৩০৫১

পরিচ্ছেদঃ ১৯. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ফারায়িয (মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি বণ্টন সম্বন্ধীয়) ও অন্তিম উপদেশ বা আদেশ)

৩০৫১-[১১] কাসীর ইবনু ’আব্দুল্লাহ (রহঃ) তাঁর পিতা থেকে, তিনি তাঁর দাদা হতে বর্ণনা করেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো গোত্রের মুক্ত ক্রীতদাস তাদেরই একজন, গোত্রের সাথে চুক্তিবদ্ধ ব্যক্তি তাদেরই একজন এবং গোত্রের ভাগিনেও তাদেরই একজন। (দারিমী)[1]

وَعَنْ كَثِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَوْلَى الْقَوْمِ مِنْهُمْ وَحَلِيفُ الْقَوْمِ مِنْهُمْ وَابْنُ أُخْتِ الْقَوْمِ مِنْهُمْ» . رَوَاهُ الدَّارمِيّ

ব্যাখ্যা: উপরোক্ত হাদীসে তিনজন যাবিল আরহাম-এর প্রাপ্ত অংশের ব্যাপারে আলোচিত হয়েছে।

প্রথমতঃ কোনো কওমের আযাদকারী ব্যক্তিই আযাদকৃত গোলামের সম্পদে আসাবা সাবাবিয়্যাহ্ হিসেবে ওয়ারিস হবে। পূর্বে এ ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে।

দ্বিতীয়তঃ কোনো কওমের মৈত্রী চুক্তিতে আবদ্ধ ব্যক্তিও তাদেরই অন্তর্ভুক্ত। ‘আল্লামা ত্বীবী (রহঃ) বলেন- পরস্পরে মৈত্রী চুক্তিতে আবদ্ধ নিমেণাক্ত পদ্ধতিতে হওয়া যায়। যেমন: একে অপরকে বলবে ‘‘আমার রক্তই তোমার রক্ত, আমার পোশাকই তোমার পোশাক, আমার চুক্তিই তোমার চুক্তি, আমার যুদ্ধই তোমার যুদ্ধ, আমি তোমার সম্পদে ওয়ারিস হবো, আর তুমি আমার সম্পদে ওয়ারিস হবে।

ইমাম আবূ হানীফাহ্ (রহঃ)-এর মতে- মৈত্রী চুক্তিতে আবদ্ধ ব্যক্তি মৃত ব্যক্তির ওয়ারিস হবে। তবে শর্ত হলো এমতাবস্থায় মৃত ব্যক্তির জন্যে মৈত্রী চুক্তিতে আবদ্ধ ব্যক্তি ব্যতীত অন্য কোনো ওয়ারিস না থাকা।

মীরাসের আয়াত নাযিল হওয়ার পূর্বে মৈত্রী চুক্তিতে আবদ্ধ ব্যক্তির জন্য মৃত ব্যক্তির সম্পদ এক-ষষ্ঠাংশ নির্ধারিত ছিল। আর তা ছিল আল্লাহ তা‘আলার এই বাণীর প্রেক্ষক্ষতঃ ‘‘আর তোমাদের যারা মৈত্রী চুক্তিতে আবদ্ধ হয় তাদেরকে তাদের প্রাপ্যাংশ প্রদান কর।’’ (সূরা আন্ নিসা ৪ : ৩৬)

পরবর্তীতে উক্ত বিধানকে রহিত করা হয়েছে আল্লাহ তা‘আলার এই বাণীর প্রেক্ষক্ষতঃ ‘‘আর রক্ত সম্পর্কীয় ব্যক্তিগণ একে অপরের ওপর শ্রেষ্ঠতর।’’ (সূরা আল আহযাব ৩৩ : ৬)

সুতরাং মৃত ব্যক্তির যদি কোনো আসাবা এবং যাবিল আরহাম না থাকে তাহলে এমতাবস্থায় মৈত্রী চুক্তিতে আবদ্ধ ব্যক্তি ওয়ারিস হবে। ‘আল্লামা বায়যাভী (রহঃ) বলেনঃ ইমাম আবূ হানীফাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিত, যদি কোনো ব্যক্তি অন্য কোনো ব্যক্তির হাতে ইসলাম গ্রহণ করে এবং এ মর্মে চুক্তিতে আবদ্ধ হয় যে, তারা একে অপরের পরস্পরের পরিত্যক্ত সম্পদের ওয়ারিস হবে, তবে উক্ত চুক্তি বিশুদ্ধ এবং তারা একে অপরকে ওয়ারিস বানাবে।

তৃতীয়তঃ কোনো কওমের বোনের ছেলে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত। পূর্বে এই এর ব্যাখ্যা আলোচিত হয়েছে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)