৩৭৬৮

পরিচ্ছেদঃ ৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - বিচারকার্য এবং সাক্ষ্যদান

৩৭৬৮-[১১] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। (একদিন) নিশ্চয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক গোত্রের ওপর কসম করার নির্দেশ দিলেন। অতঃপর তারা সকলেই (কসমের জন্য) স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে এলো। অতএব তিনি তাদের মধ্যে কে কসম করবে, সে ব্যাপারে লটারী করার হুকুম দিলেন। (বুখারী)[1]

بَابُ الْأَقْضِيَةِ وَالشَّهَادَاتِ

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَرَضَ عَلَى قَوْمٍ الْيَمِينَ فَأَسْرَعُوا فَأَمْرَ أَنْ يُسْهَمَ بَيْنَهُمْ فِي اليَمينِ أيُّهُمْ يحْلِفُ. رَوَاهُ البُخَارِيّ

ব্যাখ্যা: বিচারকার্য সম্পাদনের জন্য অত্র হাদীসটি মাইলফলক। যেখানে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লটারীর মাধ্যমে বিচার করেছেন।

প্রখ্যাত ‘আলিমী দীন আল্ মুযহির (রহঃ) বলেনঃ এ রকম বিচারের পদ্ধতি হলো দু’ব্যক্তি জিনিসের দাবীদার জিনিসটি রয়েছে তৃতীয় ব্যক্তির নিকটে দু’জনের, একজনেরও কোনো প্রমাণ নেই অথবা দু’জনেরই প্রমাণ রয়েছে। তৃতীয় ব্যক্তি বলছেন, আমি জানি না জিনিসটি কার? অর্থাৎ জিনিসটি কি এদের দু’জনের কারো নাকি অন্য কারো। এমতাবস্থায় তাদের মাঝে তিনি লটারী করবেন, লটারীতে যার নাম উঠবে তাকে শপথ করতে বললেন, শপথ করলে তার পক্ষে রায় দিবেন। এভাবে ফায়সালার পক্ষে অবস্থান ‘আলী (রাঃ)-এর। ইমাম শাফি‘ঈ বলেনঃ জিনিসটি তৃতীয় ব্যক্তির হাতে থাকবে। ইমাম আবূ হানীফাহ্ (রহঃ) বলেনঃ জিনিসটি দু’ খন্ড করে দু’জনকে দিয়ে দিতে হবে। (ফাতহুল বারী ৫ম খন্ড, হাঃ ২৬৭৪; মিরকাতুল মাফাতীহ)