৩৬৬৫

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ

৩৬৬৫-[৫] ’আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নাফরমানির ক্ষেত্রে আনুগত্য নেই। আনুগত্য শুধু সৎকর্মের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

اَلْفَصْلُ الْأَوَّلُ

وَعَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا طَاعَةَ فِي مَعْصِيَةٍ إِنَّمَا الطَّاعَةُ فِي الْمَعْرُوف»

ব্যাখ্যা: আমীরের নাম কেউ কেউ বলেছেনঃ ‘আব্দুল্লাহ বিন হুযাফাহ্। আমীরের আনুগত্য করতে হবে ভালো কাজে অবাধ্যতার কাজে নয়। আর আমীর এই কাজটি করেছিল, বলা হয়: পরীক্ষা করার জন্য। বলা হয়: কৌতুক করে। বলা হয়: নিশ্চয় এ লোকটি ‘আবদুল্লাহ বিন হুযাফাহ্ দুর্বল শ্রেণীর লোক। যদি তারা আগুনে প্রবেশ করত তাহলে তারা কিয়ামত পর্যন্ত আগুনের মাঝে থাকত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এটা (সংবাদ/জ্ঞান) ওয়াহীর মাধ্যমে জানতে পেরেছিলেন। সুতরাং শাসকের আনুগত্য করতে হবে ভালো কাজে, পাপের বা অন্যায়ের কাজে নয়। (শারহে মুসলিম ১২শ খন্ড, হাঃ ১৮৪০-৩৯)

* আবূ দাঊদের-এ ব্যাখ্যা গ্রন্থে ‘আওনুল মা‘বূদে শাসকের নাম নিয়ে মতভেদ রয়েছে : বলা হয়, ‘আব্দুল্লাহ বিন হুযাফাহ্, বলা হয় ‘আলকামাহ্ বিন মুজ্জায।

* খত্ত্বাবী (রহঃ) বলেছেনঃ অত্র হাদীসটি এটা প্রমাণ করে যে, ভালো কাজ ছাড়া শাসকের আনুগত্য করা ওয়াজিব না। (‘আওনুল মা‘বূদ ৫ম খন্ড, হাঃ ২৬২২)