২৯৯৬

পরিচ্ছেদঃ ১৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - অনাবাদী জমিন আবাদ করা ও সেচের পালা

২৯৯৬-[৬] হাসান আল বসরী (রহঃ) সূত্রে সামুরাহ্ ইবনু জুনদুব হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি (মালিকবিহীন) জমিনের চারদিকে দেয়াল ঘেরা দিয়েছে, ঐ জমিন তার মালিকানাধীন। (আবূ দাঊদ)[1]

عَنِ الْحَسَنِ عَنْ سَمُرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ أَحَاطَ حَائِطًا عَلَى الْأَرْضِ فَهُوَ لَهُ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ

ব্যাখ্যা: (عَلَى الْأَرْضِ) অর্থাৎ- মৃত ভূখণ্ডের চতুর্দিকে।

(فَهُوَ لَه) তূরিবিশতী বলেনঃ যারা সীমানায় পাথর বা কোনো কিছু রাখার মাধ্যমে মালিকানা সাব্যস্তের মত পোষণ করে থাকে, তারা এ হাদীসের মাধ্যমে প্রমাণ উপস্থাপন করে থাকে। অথচ এর মাধ্যমে কোনো প্রমাণ প্রতিষ্ঠিত হয় না। কেননা কেবল মালিকানা সাব্যস্ত হয় আবাদকরণের মাধ্যমে। পক্ষান্তরে জমিনে পাথর বা কোনো কিছু রাখার মাধ্যমে অথবা দেয়াল দ্বারা বেষ্টনী দেয়ার মাধ্যমে কিছুতেই জমিন আবাদ করা সাব্যস্ত হয় না। তাঁর উক্তিতে (عَلَى الْأَرْضِ) অংশ রয়েছে যা বর্ণনার মুখাপেক্ষী। কেননা প্রত্যেক জমিন আবাদকরণের মাধ্যমে মালিকানা সাব্যস্ত হয় না।

ত্বীবী (রহঃ) বলেনঃ এ ক্ষেত্রে বিশ্লেষণ হিসেবে তার উক্তি (أَحَاطَ)-ই যথেষ্ট। কেননা এটা ঐ কথার উপর প্রমাণ বহন করছে যে, সে প্রতিবন্ধক কোনো প্রাচীর তৈরি করবে, যা ভিতরের বস্তুসমূহকে বেষ্টন করে রাখবে, যেমন ছাগলের খাঁচা স্বরূপ কোনো বেষ্টনী তৈরি করা, অথবা চতুস্পদ জন্তুর খোয়ার স্বরূপ। নববী (রহঃ) বলেনঃ ব্যক্তি যখন চতুস্পদ জন্তুর খোয়ার অথবা ফল শুকাবার খামার অথবা লাকড়ী এবং খড়কুটা জমা রাখার স্থান নিরূপণ করবে, তখন দেয়াল নির্মাণ করা শর্ত, দেয়াল নির্মাণ ছাড়া শুষ্ক খেজুরের ডাল এবং পাথর দাঁড় করানো যথেষ্ট হবে না। (মিরকাতুল মাফাতীহ)