লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ
৯১৫। কোন বান্দা তার পিতা-মাতা বা যে কোন একজন মারা যাওয়া অবস্থায় অবাধ্য থাকলে, তাদের দু’জনের জন্য সে আল্লাহর নিকট নেককার বান্দা হিসাবে না লিখা পর্যন্ত সর্বদা দোআ করবে।
হাদীছটি দুর্বল।
এটি ইবনুল জাওযী "আল-মাওষু’আত" (৩/৮৮) গ্রন্থে লাহেক ইবনুল হুসাইন সূত্রে তার সনদে ইসমাঈল ইবনু মুহাম্মাদ ইবনে জাহাদাহ হতে তিনি তার পিতা হতে তিনি আনাস (রাঃ) হতে মারফু’ হিসাবে বর্ণনা করে বলেছেনঃ এটির কোন ভিত্তি নেই। লাহেক মিথ্যুক, জালকারী।
সুয়ুতী “আল-লাআলী” (২/২৯৭) গ্রন্থে তার সমালোচনা করে বলেছেনঃ হাদীছটির অন্য সূত্রও রয়েছে, সেটি বাইহাকী “আশ-শু’আব" গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। সুয়ূতী বলেনঃ তাতে ইয়াহইয়া ইবনু উকবাহ রয়েছেন তিনি দুর্বল।
আমি (আলবানী) বলছিঃ বরং তিনি তার চেয়েও নিকৃষ্ট। আবু হাতিম তার সম্পর্কে বলেনঃ তিনি হাদীছ তৈরি করতেন। ইবনু হিব্বান বলেনঃ তিনি নির্ভরযোগ্যদের উদ্ধৃতিতে বানোয়াট হাদীছ বর্ণনা করতেন। ইবনু মাঈন বলেনঃ তিনি মিথ্যুক, খাবীছ, আল্লাহর দুশমন।
ইবনু ইরাক "তানযীহুশ শারীয়াহ" গ্রন্থের ভূমিকায় তাকে জালকারীদের মধ্যে উল্লেখ করেছেন। অতঃপর তিনি তা ভুলে গিয়ে ইবনুল জাওযীর সমালোচনায় সুয়ুতীর সাথে ঐকমত্য পোষণ করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ আবু আব্দুর রহমান আস-সুলামী জাল করার দোষে দোষী। সনদটি ধ্বংসপ্রাপ্ত। কিন্তু সুয়ূতী বলেছেনঃ ইবনু আবিদ দুনিয়া "কিতাবুল কুবূর" গ্রন্থে খালেদ ইবনু খুদাশ হতে ... বর্ণনা করেছেন। হাফিয ইরাকী "তাখরীজুল ইহইয়্যা" গ্রন্থে বলেনঃ মুরসাল হিসাবে এটির সনদ সহীহ।
আমি (আলবানী) বলছিঃ কক্ষণও নয়, কারণ এই খালেদ ইবনু খুদাশ দোষী। তার সম্পর্কে হাফিয যাহাবী "আল-মীযান" গ্রন্থে বলেনঃ তাকে নির্ভরযোগ্য বলা হয়েছে। আবু হাতিম ও অন্য বিদ্বানগণ বলেনঃ তিনি সত্যবাদী। ইবনু মাঈন বলেনঃ তিনি হাম্মাদ হতে কতিপয় হাদীছ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। ইবনুল মাদীনী ও যাকারিয়া আস-সাজী বলেনঃ তিনি দুর্বল। অতঃপর যাহাবী তার একটি হাদীছ উল্লেখ করে বলেছেনঃ এটি মুনকার।
আমি (আলবানী) বলছিঃ মুরসাল হওয়া সত্ত্বেও তার কারণেই সনদটি দুর্বল।
إن العبد ليموت والداه أو أحدهما وإنه لعاق، فلا يزال يدعولهما حتى يكتب عند الله بارا ضعيف - أورده ابن الجوزي في " الموضوعات " (3 / 88) من طريق لاحق بن الحسين بسنده عن إسماعيل بن محمد بن جحادة عن أبيه عن أنس مرفوعا قال: " لا أصل له، لاحق كذاب يضع وتعقبه السيوطي في " اللآلىء المصنوعة " (2 / 297) بأن له طريق آخر، أخرجه البيهقي في " الشعب " قال: أنبأنا أبو عبد الرحمن السلمي ... عن يحيى بن عقبة بن أبي العيزار عن محمد بن جحادة عن أنس بن مالك به وقال السيوطي: " ويحيى بن عقبة ضعيف قلت: بل هو شر من ذلك فقد قال أبو حاتم: " يفتعل الحديث ". وقال ابن حبان: " يروي الموضوعات عن الأثبات ". وقال ابن معين: " كذاب خبيث عدوالله ". وقد أورده ابن عراق في " الوضاعين " من مقدمة كتابه " تنزيه الشريعة " ثم نسي ذلك فتابع السيوطي في تعقبه على ابن الجوزي! وأورد الحديث من أجل ذلك في " الفصل الثاني " (2 / 297) . قلت: وأبو عبد الرحمن السلمي متهم أيضا، فالسند هالك، لكن قال السيوطي بعد ذلك: " وقال ابن أبي الدنيا في " كتاب القبور ": حدثني خالد بن خداش: حدثنا عبد العزيز بن محمد الدراوردي عن عبد العزيز بن أبي سلمة الماجشون عن أيوب السختياني عن محمد بن سيرين قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: إن الرجل ليموت.... " الحديث. قال خالد: فحدثت حماد بن زيد فأعجب بذلك، أخرجه البيهقي وقال: هذا على إرساله أصح من الأول. وقال العراقي في " تخريج الإحياء ": " هذا مرسل صحيح الإسناد قلت: كلا، فإن خالد بن خداش مخدوش! قال الذهبي في " الميزان ": " وثق وقال أبو حاتم وغيره، صدوق، وقال ابن معين ينفرد عن حماد بأحاديث، وقال ابن المديني وزكريا الساجي: ضعيف ثم ساق الذهبي له حديث: " لا يولد مولود بعد ستمائة لله فيه حاجة " وقال: " منكر ". قلت: فالإسناد على إرساله ضعيف من أجله، فالحديث لا يصح بوجه من الوجوه، والله أعلم