৩৪১৯

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

৩৪১৯-[১৪] ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত অন্য কারো নামে শপথ করল, সে শির্ক (অংশী স্থাপন) করল। (তিরমিযী)[1]

اَلْفَصْلُ الثَّانِىْ

وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَنْ حَلَفَ بِغَيْرِ اللَّهِ فَقَدْ أَشْرَكَ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ

ব্যাখ্যা: অনেক আহলে ‘ইলমের নিকট হাদীসের ব্যাখ্যাটি এরূপ সে কাফির হলো বা শির্ক করল। বক্তব্যটি কঠিনতার জন্য বলা হয়েছে। দলীল হিসেবে ইবনু ‘উমার-এর হাদীস:

أن النبى ﷺ سمع عمر يَقُولُ وَأَبِي وَأَبِي فَقَالَ أَلَا إِنَّ اللّٰهَ يَنْهَاكُمْ أَنْ تَحْلِفُوا بِآبَائِكُمْ

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘উমার -কে বলতে শুনলেন আমার পিতার কসম রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, খবরদার নিঃসন্দেহে আল্লাহ তোমাদেরকে তোমাদের বাপ-দাদার কসম খেতে নিষেধ করেছেন। আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন: (من قال في حلفه باللات وَالْعُزّٰى فَلْيَقُلْ لَا إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ) যে ব্যক্তি লাত্ ‘উয্যার কসম খায় সে যেন لَا إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ বলেন। (তুহফাতুল আহ্ওয়াযী ৪র্থ খন্ড, হাঃ ১৫৩৫)

যে ব্যক্তি সম্মানপ্রদর্শন ও তা‘যীমের নিয়্যাতে আল্লাহ ব্যতীত অন্য কিছুর কসম খায় সে সুস্পষ্ট মুশরিক। ইবনু হুমাম বলেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ ব্যতিরেকে যেমন নাবী এবং কা‘বাহ্ ঘরের কসম খায় সে কসমকারী নয়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সে ব্যক্তি কসমকারী হবে সে যেন আল্লাহর কসম খায় অথবা চুপ থাকে। (বুখারী, মুসলিম)

হিদায়াহ্ প্রণেতা বলেনঃ যদি কেউ কুরআনের কসম খায় আর সে জানে না এটা আল্লাহর সিফাত বা গুণ, তাহলে তার কসম সাব্যস্ত হবে না আর যদি জানে তাহলে কসম সাব্যস্ত হবে। আর কুরআনের শপথ করা তিন ইমামের নিকট বৈধ। জীবনের কসম বা শরীরে কোনো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের খাওয়াকে কল্যাণকর বিশ্বাস করে তাহলে কাফির হবে। ইবনু মাস্‘ঊদ বলেনঃ (لَأَنْ أَحْلِفَ بِاللّٰهِ كَاذِبًا أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ أَنْ أَحْلِفَ بِغَيْرِ اللّٰهِ صَادِقًا) আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারও সত্য কসম খাওয়ার চেয়ে আল্লাহর মিথ্যা কসম খাওয়া আমি বেশী পছন্দ করি। (মিরকাতুল মাফাতীহ)