৩০৬৮

পরিচ্ছেদঃ ১৯. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - ফারায়িয (মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি বণ্টন সম্বন্ধীয়) ও অন্তিম উপদেশ বা আদেশ)

৩০৬৮-[২৮] মুহাম্মাদ ইবনু আবূ বকর ইবনু হাযম (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, তিনি তাঁর পিতা (আবূ বকর ইবনু হাযম)-কে অনেকবার বলতে শুনেছেন, ’উমার ইবনুল খত্ত্বাব বলতেন, কি আশ্চর্য! ফুফু (ভাইয়ের পুত্র বা মেয়ের) মাওরূস হয় অথচ সে (তাদের) ওয়ারিস হয় না। (মালিক)[1]

وَعَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ حَزْمٍ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَاهُ كَثِيرًا يَقُولُ: كَانَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ يَقُولُ: عَجَبًا لِلْعَمَّةِ تُورَثُ وَلَا تَرث. رَوَاهُ مَالك

ব্যাখ্যা: উল্লেখিত হাদীসে মুহাম্মাদ ইবনু আবূ বাকর বর্ণনা করেছেন, তিনি তার পিতা আবূ বাকর (রাঃ)-কে খুব বেশি বলতে শুনেছেন যে, ‘উমার ইবনুল খত্ত্বাব (রাঃ) বলতেন, ফুফুদের জন্য আশ্চর্যের বিষয় হলো তার ভাইয়ের পুত্র থেকে ওয়ারিস হয় কিন্তু তারা (ফুফুরা) ভাতিজাদেরকে ওয়ারিস বানায় না, অর্থাৎ ফুফুরা হলো রক্তসম্পর্কীয় ওয়ারিস। তারা মৃত ব্যক্তির এমন ওয়ারিস যাদের কোনো অংশের বর্ণনা কিতাবুল্লাহ এবং সুন্নাতে রসূলে নেই ও তারা মৃত ব্যক্তির আসাবাও নয়। ফুফুরা ভাইয়ের পুত্র থেকে সম্পদ পাবে কিনা- এ বিষয়ে সাহাবী, তাবি‘ঈ ও তাবি-তাবি‘ঈদের মাঝে মতভেদ পরিলক্ষেত হয়। তবে অত্র হাদীস থেকে প্রতীয়মান হয় মদীনাবাসীর কিছু লোক ‘উমার ইবনুল খত্ত্বাব-এর এই উক্তি দিয়ে ফুফীদের জন্য দুই-তৃতীয়াংশের দ্বারা ফায়সালা করতেন। তবে অধিকাংশ মুহাক্কিক ‘উলামায়ে কিরাম ফুফীদের ওয়ারিস হওয়ার ব্যাপারে বিরোধিতা করেছেন। (মিরকাতুল মাফাতীহ)