২৯৫১

পরিচ্ছেদঃ ১১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কারো সম্পদে অন্যায় হস্তক্ষেপ, ঋণ ও ক্ষতিপূরণ

২৯৫১-[১৪] হারাম ইবনু সা’দ ইবনু মুহায়্যিসাহ্ (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন বারা ইবনু ’আযিব (রাঃ)-এর একটি উট কারো বাগানে ঢুকে ক্ষয়-ক্ষতি করে দিল। এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফায়সালা করলেন, দিনে বাগান হিফাযাত করার দায়িত্ব বাগানের মালিকের, আর রাতে পশু যা ক্ষয়-ক্ষতি করবে তার জন্য দায়ী পশুর মালিক। (মালিক, আবূ দাঊদ ও ইবনু মাজাহ)[1]

وَعَن حَرَامِ بْنِ سَعْدِ بْنِ مُحَيِّصَةَ: أَنَّ نَاقَةً لِلْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ دَخَلَتْ حَائِطًا فَأَفْسَدَتْ فَقَضَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَن أَهْلِ الْحَوَائِطِ حِفْظَهَا بِالنَّهَارِ وَأَنَّ مَا أَفْسَدَتِ الْمَوَاشِي بِاللَّيْلِ ضَامِنٌ عَلَى أَهْلِهَا. رَوَاهُ مَالِكٌ وَأَبُو دَاوُد وَابْن مَاجَه

ব্যাখ্যা: ‘নিহায়াহ্’ গ্রন্থে আছে (حَائِطًا) বলতে বাগান, যখন বাগানের উপর দেয়াল থাকে তখন তাকে (حَائِطًا) বলে। ‘শারহুস্ সুন্নাহ্’তে আছে- বিদ্বানগণ ঐ দিকে গিয়েছেন যে, চতুসম্পদ জন্তু অন্যের সম্পদ হতে দিনের বেলাতে যা ধ্বংস করবে তাতে চতুস্পদ জন্তুর মালিক দায়ী থাকবে না আর রাতে যা নষ্ট করবে তাতে পশুর মালিক দায়ী থাকবে। কেননা সাধারণ প্রথানুযায়ী বাগানের মালিকেরা তাদের বাগান দিনের বেলাতে সংরক্ষণ করে আর চতুস্পদ জন্তুর মালিকেরা রাতে তাদের পশু বেঁধে রাখে। সুতরাং যে অভ্যাসের বিপরীত করবে সে সংরক্ষণের নিয়ম হতে বেরিয়ে যাবে, এটা ঐ সময় যখন প্রাণীর সাথে প্রাণীর মালিক থাকবে না, আর প্রাণীর সাথে যখন তার মালিক থাকবে তখন প্রাণী যা ক্ষতি সাধন করবে তার দায় প্রাণীর মালিকের ওপর বর্তাবে, চাই মালিক তার ওপর আরোহণ করে থাকুক অথবা তাকে পরিচালনা করুক অথবা বেঁধে রাখুক অথবা প্রাণীটি দাঁড়িয়ে থাকুক এবং চাই প্রাণীটি তার হাত দ্বারা অথবা পা দ্বারা অথবা মুখ দ্বারা ক্ষতি সাধন করুক। এ মতের দিকে গিয়েছেন ইমাম মালিক ও শাফি‘ঈ। আর আবূ হানীফার সাথীবর্গ ঐ দিকে গিয়েছেন যে, মালিক প্রাণীর সাথে না থাকলে মালিকের ওপর যিম্মাদারী নেই, রাতে হোক অথবা দিনে হোক। (‘আওনুল মা‘বূদ ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ৩৫৬৬; মিরকাতুল মাফাতীহ)