৩৪১১

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ

৩৪১১-[৬] আবূ মূসা আল আশ্’আরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহর কসম! আমি যদি কোনো বস্তুর উপর কসম করি, তখন ঐ কসমের বিপরীত করা উত্তম বলে মনে করি। অতঃপর ইনশা-আল্লা-হ আমি আমার কসমের কাফফারা আদায় করে দেই এবং যে কাজটি উত্তম, তাই করি। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

اَلْفَصْلُ الْأَوَّلُ

وَعَنْ أَبِي مُوسَى قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَنِّي وَاللَّهِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ لَا أَحْلِفُ عَلَى يَمِينٍ فَأَرَى غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا إِلَّا كَفَّرْتُ عَنْ يَمِينِي وَأَتَيْتُ الَّذِي هُوَ خَيْرٌ»

ব্যাখ্যা: হাদীসের ভাষ্যমতে, কসম ভাঙ্গাই উত্তম যদি তার বিপরীত জিনিস উত্তম হয় যেমন কেউ কসম করল সে তার পিতা বা সন্তানের সাথে কথা বলবে না, কারণ সেখানে রয়েছে আত্মীয়তার সম্পর্কেচ্ছ। শারহেস্ সুন্নাতে এসেছে, কসম ভাঙ্গার পূর্বে কাফফারা হবে না পরে।

অধিকাংশ সাহাবী, শাফি‘ঈ, আহমাদ, মালিক-এর নিকট কসম ভাঙ্গার পূর্বে কাফফারা আদায় করবে তবে শাফি‘ঈ-এর মতে কসম ভাঙ্গার পূর্বে সওম দিয়ে কাফফারা আদায় করা বৈধ নয় আর আযাদ করা মিসকীনকে খাওয়ানো ও বস্ত্র দেয়ার মাধ্যমে কাফফারা আদায় বৈধ, কেননা যাকাত আদায় করা বৈধ বছর পূর্ণ হওয়ার পূর্বে কিন্তু রমাযানের সওম সময় হওয়ার পূর্বে বৈধ নয়। (মিরকাতুল মাফাতীহ)