২৯৮২

পরিচ্ছেদঃ ১৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - ভাড়ায় প্রদান ও শ্রম বিক্রি

২৯৮২-[২] ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শিঙ্গা লাগাতেন এবং শিঙ্গাদাতাকে মজুরি দিয়েছেন এবং তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নাকে ঔষধও নিয়েছেন। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

بَابُ الْإِجَارَةِ

وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ احْتَجَمَ فَأَعْطَى الْحَجَّامَ أجره واستعط

ব্যাখ্যা: (فَأَعْطَى الْحَجَّامَ أَجْرَة) এ অংশটি শিঙ্গা লাগিয়ে পারিশ্রমিক নেয়া বৈধ হওয়ার উপর প্রমাণ বহন করছে।

(اسْتَعَطَ) অর্থাৎ- সে তার নাকে ঔষধ প্রবেশ করাল। ত্বীবী (রহঃ) বলেন, السعوط শব্দের ‘সীন’ বর্ণে ‘যবর’ দিয়ে এক প্রকার ঔষধ যা নাকে প্রবেশ করানো হয়, যেমন ‘আরবীতে বলা হয় (اسعطت الرجل وَاِسْتَعَطَ) অর্থাৎ- আমি লোকটির নাকে ঔষধ দিলাম লোকটি নাকে ঔষধ গ্রহণ করল। উল্লেখিত হাদীসাংশ (اِسْتَعَطَ) এর মাঝে শ্রমিক খাটানোর বিশুদ্ধতা এবং ঔষধ প্রয়োগের বৈধতার প্রমাণ রয়েছে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)

ফাতহুল বারীতে এসেছে, (اِسْتَعَطَ) সে নাক দিয়ে ব্যবহার করল, আর তা হলো ব্যক্তি তার পিঠের উপর ভর করে গা এলিয়ে দেয়া এবং তার কাঁধদ্বয়ের মাঝে এমন কিছু রাখা যা কাঁধদ্বয়কে উঁচু করে রাখবে, যাতে তার মাথা ঢালু হতে পারে এবং তার নাকে পানি অথবা তেল পতিত হতে পারে, যাতে আছে বিচ্ছিন্ন অথবা মিশ্র ঔষধ। যাতে এর মাধ্যমে তা মস্তিষ্কে পৌঁছতে পারে এবং মস্তিষ্কে যে রোগ আছে তা হাঁচির মাধ্যমে বের করতে পারে।

তিরমিযীতে অন্য সানাদে ইবনু ‘আব্বাস হতে মারফূ‘ সূত্রে বর্ণিত আছে- (أَنَّ خَيْرَ مَا تَدَاوَيْتُمْ بِهِ السَّعُوْط) অর্থাৎ- নিঃসন্দেহে তোমরা যে সকল ঔষধ ব্যবহার করে থাক তার মাঝে নাক সর্বোত্তম। (ফাতহুল বারী ১০ম খন্ড, হাঃ ৫৬৯১)