৩১৩৩

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - বিয়ের ওয়ালী (অভিভাবক) এবং নারীর অনুমতি গ্রহণ প্রসঙ্গে

৩১৩৩-[৮] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ইয়াতীম মেয়ের (বিয়ের) ব্যাপারে তার মতামত নিতে হবে, আর তার নিরবতা সম্মতি বলে গণ্য হবে। আর যদি সে অস্বীকার করে, তবে তাকে বাধ্য করা যাবে না (বৈধ হবে না)। (তিরমিযী, আবূ দাঊদ, নাসায়ী)[1]

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْيَتِيمَةُ تُسْتَأْمَرُ فِي نَفْسِهَا فَإِنْ صَمَتَتْ فَهُوَ إِذْنُهَا وَإِنْ أَبَتْ فَلَا جَوَازَ عَلَيْهَا» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيّ

ব্যাখ্যা: কতিপয় বিদ্বানদের মতে ইয়াতীমা মহিলাকে যখন বিবাহ দেয়া হবে তখন তার বিবাহ তার সাবালিকা হওয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। বালেগা হওয়ার পর তার ঐচ্ছিক থাকবে সে বিবাহ মেনে নিতেও পারে অথবা ভেঙ্গে দিতেও পারে। আর এটা আসহাবে আবূ হানীফাহ্ (রহঃ)-এর কথা। অন্যদিকে আল্লাহ তা‘আলার কথা, অর্থাৎ- ‘‘তোমরা যদি ইয়াতীমা মহিলাদের প্রতি ইনসাফ না করার আশংকা কর তবে তোমাদের চাহিদানুযায়ী বিবাহ কর.....’’- (সূরা আন্ নিসা ৪ : ৩)। ইয়াতীমা মহিলা (অর্থাৎ- সেসব নাবাগেলা মহিলা যাদের বাবা নেই)’’ তাদের বিবাহ বৈধ হওয়ার প্রতি প্রমাণ বহন করে।

হাফিয ‘আসকালানী ফাতহুল বারীতে বলেছেনঃ এই আয়াতে এ মর্মে দলীল রয়েছে যে, পিতাহীন নাবাগেলা মহিলাকে বিবাহ দেয়া বৈধ। কারণ ইয়াতীমা হলো সে নাবালেগা মহিলা যার বাবা নেই। তবে তাকে বিবাহ দেয়া যাবে এ শর্তে যে, তার জন্য নির্ধারিত মোহর যেন যৎসামান্য না হয়। (‘আওনুল মা‘বূদ ৪র্থ খন্ড, হাঃ ২০৯৩)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ