১৩০২

পরিচ্ছেদঃ

১৩০২। হাদীসের সমস্যা হচ্ছে মিথ্যা বর্ণনা করা, জ্ঞানের বিপদ হচ্ছে ভুলে যাওয়া, সহনশীলতার বিপদ হচ্ছে মূর্খতা, ইবাদাতের বিপদ হচ্ছে অলসতা প্রদর্শন করা, জ্ঞানের বিপদ হচ্ছে দাম্ভিকতা প্রকাশ করা, বীরত্বের বিপদ হচ্ছে অত্যাচার করা (অবাধ্যতা), মহত্বের (ক্ষমা করার) বিপদ হচ্ছে খোটা দেয়া, সৌন্দর্যের বিপদ হচ্ছে অহংকার।

হাদীসটি বানোয়াট।

হাদীসটি ত্ববারানী "আল-মুজামুল কাবীর" গ্রন্থে (২৬৮৮) ও কাযাঈ “মুসনাদুশ শিহাব” গ্রন্থে (২/৮) মুহাম্মাদ ইবনু আবদিল্লাহ আবু রাজা আল-হিবতী হতে, তিনি আবূ ইসহাক হতে, তিনি আলী (রাঃ) হতে মারফূ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

হাদীসটি আবু বাকর আবহারী "আল-ফাওয়াইদুল মুনতাকাত" গ্রন্থে (কাফ ২/১৩৬, ২/১৩৮) হাম্মাদ ইবনু আমর নাসীবী আবু ইসমাঈল হতে, তিনি আস-সারীউ ইবনু খালেদ হতে, তিনি জাফার ইবনু মুহাম্মাদ হতে, তিনি তার পিতা হতে, তিনি তার দাদা আলী (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন এবং নিম্নলিখিত ভাষায় কিছু বেশী বর্ণনা করেছেনঃ

জ্ঞানের বিপদ হচ্ছে দাম্ভিকতা প্রকাশ করা, দানশীলতার বিপদ হচ্ছে অপচয় করা আর ধর্মের বিপদ হচ্ছে মনোবৃত্তির অনুসরণ করা।

আমি (আলবানী) বলছিঃ কোন এক মুহাদ্দিস টীকায় লিখেছেন, তবে আমার ধারণা তিনি হচ্ছেন ইবনুল মুহিব্বঃ হাদীসটি বানোয়াট।

আমি (আলবানী) বলছিঃ তা এ কারণে যে, হাদীসটির ভাষার মধ্যে জাল করার প্রমাণ সুস্পষ্ট। এর সমস্যা হচ্ছে বর্ণনাকারী হারেস তিনি হচ্ছেন হারেস আল-আওয়ার হামদানী। তিনি দুর্বল এবং মিথ্যা বর্ণনা করার দোষে দোষী।

অন্য একটি সূত্রে নাসীবী রয়েছেন, তিনি হচ্ছেন জলকারী আর আরেক বর্ণনাকারী আস-সারীউ ইবনু খালেদ হচ্ছেন মাজহুল (অপরিচিত)।

হাদীসটি দায়লামী তার “মুসনাদ’ গ্রন্থে (১/১/৭৭) ইবনু লাল সূত্রে মুহাম্মাদ ইবনু বুকায়ের হাযরামী হতে, তিনি হাসান ইবনু আব্দিল হামীদ কূফী হতে, তিনি তার পিতা হতে, তিনি জাফার ইবনু মুহাম্মাদ হতে বর্ণনা করেছেন।

কিন্তু এ সনদের বর্ণনাকারী হাসান মিথ্যা বর্ণনা করার দোষে দোষী। তার থেকে মুহাম্মাদ ইবনু বুকায়ের ’আলী (রাঃ) সম্পর্কে একটি বানোয়াট হাদীস বর্ণনা করেছেন। ইবনু হাজার আসকালানীর “আল-মীযান” গ্রন্থে এরূপই এসেছে। বানোয়াট হওয়া সত্ত্বেও হাদীসটিকে “আল-জামেউস সাগীর” গ্রন্থে উল্লেখ করা হয়েছে।

آفة الحديث الكذب، وآفة العلم النسيان، وآفة الحلم السفه، وآفة العبادة الفترة، وآفة الظرف الصلف، وآفة الشجاعة البغي، وآفة السماحة المن، وآفة الجمال الخيلاء موضوع - رواه الطبراني في " الكبير " (2688) والقضاعي في " مسند الشهاب " (8/2) عن محمد بن عبد الله أبو رجاء الحبطي عن أبي إسحاق عن الحارث أن عليا رضي الله عنه قال: فذكره مرفوعا ثم رواه هو وأبو بكر الأبهري في " الفوائد المنتقاة " (ق 136/2 - 138/2) عن حماد بن عمرو النصيبي أبي إسماعيل عن السري بن خالد عن جعفر بن محمد عن أبيه عن جده علي به وزاد: وآفة الظرف الصلف، وآفة الجود السرف، وآفة الدين الهو ى قلت: وكتب أحد المحدثين - وأظنه ابن المحب - على الهامش أنه حديث موضوع قلت: وذلك لظهو ر الصنع والوضع في متنه، وآفته الحارث؛ وهو الأعور الهمداني ضعيف متهم وفي الطريق الأخرى النصيبي وهو وضاع. والسري بن خالد مجهول وأخرجه الديلمي في " مسنده " (1/1/77) من طريق ابن لال عن محمد بن بكير الحضرمي حدثنا الحسن بن عبد الحميد الكوفي عن أبيه عن جعفر بن محمد به والحسن هذا متهم، قال الذهبي: " لا يدرى من هو، روى عنه محمد بن بكير حديثا موضوعا في ذكر علي عليه السلام وكذا في اللسان والحديث من أحاديث " الجامع الصغير " الموضوعة وما أكثرها فيه، فكن على ذكر منها وحذر


হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ