৩৪২০

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

৩৪২০-[১৫] বুরায়দাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ’আমানত’ শব্দের দ্বারা কসম করল, সে আমাদের দলের অন্তর্ভুক্ত নয়। (আবূ দাঊদ)[1]

اَلْفَصْلُ الثَّانِىْ

وَعَنْ بُرَيْدَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ حَلَفَ بِالْأَمَانَةِ فَلَيْسَ منا» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

ব্যাখ্যা: (فَلَيْسَ مِنَّا) সে আমাদের দলভুক্ত নয় তথা যারা আমাদের ত্বরীকাকে অনুসরণ করে তাদের অন্তর্ভুক্ত নয়। কাযী বলেনঃ যারা আমাদের পরিবারের অন্তর্ভুক্ত বরং সে আমাদের ব্যতিরেকে অন্যদের সাদৃশ্য রাখে সে আসলে কিতাবের আদর্শে আদর্শিত। সম্ভবত এর দ্বারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শাস্তির ইচ্ছা ব্যক্ত করেছেন।
নিহায়াহতে বলেছেন, আমানত-এর নামে কসম খাওয়া ঘৃণিত। কেননা নির্দেশ হলো, ব্যক্তি কসম খাবে আল্লাহর নামে এবং তার গুণাবলী দ্বারা আর আমানত হলো আদেশসমূহের মধ্যে এক আদেশ। সুতরাং এটা দ্বারা কসম খাওয়াকে নিষেধ করা হয়েছে আল্লাহর নামসমূহ ও তার মাঝে সমতা হওয়ার (অথচ দু’টি আলাদা বিষয়)। যেমন নিষেধ করা হয়েছে বাপ-দাদাদের কসম খাওয়া আর যখন কসম খাওয়া ব্যক্তি বলবে, আল্লাহর আমানাতের কসম। আবূ হানীফাহ্-এর নিকট কসম বলে ধর্তব্য হবে আর ইমাম শাফি‘ঈ-এর নিকট গণ্য হবে না।

আর ‘আমানত’ শব্দটি ব্যবহার হয় ‘ইবাদাত আনুগত্য গচ্ছিত সম্পদ টাকা-পয়সা ইত্যাদির ক্ষেত্রে। (‘আওনুল মা‘বূদ ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ৩২৫১)