লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ
১৬০০। যমীনে জান্নাতের মাত্র তিনটি বস্তু রয়েছে আজওয়া বৃক্ষ, জান্নাতের বরকত থেকে প্রতিদিন ফুরাত নদীতে স্বর্ণ নাযিল হওয়া এবং পাথর (হাজার আসওয়াদ)।
হাদীসটি দুর্বল। [কিন্তু তিনি (আলবানী) দুর্বল বলা থেকে ফিরে এসে পরবর্তীতে "সিলসিলাহ্ সহীহাহ" গ্রন্থে (৩১১১) হাদীসটিকে সহীহ আখ্যা দিয়েছেন।]
হাদীসটিকে খাতীব বাগদাদী “তারীখু বাগদাদ” গ্রন্থে (১/৫৫) কাযী আবূ উমার কাসেম ইবনু জা’ফার ইবনু আব্দুল অহিদ হাশেমী হতে, তিনি আব্দুর রহমান ইবনু আহমাদ খাতলী হতে, তিনি আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু ’আলী বালখী হতে, তিনি মুহাম্মাদ ইবনু আবান হতে, তিনি আবূ মুয়াবিয়্যাহ হতে, তিনি হাসান ইবনু সালেম ইবনু আবী জা’দ হতে, তিনি তার পিতা হতে, তিনি আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ...।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি গারীব। তার বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য। তাদের মধ্যে দু’জন ছাড়া অন্যদের অবস্থার ব্যাপারে দৃষ্টি দেয়ার কোন প্রয়োজনীয়তা নেইঃ
১। হাসান ইবনু সালেম। ইবনু আবী হাতিম ছাড়া অন্য কেউ তাকে উল্লেখ করেছেন বলে দেখি না। ইবনু মাঈন হতে বর্ণিত হয়েছে তিনি বলেনঃ তিনি সালেহ (ভালো)।
২। মুহাম্মাদ ইবনু আবান। তিনি হচ্ছেন বালখী। এ নামে দু’জন রয়েছেন তারা উভয়েই একই স্তরেরঃ
ক. মুহাম্মাদ ইবনু আবান ইবনু অযীর বালখী। তিনি নির্ভরযোগ্য বুখারীর বর্ণনাকারীদের অন্তর্ভুক্ত।
খ. মুহাম্মাদ ইবনু আবান ইবনু আলী বালখী। এর অবস্থা অস্পষ্ট যেমনটি হাফিয ইবনু হাজার বলেছেন। সম্ভবত ইনিই এ গারীব হাদীসের সমস্যা। কারণ আমার নিকট অদ্যাবধি স্পষ্ট হয়নি ইনি তাদের দু’জনের কে? আর কোন ব্যক্তিকে দেখছি না তিনি হাদীসটির সমস্যাকে স্পষ্ট করেছেন। মানবী দৃঢ়তার সাথে "আততায়সীর" গ্রন্থে হাদীসটির সনদকে দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। সম্ভবত আমি যা উল্লেখ করেছি এ সব কারণেই।
মুহাম্মাদ ইবনু আবানের নিচের তিনজন বর্ণনাকারী নির্ভরযোগ্য। "আত-তারীখ" গ্রন্থে তাদের জীবনী আলোচনা করা হয়েছে।
আমি আলোচ্য হাদীসটির প্রথম অংশটুকুকে প্রত্যাখ্যান করেছি, কারণ এর মধ্যে (তিনটি বস্তু ছাড়া) দুনিয়াতে জান্নাতী অন্য কিছু না থাকার কথা বলা হয়েছে অথচ সহীহ হাদীসের মধ্যে সাব্যস্ত হয়েছেঃ
“সায়হান, জায়হান, ফুরাত ও নীল এ সবগুলো জান্নাতী নদী।”
এটিকে ইমাম মুসলিম (২৮৩৯) ও “আহমাদ (৭৮২৬) প্রমুখ বর্ণনা করেছেন। এটিকে আমি “সিলসিলাহ্ সহীহাহ” গ্রন্থে (১০০) উল্লেখ করেছি।
এছাড়া অন্য হাদীসের মধ্যে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “হাজরে আসওয়াদ হচ্ছে জান্নাত হতে।” আর “আজওয়া হচ্ছে জান্নাত হতে।” ["সহীহ তিরমিযী" (২০৬৬)] আবু হুরাইরাহ (রাঃ) প্রমুখ সাহাবী হতে বর্ণিত হাদীসের মধ্যে এগুলো বর্ণিত হয়েছে।
কিন্তু ফুরাত নদীতে জান্নাত থেকে বরকত নাযিল হওয়া মর্মে বর্ণিত হাদীসের কোন শাহেদ পাচ্ছি না। একমাত্র খাতীব কর্তৃক বর্ণনাকৃত নিম্নোক্ত হাদিস ছাড়া, তিনি রাবী’ ইবনু বাদর সূত্রে আ’মাশ হতে, তিনি শাকীক হতে, তিনি আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ "প্রতিদিন ফুরাত নদীতে জান্নাতী বরকতের কতিপয় মিসকাল নাযিল হয়।"
কিন্তু এ হাদীসটি খুবই দুর্বল। কারণ এ রাবী’ ইবনু বাদর মাতরূক। তার থেকে ভিন্ন শব্দে বর্ণিত হয়েছে যেটিকে (১৪৩৮) নম্বরে পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে।
[কিন্তু তিনি (আলবানী) দুর্বল বলা থেকে ফিরে এসে পরবর্তীতে “সিলসিলাহ্ সহীহাহ" গ্রন্থে (৩১১১) হাদীসটিকে সহীহ আখ্যা দিয়েছেন।]
ليس في الأرض من الجنة إلا ثلاثة أشياء: غرس العجوة وأواق تنزل في الفرات كل يوم من بركة الجنة، والحجر ضعيف - أخرجه الخطيب في " تاريخ بغداد " (1 / 55) : أخبرنا القاضي أبو عمر القاسم بن جعفر بن عبد الواحد الهاشمي - بالبصرة - قال: أخبرنا عبد الرحمن بن أحمد الختلي قال: حدثني عبد الله بن محمد بن علي البلخي قال: أخبرنا محمد بن أبان قال: أخبرنا أبو معاوية عن الحسن بن سالم بن أبي الجعد عن أبيه عن أبي هريرة قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: فذكره. قلت: وهذا إسناد غريب، رجاله ثقات، ليس فيهم من ينظر في حاله غير اثنين: الأول: الحسن بن سالم، فلم أر من ذكره غير ابن أبي حاتم من رواية جمع عنه، وروى عن ابن معين أنه قال: " صالح ". والآخر: محمد بن أبان، وهو بلخي، وهما اثنان من هذه الطبقة: الأول: محمد بن أبان بن وزير البلخي، وهو ثقة من رجال البخاري والآخر: محمد بن أبان بن علي البلخي، وهو مستور كما قال الحافظ، ولعله هو علة هذا الحديث الغريب، فإنه لم يترجح لي أيهما المراد الآن. ولم أر من صرح بإعلال الحديث، أوتضعيفه، اللهم إلا ما ذكره السيوطي في مقدمة " الجامع الكبير "، أن مجرد عزوالحديث إلى " تاريخ الخطيب " ونحوه، يكفي للإشارة إلى تضعيف الحديث، وقد أورد الحديث في " جامعيه " من رواية الخطيب وحده. ومما يلفت النظر أن المناوي بيض للحديث، ولم يتكلم عليه بشيء، وأما في " التيسير " فجزم بأن إسناده ضعيف فلعله منه بناء على ما ذكرته آنفا. ومن دون محمد بن أبان ثلاثتهم ثقات، مترجمون في " التاريخ " فراجعهم إن شئت (10 / 93 - 94 و290 - 291 و12 / 451 - 452) . ولقد استنكرت من هذا الحديث طرفه الأول، لما فيه من النفي مع ثبوت قوله صلى الله عليه وسلم: " سيحان وجيحان، والفرات والنيل، كل من أنهار الجنة ". أخرجه مسلم وغيره، وهو مخرج في " الصحيحة " (100) . وقوله: " الحجر الأسود من الجنة "، وما فيه من أن العجوة من الجنة، قد صح من حديث أبي هريرة وغيره كما بينته في " تخريج المشكاة " (4235) وأما نزول البركة في الفرات من الجنة، فلم أجد ما يشهد له، سوى ما أخرجه الخطيب أيضا من طريق الربيع بن بدر عن الأعمش عن شقيق عن عبد الله بن مسعود قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: " ينزل في الفرات كل يوم مثاقيل من بركة الجنة ". ضعيف جدا، فإن الربيع بن بدر هذا متروك، وقد روي عنه بلفظ آخر مضى برقم (1438)