৬৮৪

পরিচ্ছেদঃ

৬৮৪। তোমরা এমন এক যুগে আছ যে, তোমাদের যে ব্যক্তি নির্দেশিত কর্মের দশমাংশকে ছেড়ে দিবে সে ধ্বংস হয়ে যাবে। অতঃপর এমন একটি যুগ আসবে কেউ যদি নির্দেশিত কর্মের দশমাংশের উপর আমল করে তাহলে নাজাত পেয়ে যাবে।

হাদীছটি দুর্বল।

এটি ইমাম তিরমিযী (৩/২৪৬), তাম্মাম "আল-ফাওয়ায়েদ" (১/১০/২ নং ৭৪) গ্রন্থে, আবু নোয়াইম "আল-হিলইয়্যাহ" (৭/৩১৬) গ্রন্থে, হারাবী "যাম্মুল কালাম" (১/১৫/১) গ্রন্থে, আস-সাহমী (৪২০) এবং ইবনু আসাকির (১৫/১৩৪/২) নোয়াইম ইবনু হাম্মাদ হতে তিনি সুফিয়ান ইবনু উয়াইনা হতে তিনি আবুয যিনাদ হতে তিনি আ’রাজ হতে ... বর্ণনা করেছেন। ইমাম তিরমিযী হাদীছটিকে নিম্নোক্ত ভাষ্য দ্বারা দুর্বল আখ্যা দিয়েছেনঃ হাদীছটি গারীব, একমাত্র নাঈমের হাদীছ হতেই এটিকে চিনি। আবু নোয়াইম বলেনঃ নোয়াইম এককভাবে বর্ণনা করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ তিনি অধিক পরিমাণে সন্দেহপ্রবণ হওয়ার কারণে দুর্বল। এমনকি আবু দাউদ তার সম্পর্কে বলেনঃ তার নিকট নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে প্রায় বিশটি হাদীছ আছে সেগুলোর কোন ভিত্তি নেই। ইবনু আদী “আল-কামিল” গ্রন্থে তার এককভাবে বর্ণনাকৃত হাদীছগুলো উল্লেখ করেছেন। সেগুলোর একটি হচ্ছে এ হাদীছটি।

মাবাবী বলেনঃ ইবনুল জাওয়ী হাদীছটি “আল-ওয়াহিয়াত” গ্রন্থে উল্লেখ করে বলেছেন, নাসাঈ বলেছেনঃ হাদীছটি মুনকার। সেটিকে নোয়াইম ইবনু হাম্মাদ বর্ণনা করেছেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ তারা যেরূপ ধারণা করেছেন যে, তিনি এককভাবে বর্ণনা করেছেন তা নয়। বরং এটির আরো দুটি সূত্র রয়েছেঃ

১। আবু যার হতে আল-হারাবী বর্ণনা করেছেন। এটির সনদে মুহাম্মাদ ইবনু তাফার নামক এক বর্ণনাকারী আছেন। তার জীবনী কে আলোচনা করেছেন পাচ্ছি না। সম্ভবত এ ব্যক্তিই এ সনদটির বিপদ।

২। হাসান বাসরী হতে মারফু’ হিসাবে আবু আমর আদ-দানী “আস-সুনানুল ওয়ারিদা ফিল ফিতান” গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। এর সনদটি নিম্নোল্লিখিত কারণে নিতান্তই দুর্বলঃ

১। হাসান হতে মুরসাল হিসাবে বর্ণিত। তার মুরসালগুলো সম্পর্কে মুহাদ্দিছগণ বলেছেনঃ সেগুলো বাতাসের ন্যায়।

২। বর্ণনাকার লাইছ ইবনু আবী সুলায়েমের মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটেছিল।

৩। লাইছ হতে বর্ণনাকারী যদি ইবরাহীম ইবনু মুহাম্মাদ আল-আসলামী না হন। তাহলে তাকে চিনি না। তার সম্পর্কে ইমাম আহমাদকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি তাকে চিনেন নি। তার থেকে অন্য এক ব্যক্তি বর্ণনা করেছেন। তাকেও তিনি চিনেন নি।

إنكم في زمان من ترك منكم عشر ما أمر به هلك، ثم يأتي زمان من عمل منهم بعشر ما أمر به نجا ضعيف - رواه الترمذي (3 / 246) وتمام في " الفوائد " (1 / 10 / 2 رقم 74) وأبو نعيم في " الحلية " (7 / 316) والهروي في " ذم الكلام " (1 / 15 / 1) والسهمي (420) وابن عساكر (15 / 134 / 2) عن نعيم بن حماد: أخبرنا سفيان بن عيينة عن أبي الزناد عن الأعرج عن أبي هريرة مرفوعا، وضعفه الترمذي بقوله: " غريب لا نعرفه إلا من حديث نعيم بن حماد وقال أبو نعيم: " تفرد به نعيم قلت: وهو ضعيف لكثرة وهمه حتى قال أبو داود: " عنده نحوعشرين حديثا عن النبي صلى الله عليه وسلم ليس لها أصل ". قال الذهبي: " وقد سرد ابن عدي في " الكامل " جملة أحاديث انفرد بها نعيم، منها هذا الحديث قال المناوي: " وأورده ابن الجوزي في " الواهيات " وقال: قال النسائي: حديث منكر رواه نعيم بن حماد، وليس بثقة ". قلت: لكنه لم ينفرد به كما زعموا، فقد وجدت له طريقين آخرين: الأول: عن أبي ذر، أخرجه الهروي (14 - 15) من طريقين عن محمد بن طفر بن منصور حدثنا محمد بن معاذ حدثنا علي بن خشرم: حدثنا عيسى بن يونس عن الحجاج بن أبي زياد عن أبي الصديق أو عن أبي نضرة - شك الحجاج - عن أبي ذر مرفوعا به نحوه أتم منه. قلت: وهذا سند رجاله كلهم ثقات غير محمد بن طفر هذا فلم أجد من ترجمه، ولعله هو آفة هذا الإسناد النظيف (1) . الثاني: عن الحسن البصري مرفوعا، أخرجه أبو عمرو الداني في " السنن الواردة في الفتن " (10 / 2) عن إبراهيم بن محمد عن ليث بن أبي سليم عن معاوية عن الحسن به. وهذا سند ضعيف جدا، وفيه علل 1 - إرسال الحسن، ومراسيله قالوا: هي كالريح 2 - اختلاط ليث بن أبي سليم 3 - إبراهيم بن محمد إن لم يكن الأسلمي المتروك فلم أعرفه، لكنه قد توبع كما يأتي والحديث سئل عنه أحمد فلم يعرفه، وحدث به رجل فلم يعرفه. ذكره ابن قدامة في " المنتخب " (10 / 196) . ثم رأيت ابن أبي حاتم أورده في " العلل " (2 / 429) من طريق نعيم بن حماد، ثم قال: " فسمعت أبي يقول: هذا عندي خطأ رواه جرير وموسى بن أيمن عن ليث عن معروف عن الحسن عن النبي صلى الله تعالى عليه وآله وسلم مرسل


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ