৩৪৯০

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - দিয়াত (রক্তপণ)

৩৪৯০-[৫] ’আব্দুল্লাহ ইবনু ’আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জেনে রাখ, স্বেচ্ছায় হত্যার ন্যায় ভুলবশত হত্যা; যেমন- চাবুক অথবা লাঠির দ্বারা হত্যা করা হয়। তার দিয়াত (রক্তপণ) একশত উট, তন্মধ্যে চল্লিশটি হবে গর্ভবতী। (নাসায়ী, ইবনু মাজাহ ও দারিমী)[1]

عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: أَلَا إِنَّ دِيَةَ الْخَطَأِ شِبْهِ الْعَمْدِ مَا كَانَ بِالسَّوْطِ وَالْعَصَا مِائَةٌ مِنَ الإِبلِ: مِنْهَا أربعونَ فِي بطونِها أولادُها . رَوَاهُ النسائيُّ وَابْن مَاجَه والدارمي

ব্যাখ্যা: أَلَا শব্দটি সতর্কতা অর্থে ব্যবহৃত হয়। এ হাদীস থেকে বুঝা যাচ্ছে যে, শারী‘আতে অনিচ্ছাকৃত হত্যা বলতে কিছুই নেই। হত্যা তো হত্যাই ইচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায় হোক। সর্বাবস্থায় দিয়াত ওয়াজিব হবে। ইমাম মালিক (রহঃ) বলেন, শিব্হিল ‘আম্দ (ইচ্ছাকৃতের মতে) কোনো হত্যা নেই। বরং হত্যা ইচ্ছাকৃত অথবা ভুলবশত, এই দুই প্রকারই হতে পারে। কিন্তু ইমাম আবূ হানীফাহ্ (রহঃ) বলেন, ইবনু ‘উমার ও ‘আলী (রাঃ)-এর বর্ণিত হাদীস (أَنَّ الْقَتْلَ بِالْمُثَقَّلِ شِبْهُ عَمْدٍ لَا يُوجِبُ الْقِصَاصَ) দ্বারা দলীল গ্রহণ করেছেন যে, শিবহে ‘আমদ নামেও এক প্রকার হত্যা আছে যার বদলে কিসাস ওয়াজিব হয় না, বরং দিয়াত ওয়াজিব হয়। সাধারণত চাবুক কিংবা লাঠি দ্বারা আঘাত করলে হত্যা করার উদ্দেশ্য থাকে না। কেননা তার আঘাত হালকাই হয়ে থাকে। এতদসত্ত্বেও যদি মরে যায় তবে বলতে হবে যে, অনিচ্ছাকৃত মারা পড়েছে। সুতরাং এ জাতীয় হত্যাকে বলা হয় শিব্হে ‘আম্দ, কিন্তু যদি ভারী বস্তু দ্বারা আঘাত করা হয় তখন বলতে হবে যে, ইচ্ছা করেই মেরেছে আর এ হত্যাকে বলা বলা হয় কতলে ‘আম্দ, এ ক্ষেত্রে কিসাস ওয়াজিব হবে। (মিরকাতুল মাফাতীহ; শারহেন্ নাসায়ী ৪র্থ খন্ড, হাঃ ৪৮০৫)