৩৪২৬

পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - মানৎ

৩৪২৬-[১] আবূ হুরায়রাহ্ ও ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তারা উভয়ে বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা মানৎ করো না। কেননা মানৎ তাকদীরের কোনই পরিবর্তন করতে পারে না। অবশ্য এর দ্বারা কৃপণের ব্যয়-নির্বাহ হয় মাত্র। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

بَابٌ فِى النُّذُوْرِ

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ قَالَا: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تَنْذُرُوا فَإِنَّ النَّذْرَ لَا يُغْنِي مِنَ الْقَدَرِ شَيْئًا وَإِنَّمَا يُسْتَخْرَجُ بِهِ من الْبَخِيل»

ব্যাখ্যা: (إِنَّه لَا يَرُدُّ مِنَ الْقَدَرِ شَيْئًا) মানৎ তাকদীরের কিছু্ পরিবর্তন করতে পারে না। মাযিরী বলেনঃ বাক্যটি নেতিবাচক বলার উদ্দেশ্য। সম্ভবত মানৎ করলে ব্যক্তির জন্য পূরণ অপরিহার্য হয়ে উঠে। ফলে উৎসাহ ব্যতিরেকে তার জন্য তা বাস্তবায়ন করা খুবই কষ্টকর হয়। এও সম্ভাবনা রয়েছে, নেকির উদ্দেশ্যই মানৎকে নিজের জন্য অপরিহার্য করেছে কোনো প্রকার বিনিময় ছাড়াই, ফলে প্রতিদান কম হয়। আর ‘ইবাদাত কেবলমাত্র আল্লাহর উদ্দেশ্য হয়।

সম্ভবনা রয়েছে মানৎ না করার অনেক অজ্ঞ ব্যক্তি মনে করে মানতের দ্বারা তাকদীর পরিবর্তন হয় এবং তাকদীর অর্জনে বাধা দান করে- অজ্ঞদের এই ভ্রান্ত ‘আক্বীদার আশঙ্কায় এটার কারণে মূলত নিষেধ করা হয়েছে। হাদীসের ভাষ্য এটার সমর্থন করে। [আল্লাহই বেশী ভালো জানেন] (শারহে মুসলিম ১১শ খন্ড, হাঃ ১৬৪০)

 


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ