৩৭৪৫

পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - বিচারকদের (সহকর্মীদের) বেতন ও হাদিয়া গ্রহণ করা

৩৭৪৫-[১] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি স্বেচ্ছায় তোমাদেরকে কিছু প্রদান করি না এবং বঞ্চিতও করি না, আমি শুধু বণ্টনকারী। অতএব আমি যে স্থানে দেয়ার সেখানে প্রদান করি। (বুখারী)[1]

بَابُ رِزْقِ الْوُلَاةِ وَهَدَايَاهُمْ

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا أُعْطِيكُمْ وَلَا أَمْنَعُكُمْ أَنَا قَاسِمٌ أَضَعُ حَيْثُ أُمِرْتُ» . رَوَاهُ البُخَارِيّ

ব্যাখ্যা: অত্র হাদীসটি প্রশাসকদের বেতন-ভাতা প্রসঙ্গ অধ্যায়ে এসেছে। হাদীসে এ ব্যাপারে দু’ ধরনের শব্দ এসেছে, (ক) رزق রিযক তথা মাসিক বেতন, (খ) العطاء তথা বাৎসরিক বা এককালীন দান।

(مَا أُعْطِيْكُمْ وَلَا أَمْنَعُكُمْ) এর ব্যাখ্যায় ‘আল্লামা মুল্লা ‘আলী কারী হানাফী (রহ) বলেনঃ হাদীসের এ অংশ নাবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার রাষ্ট্রের বিভিন্ন স্তরে দায়িত্বপ্রাপ্ত সকল সাহাবীদের লক্ষ্য করে বলেছেন, হে সাহাবীগণ! রাষ্ট্রের থেকে আমি তোমাদেরকে যে বেতন-ভাতা দিয়ে থাকি তা আল্লাহর নির্দেশক্রমেই দিয়ে থাকি। সুতরাং আল্লাহ যাকে যতটুকু দিতে বলেন তাকে ততটুকুই দিয়ে থাকি কমবেশী করি না। হাদীসের এ অংশ কুরআনে কারীমের ঐ আয়াতটিকে নির্দেশ করছে যেখানে আল্লাহ তা‘আলা বলেছেনঃ অর্থাৎ- ‘‘মুনাফিকদের কেউ কেউ আপনাকে বেতন ভাতা বণ্টনের ক্ষেত্রে সমালোচনা করে।’’ (সূরা আত্ তাওবাহ্ ৯ : ৫৮)

এ ব্যাপারে সহীহুল বুখারীতে আরো পরিষ্কার এসেছে, অর্থাৎ তাদের অবস্থা এমন যে, যদি তাদেরকে বেশী দেয়া হতো তাহলে তারা বেজায় খুশী আর যদি কম দেয়া হয় তাহলে চরম অখুশী। কিন্তু তারা যদি এমন করতো যে, আল্লাহর নাবী যা দিবেন তাতেই খুশী যেমন মু’মিনরা করতো তাহলে এটা তাদের জন্য খুবই ভালো হতো। অন্য হাদীস এসেছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ «اللّٰهُ يُعْطِي وَأَنَا أَقْسِمُ» অর্থ আমি শুধু বণ্টনকারী, দান মূলত আল্লাহই করেন। (মুসতাদরাক হাকিম ৬ষ্ঠ খন্ড, ৬৪ পৃঃ; মিরকাতুল মাফাতীহ)