৪১০৯

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - যেসব প্রাণী খাওয়া হালাল ও হারাম

৪১০৯-[৬] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন আমরা ’মাররুয যহ্রান’ নামক স্থানে একটি খরগোশকে ধাওয়া করলাম। অবশেষে আমি তাকে ধরে ফেললাম এবং আবূ ত্বলহাহ্’র নিকট নিয়ে এলাম। তিনি তাকে যাবাহ করলেন এবং তার পাছা ও ঊরু দু’খানা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর খিদমাতে পাঠালেন, তিনি তা গ্রহণ করলেন। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

بَابُ مَا يَحِلُّ أَكْلُهُ وَمَا يَحْرُمُ

وَعَن أنس قَالَ: أَنْفَجْنَا أَرْنَبًا بِمَرِّ الظَّهْرَانِ فَأَخَذْتُهَا فَأَتَيْتُ بهَا أَبَا طلحةَ فذبحها وَبَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بوَرِكِها وفخذْيها فقبِله

ব্যাখ্যাঃ আলোচ্য হাদীসে খরগোশ খাওয়া বৈধতার প্রমাণ পাওয়া যায়। আর এটাই সকল ‘উলামার মত। তবে সাহাবীদের মধ্য হতে ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ), তাবি‘ঈনদের মধ্য হতে ‘ইকরামাহ্ (রহিমাহুল্লাহ)। আর ফকীহদের মধ্য হতে মুহাম্মাদ ইবনু আবূ লায়লা (রহিমাহুল্লাহ) এটাকে মাকরূহ বলেছেন। আর খুযায়মাহ্ ইবনু জুয (রহিমাহুল্লাহ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীস দ্বারা দলীল পেশ করেছেন; তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বললাম, খরগোশের ব্যাপারে আপনি কি বলেন, তা হালাল নাকি হারাম। তিনি (রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, আমি তা খাই না এবং হারামও করি না। আমি বললাম, আপনি যা হারাম করেননি তা কি আমি খেতে পারি? তিনি বললেন, আমি জানি যে, এটা (খরগোশ) রক্ত প্রবাহিত করে (অর্থাৎ শিকার করে)। এ হাদীসটি নিতান্তই দুর্বল। যদি সহীহ হয়ে থাকে তবুও এ হাদীস খরগোশ খাওয়া মাকরূহ এটা প্রমাণ করে না। (ফাতহুল বারী ৯ম খন্ড, হাঃ ৫৫৩৫)