২৯১৫

পরিচ্ছেদঃ ৯. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - দেউলিয়া (দারিদ্র্য) হওয়া এবং ঋণীকে অবকাশ দান

২৯১৫-[১৭] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মু’মিন তার ঋণের কারণে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে থাকে যতক্ষণ না তার পক্ষ হতে তা পরিশোধ করা হয়। (শাফি’ঈ, আহমাদ, তিরমিযী, ইবনু মাজাহ ও দারিমী; আর তিরমিযী বলেন, হাদীসটি গরীব)[1]

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عَلَيْهِ وَسلم: «نَفْسُ الْمُؤْمِنِ مُعَلَّقَةٌ بِدَيْنِهِ حَتَّى يُقْضَى عَنْهُ» . رَوَاهُ الشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَالتِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ وَالدَّارِمِيُّ وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: هَذَا حَدِيثٌ غَرِيب

ব্যাখ্যাঃ ত্ববারানীতে ইবনু উমার (রাঃ)-এর বর্ণনায় রয়েছে, ঋণ দু’ প্রকারঃ

১. যে ব্যক্তি তার ওপর থাকা ঋণ পরিশোধের ইচ্ছা নিয়ে মৃত্যুবরণ করল, আমি (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার অভিভাবক।

২. যে ব্যক্তি ঋণ পরিশোধের ইচ্ছা না করে (আত্মসাৎ করার ইচ্ছায়) মৃত্যুবরণ করল। এর কারণে সেদিন তার নেকী হতে কর্তন করা হবে, যেদিনে কোনো দিরহাম ও দীনার থাকবে না।

‘আল্লামা শাওকানী (রহঃ) বলেন, এমন অর্থবোধক অনেক হাদীস বর্ণিত হয়েছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এটা বলেছেন, ঋণী ব্যক্তির ওপর জানাযা নিষিদ্ধ হওয়ার পর যখন আল্লাহ তা‘আলা তাকে অনেক দেশে বিজয় দান করলেন এবং প্রচুর সম্পদ অর্জিত হলো। তখন তিনি ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির জাযানাহ্ আদায় করতেন এবং বায়তুল মাল হতে তাদের ঋণ পরিশোধ করতেন। আর এটাই যাকাত বণ্টনের আটটি খাতের একটি। (তুহফাতুল আহওয়াযী ৩য় খন্ড, হাঃ ১০৭৮)