৩৬৬২

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ

৩৬৬২-[২] উম্মুল হুসায়ন (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যদি কোনো বিকলাঙ্গ কুৎসিত গোলামকেও তোমাদের শাসক (নেতা) নিযুক্ত করা হয়। আর সে আল্লাহ তা’আলার কিতাব অনুযায়ী তোমাদেরকে পরিচালিত করে, তাহলে অবশ্যই তোমরা তার কথা শুনবে এবং তার আনুগত্য করবে। (মুসলিম)[1]

اَلْفَصْلُ الْأَوَّلُ

وَعَنْ أُمِّ الْحُصَيْنِ قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنْ أُمِّرَ عَلَيْكُمْ عَبْدٌ مُجَدَّعٌ يَقُودُكُمْ بِكِتَابِ اللَّهِ فَاسْمَعُوا لَهُ وَأَطيعُوا» . رَوَاهُ مُسلم

ব্যাখ্যা: যদি কোনো কান কাটা, নাক কাটা লোককে তোমাদের আমির হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। সে যদি তোমাদরেকে আল্লাহর কিতাবের ও রসূলের নির্দেশ দেয় তোমরা তাকে মেনে নিবে। যতক্ষণ পর্যন্ত সে তোমাদেরকে আল্লাহর কিতাবের ও রসূলের নিয়ম অনুযায়ী নির্দেশ দেয়। (মিরকাতুল মাফাতীহ)

* ইমাম সিন্দী (রহঃ) বলেছেনঃ যদি কোনো দাসকে খলীফা বা আমির হিসেবে নিযুক্ত করা হয় তাহলে তাকে প্রত্যাখ্যান করা যাবে না এবং এটা বলা যাবে না যে, সে আমিরের জন্য উপযুক্ত না। আমিরের আনুগত্য তখন করবে না, যখন সে আল্লাহ তা‘আলার হুকুমের বিপরীত নির্দেশ দেয়। (নাসায়ী ৪র্থ খন্ড, হাঃ ৪২০৩)

* ‘উলামাগণ হাদীসের অর্থ করেছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা (শাসকগণ) ইসলামকে আঁকড়ে ধরে থাকবে এবং আল্লাহর কিতাবের দিকে আহবান করবে যে কোনো অবস্থাতেই হোক, চাই ব্যক্তিগত, দীনগত, চারিত্রিকগত পার্থক্য হোক না কেন তাদের আনুগত্য করা আবশ্যক যদি তাদের ওপর আল্লাহর অবাধ্যতা প্রকাশ না পায়।

এখানে একটি প্রশ্ন: কিভাবে দাসের নির্দেশ মেনে নিবে শ্রবণ ও আনুগত্য করার জন্য?

এই প্রশ্নের উত্তরে দু’টি উদ্দেশ্য হতে পারে : (১) উদ্দেশ্য এটা হতে পারে যে, কোনো আমির বা শাসক একজন গোলামকে কোনো একটি এলাকার শাসক বা নায়েব হিসেবে নিযুক্ত করবে অস্থায়ীভাবে কিছু সময়ের জন্য। নিশ্চয় সে দাস, শাসক না।

২) উদ্দেশ্য এটা হতে পারে যে, যদি কোনো মুসলিম দাস বলপ্রয়োগ করে শাসন ক্ষমতার কর্তৃত্ব লাভ করে, তাঁর নির্দেশ বাস্তবায়ন করা এবং আনুগত্য করা ওয়াজিব। তার অবাধ্যতা করা জায়িয নেই। (শারহে মুসলিম ৯ম খন্ড, হাঃ ১২৯৮- ৩১১)