২৯০৭

পরিচ্ছেদঃ ৯. প্রথম অনুচ্ছেদ - দেউলিয়া (দারিদ্র্য) হওয়া এবং ঋণীকে অবকাশ দান

২৯০৭-[৯] উক্ত রাবী [আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সক্ষম ব্যক্তির জন্য (অন্যের দেনা পরিশোধে) গড়িমসি করা জুলুম। ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি দেনা পরিশোধের জন্য কোনো সক্ষম ব্যক্তির ওপর দায়িত্ব অর্পণ করলে তা গৃহীত করা কর্তব্য। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

بَابُ الْإفْلَاسِ وَالْاِنْظَارِ

وَعَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَطْلُ الْغَنِيِّ ظُلْمٌ فَإِذَا أُتْبِعَ أحدكُم على مَلِيء فَليتبعْ»

ব্যাখ্যা: ঋণের প্রাপক ব্যক্তি যদি ধনীও হয় তবুও ঋণ পরিশোধ করা ওয়াজিব। ধনাঢ্য হওয়া তার প্রাপ্য বিলম্ব হওয়ার কারণ নয়। ধনীর ব্যাপারে যখন এমন বিধান, তখন প্রাপক ব্যক্তি যদি গরীব হয় তাহলে তো সেটা ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে আরো অগ্রগামী। সুতরাং এ মর্মে ব্যাখ্যায় আর অস্পষ্টতা থাকে না। ‘উলামাগণের মাঝে এ মর্মে মতপার্থক্য রয়েছে যে, পাওনাদার চাওয়ার পূর্বেই পরিশোধে সক্ষম ব্যক্তি পরিশোধে বিলম্ব করলে সে ফাসিক হবে কিনা। তবে আলোচ্য হাদীসটি পাওনাদারের চাওয়ার উপর নির্ভর করছে। এছাড়া অন্যান্য হকদার যারা রয়েছেন, যেমন- স্ত্রীর প্রতি স্বামীর হক, দাসের প্রতি মুনীবের ও প্রজার প্রতি রাজার হক এবং এর বিপরীত দিকটা, অর্থাৎ- স্বামীর প্রতি স্ত্রীর হক, মুনীবের প্রতি দাসের হক, রাজার প্রতি প্রজার হক- এসবগুলোই এ হুকুমের অন্তর্ভুক্ত হবে। কিন্তু ঋণ পরিশোধে অক্ষম ব্যক্তির টালবাহানা করা জুলুমের অন্তর্ভুক্ত হবে না। (ফাতহুল বারী ৪র্থ খন্ড, হাঃ ২২৮৭)