লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ
১৩৫৩। অচিরেই আমার পরে তোমাদের ব্যাপারে এমন সব লোক নেতৃত্বে আসবে যারা তোমরা যে বস্তুকে মন্দ মনে করো সেটিকে তোমাদের নিকট ভালো হিসেবে উপস্থাপন করবে আর তোমরা যে বস্তুকে হক বলে জানবে তাকে তারা মন্দ মনে করবে। সে ব্যক্তির আনুগত্য করা যাবে না যে আল্লাহর নাফারমানী করে। অতএব তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের ব্যাপারে রোগাক্রান্ত হয়ে যেও না।
হাদীসটি এ বাক্যে দুর্বল।
হাদীসটি হাকিম (৩/৩৫৭), আব্দুল্লাহ ইবনু আহমাদ “যাওয়াইদুল মুসনাদ” গ্রন্থে (৫/৩২৯) মুসলিম ইবনু খালেদ সূত্রে আর "আযযাওয়াইদ" গ্রন্থে ইয়াহইয়া ইবনু মুসলিম সূত্রে ইবনু খুসাইম হতে, তিনি ইসমাঈল ইবনু ওবায়দ ইবনে রিফা’য়াহ হতে, তিনি তার পিতা হতে, তিনি ওবাদাহ ইবনুস সামেত (রাঃ) হতে তিনি বলেনঃ আমি আবুল কাসেম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ ...।
আমি (আলবানী) বলছিঃ মুসলিম ইবনু খালেদের মধ্যে তার হেফযের দিক দিয়ে দুর্বলতা রয়েছে। কিন্তু হাকিম উল্লেখ করেছেন যে, যুহায়ের ইবনু মুয়াবিয়্যাহ তার মুতাবা’য়াত করেছেন। হতে পারে আব্দুল্লাহ ইবনু আহমাদের সূত্রে যে ইয়াহইয়া ইবনু মুসলিমের কথা উল্লেখ করা হয়েছে তিনি মুসলিম ইবনু খালেদ নন বরং অন্য কেউ। কিন্তু আমি তাকে চিনি না।
ইমাম আহমাদ হাদিসটিকে ইসমাইল ইবনু আইয়্যাশ সূত্রে আবদুল্লাহ ইবনু উসমান ইবনে খায়সাম হতে, তিনি ইসমাঈল ইবনু ওবায়েদ আনসারী হতে বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি বলেননি যে তার পিতা হতে।
এ ইসমাঈল ইবনু আইয়্যাশ শামীদের ছাড়া অন্যদের থেকে বর্ণনা করার ক্ষেত্রে দুর্বল। আর এ বর্ণনাটি সেগুলোরই অন্তর্ভুক্ত।
তার থেকে ভিন্ন একটি সনদে বর্ণনা করা হয়েছে যেটিকে ওকায়লী “আযযুয়াফা” গ্রন্থে (২৪৬) হিশাম ইবনু আম্মার সূত্রে ইসমাঈল ইবনু আইয়্যাশ হতে, তিনি আব্দুল আযীয ইবনু ওবায়দিল্লাহ ইবনে হামযাহ ইবনে সুহায়েব হতে, তিনি শাহর ইবনু হাওশাব হতে, তিনি আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনিল আস (রাঃ) হতে, তিনি রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন তিনি বলেনঃ ...।
ওকায়লী বলেনঃ আব্দুল আযীয সম্পর্কে ইয়াহইয়া ইবনু মাঈন বলেনঃ তিনি দুর্বল। তার থেকে ইসমাঈল ইবনু আইয়্যাশ ব্যতীত অন্য কেউ হাদীস বর্ণনা করেননি।
আমি (আলবানী) বলছিঃ তিনি শামী হিমসী। ইসমাঈল ইবনু আইয়্যাশের বর্ণনা থেকে তার হাদীস নিরাপদ। কিন্তু তিনি দুর্বল তার পূর্বোক্ত অবস্থার কারণে।
ওকায়লী বলেনঃ হাদীসের শেষে ব্যবহৃত (فلا تعتلوا) এ শব্দটি একমাত্র এ হাদীসের মধ্যেই পাওয়া গেছে। এরূপ ভাবার্থে বর্ণিত হাদীসে এ শব্দের বিপরীত বর্ণনা করা হয়েছে যা এ বর্ণনার চেয়ে বেশী উত্তম।
আমি (আলবানী) বলছিঃ তার নিকট থেকে পূর্বোক্ত ইসমাঈল ইবনু ওবায়েদের বর্ণনাটি ছুটে গেছে। সেটি এটির চেয়ে ভালো। কিন্তু এ ইসমাঈলকে মাজহুলদের (অপরিচিতদের) মধ্যে গণ্য করা হয়েছে যেমনটি সেদিকে হাফিয যাহাবী ইঙ্গিত করেছেনঃ আব্দুল্লাহ ইবনু উসমান ইবনে খুসায়েম ব্যতীত অন্য কেউ তার থেকে বর্ণনা করেছেন বলে আমি জানি না।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ ছাড়া তার সনদের ব্যাপারে মতভেদ করা হয়েছে। তাদের মধ্য থেকে কেউ কেউ বলেছেনঃ “তার পিতা হতে”, আবার কেউ এ কথা বলেননি। অতএব তিনিই হাদীসটির সমস্যা।
আর ওকায়লী যে ভাষার দিক দিয়ে এর চেয়ে ভালো বর্ণনা হিসেবে ইঙ্গিত করেছেন, তিনি তা দ্বারা উম্মু সালামা (রাঃ)-এর হাদীসকে বুঝিয়েছেন, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
ستكون أمراء، فتعرفون وتنكرون، فمن عرف برىء، ومن أنكر سلم، ولكن من رضي وتابع "، قالوا: أفلا نقاتلهم؟ قال: " لا ما صلوا
“অচিরেই কতিপয় নেতার আবির্ভাব ঘটবে তোমরা তাদের কিছু কর্ম ভাল হিসেবে পাবে আর কিছু কর্মকে মন্দ হিসেবে পাবে। যে ব্যক্তি মন্দকে জেনে তার সাথে জড়িত হওয়া থেকে বিরত থাকবে সে মুনাফিকী হতে বেঁচে যাবে। আর যে ব্যক্তি মুখে প্রতিবাদ করবে সে গুনাহ এবং শাস্তি থেকে নিরাপদে থাকবে। কিন্তু যে অন্তরে অন্তরে সন্তুষ্ট থাকবে এবং তাদের কর্মের অনুসরণ করবে (সে নাফারমান হিসেবে গণ্য হবে)। (সাহাবীগণ বললেনঃ) এমতাবস্থায় আমরা কি তাদের বিপক্ষে লড়াই করব না? তিনি বললেনঃ না, যে পর্যন্ত তারা সালাত কায়েম করে।
হাদীসটি ইমাম মুসলিম (১৮৫৪) প্রমুখ মুহাদ্দিসগণ বর্ণনা করেছেন।
এ ভাষার হাদীসটি সহীহ, আমি এটিকে "সিলসিলাহ সহীহাহ" গ্রন্থে (৩০০৭) উল্লেখ করেছি।
سيلي أموركم من بعدي رجال يعرفونكم ما تنكرون، وينكرون عليكم ما تعرفون، فلا طاعة لمن عصى الله، فلا تعتلوا بربكم ضعيف بهذا اللفظ - أخرجه الحاكم (3/357) وعبد الله بن أحمد في " زوائد المسند " (5/329) من طريق مسلم بن خالد - وفي " الزوائد ": يحيى بن مسلم وأظنه تحريفا - عن ابن خثيم عن إسماعيل بن عبيد بن رفاعة عن أبيه عن عبادة بن الصامت قال: سمعت أبا القاسم صلى الله عليه وسلم يقول: فذكره قلت: ومسلم بن خالد فيه ضعف من قبل حفظه، لكن ذكر الحاكم أنه تابعه زهير بن معاوية، ويحتمل أن يكون يحيى بن مسلم الذي في طريق عبد الله بن أحمد هو غير مسلم بن خالد، ولكني لم أعرفه وقد أخرجه أحمد (5/325) من طريق إسماعيل بن عياش عن عبد الله بن عثمان بن خثيم: حدثني إسماعيل بن عبيد الأنصاري به إلا أنه لم يقل: عن أبيه. وإسماعيل بن عياض ضعيف في روايته عن غير الشاميين وهذه منها وقد روي عنه بإسناد آخر، أخرجه العقيلي في " الضعفاء " (246) من طريق هشام ابن عمار قال: حدثنا إسماعيل بن عياش قال: حدثنا عبد العزيز بن عبيد الله بن حمزة بن صهيب عن شهر بن حوشب عن عبد الله بن عمرو بن العاص عن رسول الله صلى الله عليه وسلم أنه قال فذكره بنحوه وقال: " عبد العزيز؛ قال يحيى - يعني ابن معين -: ضعيف لم يحدث عنه إلا إسماعيل بن عياش " قلت: وهو شامي حمصي، فحديثه هو المحفوظ من رواية إسماعيل بن عياش ولكنه ضعيف لما عرفت من حاله. وقد قال العقيلي في الحديث أما هذا اللفظ: " فلا تعتلوا "، فلا يحفظ إلا في هذا الحديث. وقد روي في هذا المعنى بخلاف هذا اللفظ رواية أحسن من هذه ". قلت: وقد فاته رواية إسماعيل بن عبيد المتقدمة، وهي أجود من هذه، غير أن إسماعيل هذا في عداد المجهولين كما أشار إلى ذلك الذهبي بقوله ما علمت روى عنه سوى عبد الله بن عثمان بن خثيم قلت: ومع ذلك، فقد اختلفوا عليه في إسناده، فمنهم من قال: " عن أبيه ومنهم من لم يقل، فهو علة الحديث. والله أعلم وأما اللفظ الذي أشار إليه العقيلي فالظاهر أنه يعني حديث أم سلمة رضي الله عنها أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال " ستكون أمراء، فتعرفون وتنكرون، فمن عرف برىء، ومن أنكر سلم، ولكن من رضي وتابع "، قالوا: أفلا نقاتلهم؟ قال: " لا ما صلوا رواه مسلم وغيره، وهو مخرج في " الصحيحة " برقم (3007) (تنبيه) : قوله: " فلا تعتلوا " كذا وقع في حديث عبادة عند أحمد وابنه عبد الله، ووقع في " المستدرك " و" تلخيصه ": " فلا تعتبوا "! ! وفي مجمع الزوائد " (5/226) : " فلا تقبلوا "! وفي " الجامع الكبير - المصورة " فلا تضلوا "! وزاد في المخرجين " الشاشي وهذا اختلاف شديد في هذه اللفظة، ولعل الصواب فيها الوجه الأول لاتفاق رواية أحمد مع رواية ابنه عليها، ولموافقته لرواية العقيلي في حديث ابن عمرو بن العاص وقد خفي أمر هذه الكلمة على الدكتور القلعجي، فلم يستطع أن يقرأها على الصواب في مخطوطة " ضعفاء العقيلي " الذي حققه في زعمه، فجاءت في مطبوعته (3/22) في موضعين منها بلفظ فلا تقتلوا برأيكم وعلق عليه بقوله في هامش الأصل: فلا تغلبوا وهكذا فليكن تحقيق الدكتور! وكم له في تعليقاته من مثل هذا وغيره من الأخطاء والأوهام التي تدل على مبلغه من العلم. والله المستعان