৩৫৩৭

পরিচ্ছেদঃ ৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - মুরতাদ এবং গোলযোগ সৃষ্টিকারীকে হত্যা করা প্রসঙ্গে

৩৫৩৭-[৫] জারীর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিদায় হজে/হজ্জে বলেছেনঃ তোমরা আমার অবর্তমানে কাফিরের দলে প্রত্যাবর্তন করো না যে, পরস্পরে বিবাদে লিপ্ত হবে। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

بَابُ قَتْلِ أَهْلِ الرِّدَّةِ وَالسُّعَاةِ بِالْفَسَادِ

وَعَنْ جَرِيرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ: «لَا تَرْجِعُنَّ بَعْدِي كُفَّارًا يَضْرِبُ بَعْضُكُمْ رِقَاب بعض»

ব্যাখ্যা: (لَا تَرْجِعُنَّ بَعْدِىْ كُفَّارًا) অর্থাৎ তোমরা আমার পরে কুফরীতে প্রত্যাবর্তন করো না। এর সাতটি অর্থ বলা যায়- ১. এটা অন্যায়ভাবে হালালকারীর ক্ষেত্রে কুফরী। ২. এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো নি‘আমাতকে এবং ইসলামী হককে অস্বীকার করা। ৩. সে কুফরীর নিকটবর্তী হয়ে যায় যা কুফরীতে নিয়ে যায় বা পৌঁছে দেয়। ৪. কাফিরদের ন্যায় কার্য সম্পাদন করে। ৫. এর দ্বারা উদ্দেশ্য ঈমানের হাকীকাত তথা মূল বিষয় এর অর্থ হচ্ছে, «لَا تَكْفُرُوا بَلْ دُومُوا مُسْلِمِينَ» তোমরা কুফরী করো না বরং সর্বদা মুসলিম থাকো। ৬. খত্ত্বাবী ও অন্যান্যরা বলেন- كُفَّار দ্বারা উদ্দেশ্য হলো অস্ত্রের পোশাক পরিধান করা। যেমন যখন কেউ অস্ত্র সজ্জিত হয় তখন তাকে বলা হয়- «تَكَفَّرَ الرَّجُلُ بِسِلَاحِه» আযহারী তাঁর ‘‘তাহযীবুল লুগাহ্’’ নামক গ্রন্থে উল্লেখ করেন, হাতিয়ার বা অস্ত্র পরিধানকারীকে কাফির বলা হয়। ৭. খত্ত্বাবী বলেনঃ এর অর্থ হলো তোমাদের কেউ যেন অন্যকে কাফির না বলে, এতে তারা পরস্পরে একে অন্যের সাথে যুদ্ধ করা হালাল মনে করবে। এসব অর্থের মধ্যে উপযুক্ত অর্থ হলো ৪র্থ মতটি যেটা কাযী ‘ইয়ায-এর পছন্দনীয় মত।

(لَا تَرْجِعُنَّ بَعْدِىْ) এর অর্থ কাযী ‘ইয়ায ও ত্ববারী বলেন- আমার পর বলতে আমার এই স্থান থেকে চলে যাওয়ার পর। অথবা এর অর্থ হবে خلافى তোমাদেরকে যার নির্দেশ দিয়েছি সেটা ব্যতীত অন্য কিছুকে আমার পশ্চাদবর্তী করো না। (শারহে মুসলিম ২য় খন্ড, হাঃ ১১৮)

এই হাদীসের ব্যাখ্যায় তুহফাতুল আহওযায়ীতে বলা হয়েছে, তোমরা আমার মৃত্যুর পর কর্মকা-- কাফিরদের সাদৃশ্যশীল হয়ো না।

الجمع (আল জাম্‘ই) গ্রন্থে বলা হয়েছে : আমার মৃত্যুর পর তোমরা প্রথমত যুদ্ধকে হালাল মনে করো না এবং যুদ্ধক্ষেত্রে কাফিরদের সাথে সাদৃশ্য রেখো না। (তুহফাতুল আহওয়াযী ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ২১৯)