২৮৯৯

পরিচ্ছেদঃ ৯. প্রথম অনুচ্ছেদ - দেউলিয়া (দারিদ্র্য) হওয়া এবং ঋণীকে অবকাশ দান

২৮৯৯-[১] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি দেউলিয়াগ্রস্ত বলে গণ্য হবে, যে তার কাছে নিজের মাল হুবহু পাবে, সে তার অন্য পাওনাদার অপেক্ষা অগ্রাধিকারযোগ্য হবে। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

بَابُ الْإفْلَاسِ وَالْاِنْظَارِ

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَيُّمَا رَجُلٍ أَفْلَسَ فَأَدْرَكَ رَجُلٌ مَالَهُ بِعَيْنِهِ فَهُوَ أَحَق بِهِ من غَيره»

ব্যাখ্যা: মালিক (রহঃ)-এর বর্ণনায় ..... ‘আবদুর রহমান বিন হারিস (রহঃ) হতে বর্ণিত, যে ব্যক্তি তার পণ্য সামগ্রী বিক্রি করবে, অতঃপর ক্রেতা দেউলিয়া হয়ে গেল, কিন্তু বিক্রেতার মূল্য সে পরিশোধ করেনি। অতঃপর বিক্রেতা ক্রেতার কাছে তার উক্ত পণ্য সামগ্রী হুবহু পেলে সেই তার সর্বাধিক হকদার। এখান থেকে বুঝা যায় যে, বিক্রেতা মূল্যের কিছু অংশ হস্তগত করলে অবশিষ্ট মূল্য ঋণের মধ্যে গণ্য হবে (অর্থাৎ- ক্রয়-বিক্রয় বাতিল হবে না)। আর যদি মূল্য সম্পূর্ণ বাকী থাকে তবে ইমাম শাফি‘ঈ ও একদল ‘উলামাগণের মতে বিক্রেতার ইচ্ছাধীন থাকবে। যদি চায় তাহলে পণ্য সামগ্রী বর্জন করবে এবং ঋণের ভিত্তিতে তার মূল্য নিবে। অথবা ক্রেতা দেউলিয়া কিংবা মৃত্যুবরণ করার ক্ষেত্রে বিক্রেতা তার পণ্য সামগ্রী ফেরত নিতে পারবে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)