৩৪৭৩

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

৩৪৭৩-[২৮] হাসান (রহঃ) সামুরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি তার গোলামকে হত্যা করবে, আমরাও তাকে হত্যা করব। আর যে কেউ তার গোলামের কোনো অঙ্গ কাটবে, আমরাও তার অঙ্গ কেটে দেব। (তিরমিযী, আবূ দাঊদ, ইবনু মাজাহ, দারিমী)[1]

আর ইমাম নাসায়ী তাঁর অন্য বর্ণনায় এ কথাটি অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন, যে কেউ তার গোলামকে খাসী করবে আমরাও তাকে খাসী করে দেব।

اَلْفَصْلُ الثَّانِىْ

وَعَن الْحسن عَن سَمُرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ قَتَلَ عَبْدَهُ قَتَلْنَاهُ وَمَنْ جَدَعَ عَبْدَهُ جَدَعْنَاهُ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَابْنُ مَاجَهْ وَالدَّارِمِيُّ وَزَادَ النَّسَائِيُّ فِي رِوَايَةٍ أُخْرَى: «وَمن خصى عَبده خصيناه»

ব্যাখ্যা: এখানে ‘হাসান’ দ্বারা ইমাম হাসান বাসরী (রহঃ)-কে বুঝানো হয়েছে। আলোচ্য হাদীসে বলা হয়েছে- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাস হত্যার অপরাধে মুনীবকে হত্যা করতে নির্দেশ দিয়েছেন। ‘আল্লামা খত্ত্বাবী (রহঃ) বলেনঃ এ বাক্যটি ভীতিপ্রদর্শন স্বরূপ বলা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে গোলামের বদলে তার মুনীবকে হত্যা করা যাবে না। অবশ্য এ কথাটি এজন্যই বলা হয়েছে যেন কোনো মুনীব তার দাসকে হত্যা করার ইচ্ছাও পোষণ না করে। যেমন এক হাদীসে বলা হয়েছে যে, মদ্যপায়ী বার বার মদ্য পান করলে তাকে তিনবার পর্যন্ত চাবুক মারা হবে। কিন্তু চতুর্থবার বা এর বেশী বার পান করলে তাকে হত্যা করতে হবে। অথচ এমন এক মদ্যপায়ীকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে আনা হলে তিনি তাকে হত্যা করলেন না। কিছুসংখ্যক ‘উলামাহ্ বলেন যে, আল্লাহর বাণী الْحُرُّ بِالْحُرِّ وَالْعَبْدُ بِالْعَبْدِ এ আয়াত দ্বারা আলোচ্য হাদীসটি রহিত করা হয়েছে। ইমাম আবূ হানীফাহ্ (রহঃ) বলেনঃ কোনো আযাদ ব্যক্তিকে তার নিজের গোলাম হত্যার বদলে হত্যা করা যাবে না। তবে ইব্রাহীম নাখ‘ঈ ও সুফ্ইয়ান সাওরী বলেনঃ নিজের গোলামের বদলেও তার মালিকে হত্যা করা যাবে। কেননা আল্লাহর বাণী النَّـفْسَ بِالنَّفْسِ অর্থাৎ জানের বদলে জান হত্যা করতে হবে। এ আয়াতে আযাদ/মুনীব ও দাসের মধ্যে কোনরূপ পার্থক্য করা হয়নি, অর্থাৎ ‘আম্ভাবে বলা হয়েছে। [আল্লাহই অধিক অবগত] (মিরকাতুল মাফাতীহ; ‘আওনুল মা‘বূদ ৭ম খন্ড, হাঃ ৪৫০৬; তুহফাতুল আহওয়াযী ৪র্থ খন্ড, হাঃ ১৪১৪; শারহেন্ নাসায়ী ৪র্থ খন্ড, হাঃ ৪৭৫০)