐকমত্য রয়েছে যে, দব্ব হালাল মাকরূহ নয়। তবে ইমাম আবূ হানীফাহ্ (রহিমাহুল্লাহ)-এর অনুসারীদের দৃষ্টিতে তা মাকরূহ। কাযী ‘ইয়ায (রহিমাহুল্লাহ) একদল ‘উলামা থেকে বর্ণনা করেছেন, তারা বলেছেন, এটা হারাম। তাদের কোন মত বিশুদ্ধ বলে আমার মনে হয় না। যদি বিশুদ্ধও হয় তারপরও কুরআন-সুন্নাহ দ্বারা গৃহীত দলীল এবং তা হালাল হওয়ার ব্যাপারে সাহাবীদের ঐকমত্য পূর্ব হতেই রয়েছে। (শারহুন নাবাবী ১৩শ খন্ড, হাঃ ১৯৪৩/৩৯)