১৮৭৮

পরিচ্ছেদঃ

১৮৭৮। বড় ভাইয়ের হক তাদের ছোট ভাইয়ের উপর সেরূপ, যেরূপ পিতার হক রয়েছে তার সন্তানের উপর।

হাদীসটি দুর্বল।

হাদীসটিকে আবু নুয়াইম “আখবারু আসবাহান” গ্রন্থে (১/১২২) আহমাদ ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু ইবরাহীম হতে, তিনি মুহাম্মাদ ইবনু মুশকান হতে, তিনি আব্দুর রহমান ইবনু আইউব হতে, তিনি আলীদ ইবনু মুসলিম হতে, তিনি আওযাঈ হতে, তিনি আতা হতে, তিনি আবু হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

তিনি হাদীসটিকে আহমাদের জীবনীতে উল্লেখ করেছেন, যার কুনিয়্যাত হচ্ছে আবূ আমর আলআবরাশ। তিনি (আবু নুয়াইম) বলেনঃ তিনি ৩৩৩ হিজরীর জুমাদাল আখেরাহ মাসে মারা যান। তিনি মর্যাদাসম্পন্ন সাহিত্যিক ছিলেন, হাদীস সম্পর্কে ভাল জ্ঞান রাখতেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ মুহাম্মাদ ইবনু মুশকানকে আমি চিনি না। আর আব্দুর রহমান ইবনু আইউব হচ্ছেন সম্ভবত সাকূনী যিনি আত্তাফ ইবনু খালেদ হতে বর্ণনা করেছেন। হাফিয যাহাবী “আযযুয়াফা” গ্রন্থে বলেনঃ তিনি দুর্বল।

আর নির্ভরযোগ্য দাউদ ইবনু রাশীদ তার বিরোধিতা করেছেন। তিনি অলীদ ইবনু মুসলিম হতে, তিনি মুহাম্মাদ ইবনুস সায়েব বিকরী হতে, তিনি সা’ঈদ ইবনু আমর ইবনু সা’ঈদ ইবনুল আস হতে শুনেছেন, তিনি রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ ...।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এটি মুরসাল। মুহাম্মাদ ইবনুস সায়েব বিকরকে আমি চিনি না। আমি আশঙ্কা করছি যে, বিকরী শব্দকে কালবী শব্দ হতে পরিবর্তন করা হয়েছে। কারণ মুহাম্মাদ ইবনুস সায়েব কালবী এ স্তরের বর্ণনাকারী। তিনি যদি হন তাহলে তিনি মিথ্যুক।

অতঃপর আমি আবু দাউদের “মারাসীল” গ্রন্থ (কাফ ১/২৫) অনুসন্ধান করেছি। আমি দেখেছি হাদীসটির সনদের প্রথম অংশ পড়ে গেছে। অবশিষ্ট রয়ের পিতা সায়েব আননুকরীকে চেনা যায় না।

আর হাফিয ইবনু হাজার “আত তাহযীব” গ্রন্থে তাকে সমর্থন করেছেন। আর “আত-তাকরীব” গ্রন্থে স্পষ্ট করেই বলেছেনঃ তিনি মাজহুল। এবং তিনি তার দু’গ্রন্থের মধ্যে ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, তিনি হচ্ছেন আবূ দাউদের "আলমারাসীল" গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত।

অতঃপর আমি মুহাম্মাদ ইবনুস সায়েব নুকরীর জীবনী “আলমীযান” গ্রন্থে অনুসন্ধান করেছি। তিনি তার সম্পর্কে বলেনঃ তিনি অলীদ ইবনু মুসলিমের ছোট শাইখ। আযদী বলেনঃ মুহাদ্দিসগণ তার সমালোচনা করেছেন। খাতীব বলেনঃ তিনিই হচ্ছেন কালবী । যিনি তাদের দু’জনকে দু’জন বানিয়েছেন তিনি ভুল করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ সম্ভবত তিনি ইবনু হিব্বানের দিকে ইঙ্গিত করেছেন। কারণ তিনি বিকরকে “আসসিকাত” গ্রন্থে (৭/৪৩৫) উল্লেখ করেছেন আর কালবীকে "আয যুয়াফা" গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন।

আমার(আলবানী) নতুন গ্রন্থ “তাইসীরুল ইনতিফা” গ্রন্থে এ সম্পর্কে টীকা লিখেছি তা দেখুন।

হাদীসটি সম্পর্কে হাফিয ইরাকী “তাখরাজুল ইহইয়া” গ্রন্থে (২/১৯৫) বলেনঃ এটিকে আবুশ শাইখ “কিতাবুস সাওয়াব” গ্রন্থে আবু হুরাইরাহ (রাঃ) এর হাদীস হতে বর্ণনা করেছেন। আর আবু দাউদ “আলমারাসীল” গ্রন্থে সাঈদ ইবনু আমর ইবনুল আসের বর্ণনা হতে মুরসাল হিসেবে বর্ণনা করেছেন। আর “মুসনাদুল ফিরদাউস” গ্রন্থে লেখক মওসূল হিসেবে সাঈদ ইবনু আমর ইবনু সাঈদ ইবনুল আস হতে, তিনি তার পিতা হতে, তিনি তার দাদা সাঈদ ইবনুল আস হতে বর্ণনা করেছেন। তার সনদটি দুর্বল।

আমি (আলবানী) বলছিঃ বাইহাকীও “শুয়াবুল ঈমান” গ্রন্থে- যেমনটি "মিশকাত" (৪৯৪৬) গ্রন্থে এসেছে- মওসূল হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

অতঃপর আমি হাদীসটিকে “মুসনাদুল ফিরদাউস” গ্রন্থে (২/৮৭-৮৮) দেখেছি যে, হাদীসটি আলোচিত বিকরী সূত্রেই বর্ণিত হয়েছে। বাহ্যিক অবস্থা এই যে, বাইহাকী তার সূত্রেই বর্ণনা করেছেন।

অনুবাদকঃ উল্লেখ্য বাইহাকীর উল্লেখিত গ্রন্থে উক্ত নুকরীকেই উল্লেখ করা হয়েছে যার মাজহুল হওয়ার ব্যাপারে আলোচনা করা হয়েছে।

حق كبير الإخوة على صغيرهم، كحق الوالد على ولده ضعيف - رواه أبو نعيم في " أخبار أصبهان " (1 / 122) عن أحمد بن محمد بن إبراهيم: حدثنا محمد بن مشكان حدثنا عبد الرحمن بن أيوب حدثنا الوليد بن مسلم عن الأوزاعي عن عطاء عن أبي هريرة مرفوعا أورده في ترجمة أحمد هذا، ويكنى أبا عمرو الأبرش، وقال: " توفي في جمادى الآخرة سنة ثلاث وثلاثين وثلاثمائة، كان أديبا فاضلا حسن المعرفة بالحديث ". قلت: ومحمد بن مشكان لم أعرفه. وعبد الرحمن بن أيوب، لعله السكوني الذي يروي عن العطاف بن خالد، قال الذهبي في " الضعفاء ": " ضعيف ". وقد خالفه داود بن رشيد الثقة، فقال: حدثنا الوليد بن مسلم عن محمد بن السائب البكري قال: سمعت سعيد بن عمرو بن سعيد بن العاص عن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: فذكره. قلت: وهذا مرسل، ومحمد بن السائب البكري لم أعرفه، لكني أخشى أن يكون (البكري) محرفا من (الكلبي) ، فإن محمد بن السائب الكلبي من هذه الطبقة، فإن يكن هو، فهو كذاب ثم رجعت إلى " مراسيل أبي داود " المخطوطة (ق 25 / 1) ، فرأيت الحديث قد سقط طرف إسناده الأول، وبقي منه قوله: " حدثنا محمد بن السائب البكري عن أبيه عن سعيد بن عمرو.. ". فزاد في السند: " عن أبيه ". فانكشفت لي علته، وتحقق ما خشيته من التحريف، وتبين أن (البكري) مصحف من (النكري) ، فقد قال الذهبي في " الميزان ": " السائب النكري والد محمد، لا يعرف ". وأقره الحافظ في " التهذيب "، وصرح في " التقريب " بأنه: " مجهول وأشار فيهما إلى أنه من رجال أبي داود في " المراسيل ". ثم رجعت إلى ترجمة محمد بن السائب النكري في " الميزان "، فإذا به يقول: " شويخ للوليد بن مسلم، قال الأزدي: يتكلمون فيه، وقال الخطيب: هو الكلبي، وقد غلط من جعلهما اثنين قلت: كأنه يشير إلى ابن حبان، فإنه أورد هذا في " الثقات " (7 / 435) وأورد الكلبي في " الضعفاء "، انظر ما علقته عليه في كتابي الجديد " تيسير الانتفاع ". والحديث قال العراقي في " تخريج الإحياء " (2 / 195) : " رواه أبو الشيخ في " كتاب الثواب " من حديث أبي هريرة، ورواه أبو داود في " المراسيل " من رواية سعيد بن عمرو بن العاص مرسلا، ووصله صاحب " مسند الفردوس " فقال: عن سعيد بن عمرو بن سعيد بن العاص عن أبيه عن جده سعيد بن العاص، وإسناده ضعيف ". قلت: ووصله البيهقي أيضا في " شعب الإيمان " كما في " المشكاة " (4946) . ثم رأيت الحديث في " مسند الفردوس " (2 / 87 - 88)، فإذا هو من طريق البكري المذكور، والظاهر أن البيهقي رواه من طريقه


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ