২৮৩৩

পরিচ্ছেদঃ ৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সুদ

২৮৩৩-[২৭] আবূ বুরদাহ্ ইবনু আবূ মূসা (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার আমি মদীনায় এসে ’আব্দুল্লাহ ইবনু সালাম (রাঃ)-এর সাথে সাক্ষাৎ করলাম। আমাকে তিনি বললেন, তুমি এমন এলাকায় বসবাস করছো, যেখানে সুদের প্রচলন অত্যধিক। অতএব কারো কাছে যদি তোমার কোনো পাওনা থাকে, সে যদি তোমাকে হাদিয়া হিসেবে এক বোঝা খড় অথবা এক গাঠুরী যব, অথবা ঘাসের একটি বোঝাও দেয়; তুমি তা গ্রহণ করবে না। কারণ এটা সুদ হিসেবে সাব্যস্ত হবে। (বুখারী)[1]

وَعَنْ أَبِي بُرْدَةَ بْنِ أَبِي مُوسَى قَالَ: قدمت الْمَدِينَة فَلَقِيت عبد الله بن سلا م فَقَالَ: إِنَّك بِأَرْض فِيهَا الرِّبَا فَاش إِذا كَانَ لَكَ عَلَى رَجُلٍ حَقٌّ فَأَهْدَى إِلَيْكَ حِمْلَ تَبْنٍ أَو حِملَ شعيرِ أَو حَبْلَ قَتٍّ فَلَا تَأْخُذْهُ فَإِنَّهُ رِبًا. رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ

ব্যাখ্যা: (إِذا كَانَ لَكَ عَلٰى رَجُلٍ حَقٌّ) ‘‘যখন কারো নিকট তোমার কোনো হক থাকে’’ অর্থাৎ কোনো প্রকার পাওনা থাকে।

(فَأَهْدٰى إِلَيْكَ حِمْلَ تَبْنٍ أَو حِملَ شَعِيْرِ أَو حَبْلَ قَتٍّ) ‘‘আর সেই ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি তোমাকে হাদিয়া স্বরূপ একবোঝা খড় অথবা একবোঝা যব অথবা এক আটি পশুর খাদ্য জাতীয় ঘাস দান করে, অর্থাৎ দানকৃত বস্তু যত স্বল্পমূল্যের অথবা সামান্য বস্তু হোক না কেন।

(فَلَا تَأْخُذْهُ) ‘‘তুমি তা গ্রহণ করবে না’’ (فَإِنَّه رِبًا) কেননা তা সুদ, অর্থাৎ ঋণগ্রহীতা ব্যক্তির নিকট থেকে ঋণ ব্যক্তির কোনো প্রকার সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ সুদের নামান্তর। তাই তা গ্রহণ করা নিষেধ যদিও সে ঐ ধরনের কোনো কিছু শর্ত করে না থাকে। তবে ‘উলামাগণের মতে এ ধরনের সুযোগ গ্রহণ হারাম নয়, বরং তা মাকরূহ। আর যদি ঋণ দেয়ার সময় শর্তারোপ করে, তবে সুদ এবং তা গ্রহণ করা হারাম। (ফাতহুল বারী ৭ম খন্ড, হাঃ ৩৮১৪)