লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ
১৩৩৫। আল্লাহ্ সুবহানাহু বলেনঃ যে ব্যক্তিকে কুরআন এবং আমার স্মৃতিচারণ আমার নিকট চাওয়া থেকে ব্যস্ত রাখবে আমি তাকে যারা চায় তাদেরকে যা দিয়ে থাকি তার চেয়ে উত্তম কিছু প্রদান করব। আল্লাহর কথার মর্যাদা সব কথার ঊর্ধ্বে সেরূপ যেরূপ আল্লাহর মর্যাদা তার সৃষ্টির উপরে।
হাদীসটি দুর্বল।
হাদীসটি ইমাম তিরমিযী (২/১৫২), দারেমী (২/৪৪১), ইবনু নাসর "কিয়ামুল লাইল" গ্রন্থে (পৃঃ ৭১), ওকায়লী “আযযুয়াফা” গ্রন্থে (৩৭৫), বাইহাকী “আল-আসমা অসসিফাত” গ্রন্থে (পৃঃ ২৩৮) মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান ইবনে আবী ইয়াযীদ হামদানী সূত্রে আমর ইবনু কায়েস হতে, তিনি আতিয়া হতে, তিনি আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে তিনি বলেনঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ...।
ইমাম তিরমিযী বলেনঃ হাদীসটি হাসান গারীব।
আমি (আলবানী) বলছিঃ বরং হাদীসটি দুর্বল। কারণ বর্ণনাকারী আতিয়্যাহ হচ্ছেন আউকী আর তিনি দুর্বল।
আর মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান ইবনে আবী ইয়াযীদ মিথ্যা বর্ণনা করার দোষে দোষী। ওকায়লী তার দ্বারাই সমস্যা বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ ইমাম আহমাদ বলেছেনঃ হাদীসটি দুর্বল। ইবনু মাঈন বলেনঃ তিনি নির্ভরযোগ্য নন। তিনি অন্যত্র বলেনঃ তিনি মিথ্যা বলেন।
তাকে ইমাম আবু দাউদও মিথ্যুক আখ্যা দিয়েছেন যেমনটি “আল-মীযান” গ্রন্থে এসেছে এবং তিনি তার এ হাদীসটি উল্লেখ করে বলেছেনঃ হাদীসটিকে ইমাম তিরমিযী হাসান আখ্যা দিয়ে ভাল করেননি।
ইবনু আবী হাতিম “আল-ইলাল” গ্রন্থে (২/৮২) তার পিতার উদ্ধৃতিতে বলেনঃ এ হাদীসটি মুনকার। মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান শক্তিশালী নন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ অনুরূপভাবে হাফিয ইবনু হাজার "আফ-ফাত্হ" গ্রন্থে (৯/৫৯) বলেছেনঃ হাদীসটি ইমাম তিরমিযী বর্ণনা করেছেন আর আতিয়্যাহ আউফী ছাড়া তার বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য। কারণ তার মধ্যে দুর্বলতা রয়েছে। তিনি এ সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা দিয়ে ভাল করেননি। কারণ তিনি হামদানীকে সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করেননি অথচ হামদানী আতিয়্যার চেয়েও বেশী দুর্বল।
তবে বাইহাকী বলেনঃ হাকাম ইবনু বাশীর ও হাম্মাদ ইবনু মারওয়ান আমর ইবনু কায়েস হতে বর্ণনা করার ক্ষেত্রে হামাদানীর মুতাবা’য়াত করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ মুতাবা’য়াতের দ্বারা সনদটি যদি সহীহ হয় তাহলে মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান হামাদানী এ হাদীসের ব্যাপারে ক্রটি থেকে মুক্ত হয়ে যাচ্ছে। হাকাম ইবনু বাশীর সত্যবাদী যেমনটি “আত-তাকরীব” গ্রন্থে এসেছে। আর মুহাম্মাদ ইবনু মারওয়ান যদি ওকায়লী বাসরী হন তাহলে তিনিও সত্যবাদী তবে তার কতিপয় সন্দেহমূলক বর্ণনা রয়েছে। আর তিনি যদি সুদ্দী আল-আসগার হন তাহলে তিনি মিথ্যা বর্ণনা করার দোষে দোষী। আর তারা দু’জনই সমসাময়িক।
মোটকথাঃ আতিয়াহ আউফীই হাদীসটির সমস্যা হিসেবে অবশিষ্ট থাকছে। হাদীসটির প্রথম অংশটি উমার (রাঃ) এবং হুযায়ফা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসেও বর্ণিত হয়েছে।
উমার কর্তৃক বর্ণিত হাদিসটি ইমাম বুখারী "খালকু আফআলুল ইবান" গ্রন্থে (পৃঃ ৯৩) যিরার হতে, তিনি সাফওয়ান ইবনু আবিস সাহবা হতে, তিনি বুকায়ের ইবনু আতীক হতে, তিনি সালেম ইবনু আব্দিল্লাহ ইবনে উমার হতে, তিনি তার পিতা হতে, তিনি তার দাদা হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি খুবই দুর্বল। যিরার হচ্ছে ইবনু সুরাদ তিনি এবং তার শাইখ সাফওয়ান ইবনু আবিস সাহবা দুর্বল বর্ণনাকারী। তবে প্রথমজন বেশী দুর্বল। ইমাম বুখারী তার সম্পর্কে নিজেই বলেছেনঃ তিনি মাতরূক। আর তাকে ইবনু মাঈন মিথ্যুক আখ্যা দিয়েছেন।
আর দ্বিতীয়জন (সাফওয়ান ইবনু আবিস সাহবা) সম্পর্কে হাফিয যাহাবী বলেনঃ তাকে ইবনু হিব্বান দুর্বল আখ্যা দিয়ে বলেছেনঃ তিনি এরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন যেগুলোর কোন ভিত্তি নেই। তিনি যখন এককভাবে কোন হাদীস বর্ণনা করেন তখন তার দ্বারা দলীল গ্রহণ করা না-জায়েয। অতঃপর তিনি তাকে নির্ভরযোগ্যদেরও অন্তর্ভুক্ত উল্লেখ করেন!
হাফিয ইবনু হাজার “আত-তাকরীব” গ্রন্থে বলেনঃ তিনি মাকবুল। তার ব্যাপারে ইবনু হিব্বান হতে দু’ধরনের সিদ্ধান্ত এসেছে।
হাফিয ইবনু হাজার “আল-ফাতহ” গ্রন্থে (৯/৫৪) বলেনঃ হাদীসটি ইয়াহইয়া ইবনু আব্দিল হামীদ আল-হামানী তার "মুসনাদ" গ্রন্থে উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) এর হাদীস থেকে উল্লেখ করেছেন। তার সনদে সাফওয়ান ইবনু আবিস সাহবা রয়েছেন। তার সম্পর্কে মতভেদ করা হয়েছে।
আর হুযায়ফা (রাঃ)-এর হাদীসটিকে আবু নুয়াইম "আল-হিলইয়াহ" গ্রন্থে (৭/৩১৩), ইবনু আসাকির “ফায়ীলাতু যিকরিল্লাহি আযযা অ-জাল্লা” গ্রন্থে (কাফ ২/২) দু’টি সনদে আবু মুসলিম আব্দুর রহমান ইবনু ওয়াকিদ হতে, তিনি সুফইয়ান ইবনু ওয়ায়নাহ হতে, তিনি মানসূর হতে, তিনি রিব’ঈ হতে, তিনি হুযায়ফাহ্ (রাঃ) হতে, তিনি বলেন রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা বলেছেনঃ “যে ব্যক্তিকে আমার স্মৃতিচারণ আমার নিকট চাওয়া থেকে ব্যস্ত রাখবে আমি তাকে তার চাওয়ার পূর্বেই প্রদান করব।”
আবু নুয়াইম এবং ইবনু আসাকির বলেনঃ হাদীসটি গারীব, আবু মুসলিম এককভাবে বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ ইবনু হিব্বান তাকে নির্ভরযোগ্য আখ্যা দিয়েছেন। ইবনু আদী বলেনঃ তিনি নির্ভরযোগ্যদের উদ্ধৃতিতে মুনকার হাদীস বর্ণনা করেন এবং হাদীস চুরি করেন।
হাফিয ইবনু হাজার বলেনঃ তিনি সত্যবাদী ভুলকারী।
আমি (আলবানী) বলছিঃ সনদের অন্যান্য বর্ণনাকারীগণ বুখারী এবং মুসলিমের বর্ণনাকারী। অতএব আমার নিকট এ সনদটি হাসান হতো যদি আব্দুর রহমান ইবনু ওয়াকিদ কর্তৃক হাদীসটি চুরি করার অথবা ভুল করার ভয় না থাকত।
يقول الرب عز وجل: من شغله القرآن وذكري عن مسألتي أعطيته أفضل ما أعطي السائلين، وفضلا كلام الله على سائر الكلام، كفضل الله على خلقه ضعيف - أخرجه الترمذي (2/152) واللفظ له، والدارمي (2/441) وابن نصر في " قيام الليل " (ص 71) والعقيلي في " الضعفاء " (375) والبيهقي في " الأسماء والصفات " (ص 238) من طريق محمد بن الحسن بن أبي يزيد الهمداني عن عمرو بن قيس عن عطية عن أبي سعيد الخدري قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: فذكره. وقال الترمذي: " حديث حسن غريب قلت: بل هو ضعيف، فإن عطية وهو العوفي ضعيف ومحمد بن الحسن بن أبي يزيد متهم، وبه أعله العقيلي فقال: " وقال أحمد: ضعيف الحديث، وقال ابن معين: ليس بثقة. وقال في موضع آخر: يكذب وكذلك كذبه أبو داود كما في " الميزان " وساق له هذا الحديث ثم قال: " حسنه الترمذي فلم يحسن وقال ابن أبي حاتم في " العلل " (2/82) عن أبيه: " هذا حديث منكر، ومحمد بن الحسن ليس بالقوي قلت: وكذلك لم يحسن الحافظ حين قال في " الفتح " (9/54) : " أخرجه الترمذي ورجاله ثقات إلا عطية العوفي ففيه ضعف فذهل عن الهمداني هذا وهو أشد ضعفا من عطية، وقد قال العقيلي: " ولا يتابع عليه لكن خالفه البيهقي فقال: " قلت: تابعه الحكم بن بشير، ومحمد بن مروان عن عمرو بن قيس قلت: فإذا صح السند بهذه المتابعة، فهي متابعة قوية، يبرأ محمد بن الحسن هذا من عهدة الحديث، فالحكم بن بشير صدوق، كما في " التقريب "، ومحمد بن مروان إن كان هو العقيلي البصري، فهو صدوق أيضا لكن له أوهام، وإن كان هو السدي الأصغر فهو متهم وكلاهما من طبقة واحدة. والله أعلم وبالجملة، فقد انحصرت علة الحديث في العوفي وقد روي الحديث بشطره الأول عن عمر وحذيفة أما حديث عمر، فأخرجه البخاري في " خلق أفعال العباد " (ص 93 - هند) : حدثنا ضرار: حدثنا صفوان بن أبي الصهباء عن بكير بن عتيق عن سالم بن عبد الله بن عمر عن أبيه عن جده مرفوعا به قلت: وهذا سند ضعيف جدا، ضرار وهو ابن صرد - بضم المهملة وفتح الراء وشيخه صفوان بن أبي الصهباء ضعيفان، والأول أشد ضعفا، فقد قال البخاري نفسه: " متروك ". وكذبه ابن معين وأما الآخر، فقال الذهبي: " ضعفه ابن حبان وقال: يروي ما لا أصل له، ولا يجوز الاحتجاج بما انفرد به ثم ذكره في " الثقات " أيضا وقال الحافظ في " التقريب ": " مقبول، اختلف فيه قول ابن حبان والحديث قال في " الفتح " (9/54) : " وأخرجه يحيى بن عبد الحميد الحماني في " مسنده " من حديث عمر بن الخطاب، وفي إسناده حذيفة فأخرجه أبو نعيم في " الحلية " (7/313) وابن عساكر في فضيلة ذكر الله عز وجل " (ق 2/2) بإسنادين عن أبي مسلم عبد الرحمن بن واقد: حدثنا سفيان بن عيينة عن منصور عن ربعي عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم " قال الله تعالى: من شغله ذكري عن مسألتي أعطيته قبل أن يسألني ". وقالا: " حديث غريب تفرد به أبو مسلم قلت: وثقه ابن حبان. وقال ابن عدي: " يحدث بالمناكير عن الثقات، ويسرق الحديث وقال الحافظ: صدوق يغلط قلت: وبقية رجال الإسناد ثقات رجال الشيخين، فالإسناد حسن عندي، لولا ما يخشى من سرقة عبد الرحمن بن واقد، أوغلطه والله أعلم