লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ
১৩৩৪। কুরআনের অপরাপর অবশিষ্ট সব কথার উপর সেরূপ ফাযীলাত যেরূপ রহমানের (আল্লাহর) ফাযীলাত তাঁর সমস্ত সৃষ্টির উপরে।
হাদীসটি দুর্বল।
হাদীসটি আবু ইয়ালা "মুজামুশ শুয়ুখ" গ্রন্থে (কাফ ১/৩৪), ইবনু আদী “আল-কামেল” গ্রন্থে (কাফ/১/২৪৬) ও বাইহাকী "আস-আসমাউ অসসিফাত" গ্রন্থে (২৩৮) উমার আল-আবহ সূত্রে সাঈদ ইবনু আবী আরূবাহ হতে, তিনি কাতাদাহ হতে, (বাইহাকী বৃদ্ধি করে বলেছেন) তিনি আশয়াস আল-আমা হতে, তিনি শাহর ইবনু হাওশাব হতে, তিনি আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
বাইহাকী বলেনঃ উমার আল-আবহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন এবং তিনি শক্তিশালী নন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ বরং তিনি খুবই দুর্বল যেমনটি ইমাম বুখারীর নিম্নলিখিত ভাষা থেকে স্পষ্ট হয়েছেঃ তিনি মুনকারুল হাদীস।
তা সত্ত্বেও হাফিয ইবনু হাজার “ফাতহুল বারী” গ্রন্থে (৯/৫৪) হাল্কাভাবে শুধু বলেছেনঃ তিনি দুর্বল। সম্ভবত তিনি এরূপ বলেছেন এ কারণে যে, উমার আল আবহ এককভাবে হাদীসটি বর্ণনা করেননি যে সম্পর্কে আলোচনা আসবে।
আর শাহর ইবনু হাওশাব তার হেফযের দিক দিয়ে দুর্বল।
আর আশ’য়াশ আল-আ’মা হচ্ছেন ইবনু আবদিল্লাহ হাদানী আবু আদিল্লাহ আল-আ’মা। তিনি সত্যবাদী। তবে তার সনদের ব্যাপারে মতভেদ করা হয়েছে। ইমাম বাইহাকী বলেনঃ ইউনুস ইবনু ওয়াকীদ আল-বাসরী হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি আশ’য়াককে উল্লেখ না করে তার সনদে সাঈদ হতে বর্ণনা করেছেন। আবার আব্দুল ওয়াহাব ইবনু আতা এবং মুহাম্মাদ ইবনু সাওয়া বর্ণনা করেছেন সাঈদ হতে, তিনি আশয়াশ হতে কাতাদাকে উল্লেখ করা ছাড়াই।
অতঃপর হাফিয ইবনু হাজার বলেনঃ হাদীসটি ইবনুয যুরায়েস অন্য সূত্রে শাহর ইবনু হাওশাব হতে মুরসাল হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তার বর্ণনাকারীগণের ব্যাপারে কোন সমস্যা নেই।
আমি (আলবানী) বলছিঃ অনুরূপভাবে দারেমী (২/৪৪১) সুলায়মান ইবনু শাহর ইবনু হারব হতে, তিনি হাম্মাদ ইবনু সালামাহ হতে, তিনি আশ’য়াশ হাদানী হতে, তিনি হাওশাব হতে তিনি বলেনঃ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ...।
আর হাদানী সত্যবাদী আর তার নিম্নের বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য।
মোটকথাঃ হাদীসটির সনদে ইযতিরাব সংঘটিত হওয়ায় এবং সনদটি মুরসাল এবং সনদের বর্ণনাকারী দুর্বল হওয়ার কারণে দুর্বল।
ইমাম বুখারী "আফ’আলুল ইবাদ" গ্রন্থে (পৃঃ ৯১) ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, হাদীসটি মারফু হিসেবে সহীহ নয়।
ইমাম বাইহাকী ইয়ালা ইবনুল মিনহাল সাকূতী সূত্রে ইসহাক ইবনু সুলায়মান রাযী হতে, তিনি জারাহ ইবনুয যুহহাক কিন্দী হতে, তিনি আলকামাহ ইবনু মারসাদ হতে, তিনি আব্দুর রহমান হতে, তিনি উসমান (রাঃ) হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এভাবে ইবনুয যুরায়েস জারাহ হতে বর্ণনা করেছেন।
এ সনদের বর্ণনাকারী ইয়ালা ইবনুল মিনহালকে ইবনু আবী হাতিম “আলজারহু অততা’দীল” গ্রন্থে (৪/২/৩০৫) উল্লেখ করেছেন। শুধুমাত্র হাতিম ইবনু আহমাদ ইবনিল হাজ্জাজ মারওয়াযী তার থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি ইয়ালা সম্পর্কে ভালো-মন্দ কিছুই বলেননি।
বাইহাকী বলেনঃ বলা হয়ে থাকে যে, হামানী হাদীসটিকে ই’য়ালা হতে গ্রহণ (চুরি) করেছেন। অতএব তিনি হাদীস চুরি করার ব্যাপারে মিথ্যার দোষে দোষী।
মোটকথাঃ হাদীসটি দুটি সূত্রে বর্ণিত হয়েছে আর কোন সূত্রেই সহীহ নয় বরং দুর্বল। প্রথম সূত্রটি খুবই দুর্বল আর দ্বিতীয় সূত্রটি দুর্বল। সঠিক হচ্ছে হাদীসটি মওকুফ।
অন্য একটি সূত্রে নিম্নলিখিত ভাষায় হাদীসটি বর্ণিত হয়েছেঃ (দেখুন পরেরটি)
فضل القرآن على سائر الكلام، كفضل الرحمن على سائر خلقه ضعيف - أخرجه أبو يعلى في " معجم شيوخه " (ق 34/1) وابن عدي في " الكامل " (ق/246/1) والبيهقي في " الأسماء والصفات " (ص 238) من طريق عمر الأبح عن سعيد بن أبي عروبة عن قتادة - زاد البيهقي: عن الأشعث الأعمى - عن شهر بن حوشب عن أبي هريرة مرفوعا به. وقال البيهقي: " تفرد به عمر الأبح وليس بالقوي قلت: بل هو ضعيف جدا كما يفيده قول البخاري فيه: " منكر الحديث ومع ذلك فقد اقتصر الحافظ في " الفتح " (9/54) على قوله فيه: " وهو ضعيف ولعل ذلك لعدم تفرد الأبح به كما يأتي وشهر بن حوشب ضعيف من قبل حفظه وأما الأشعث الأعمى فهو ابن عبد الله الحداني أبو عبد الله الأعمى، وهو صدوق. وقد اختلف في إسناده، فقال البيهقي: " وروي عن يونس بن واقد البصري عن سعيد دون ذكر الأشعث في إسناده. ورواه عبد الوهاب بن عطاء ومحمد بن سواء عن سعيد عن الأشعث دون ذكر قتادة فيه ثم قال الحافظ ابن حجر: " وأخرجه ابن الضريس من وجه آخر عن شهر بن حوشب مرسلا، ورجاله لا بأس بهم قلت: وكذلك أخرجه الدارمي (2/441) : حدثنا سليمان بن حرب: حدثنا حماد بن سلمة عن أشعث الحداني عن شهر بن حوشب قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم والحداني صدوق، ومن دونه ثقات وبالجملة فالحديث ضعيف لاضطرابه، وإرساله وضعف راويه. وقد أشار البخاري في " أفعال العباد " (ص 91) ، إلى أنه لا يصح مرفوعا. وقد أخرجه العسكري عن طاووس والحسن من قولهما كما في " الفتح "، وكذلك رواه ابن نصر في " قيام الليل " (ص 71) عن شهر بن حوشب وأبي عبد الرحمن السلمي، وعلقه البخاري في " الأفعال " (ص 72) عن السلمي، وقد روي عنه عن عثمان مرفوعا أخرجه البيهقي من طريق يعلى بن المنهال السكوني: حدثنا إسحاق بن سليمان الرازي عن الجراح بن الضحاك الكندي عن علقمة بن مرثد عن أبي عبد الرحمن عن عثمان مرفوعا به وهكذا أخرجه ابن الضريس عن الجراح به كما في " الفتح ". والجراح صدوق كما في " التقريب "، وقال الذهبي: " صويلح "! وبقية رجاله ثقات غير يعلى بن المنهال أورده ابن أبي حاتم في " الجرح والتعديل " (4/2/305) من رواية حاتم ابن أحمد بن الحجاج المروزي فقط عنه، ولم يذكر فيه توثيقا ولا تجريحا وقد تابعه الحماني عن إسحاق به مرفوعا أخرجه البيهقي أيضا وقال: " ويقال: إن الحماني أخذ ذلك من يعلى والله أعلم يعني أنه سرقه منه، فإنه متهم بسرقة الحديث، كما تقدم في الحديث (1329) وقد خالفهما يحيى بن أبي طالب، فرواه عن إسحاق بن سليمان به إلى أبي عبد الرحمن موقوفا عليه من قوله وتابعه على ذلك غيره كما قال البيهقي. وقال الحافظ (9/54) : " وقد بين العسكري أنها من قول أبي عبد الرحمن السلمي وجملة القول أن الحديث ضعيف لا يصح من طريقيه، فالأولى ضعيفة جدا، والأخرى ضعيفة، والصواب الوقف. وقد روي من طريق أخرى مرفوعا في عجز الحديث الآتي