৪৫৬

পরিচ্ছেদঃ

৪৫৬। ফাতিমা তার লজ্জাস্থানকে পবিত্র রেখেছে, ফলে আল্লাহ তার সন্তানদেরকে জাহান্নামের উপর হারাম করে দিয়েছেন।

হাদীসটি নিতান্তই দুর্বল।

এটি তাবারানী (১/২৫৭/১), উকায়লী “আয-যুয়াফা” গ্রন্থে (পৃঃ ২৮৬), ইবনু আদী “আল-কামিল” গ্রন্থে (কাফ ২৪৯/১), ইবনু শাহীন "ফাযায়েলে ফাতিমা" গ্রন্থে (পাতা ৩/১), তাম্মাম “আল-ফাওয়াইদ” গ্রন্থে (২/৬১), ইবনু মান্দা “আল-মা’রিফাত” গ্রন্থে (২/২৯৩/১) এবং ইবনু আসাকির (৫/২৩/১,১৭/৩৮৬/১) মুয়াবিয়া ইবনু হিশাম সূত্রে উমার ইবনু গিয়াস হাযরামী হতে ... বর্ণনা করেছেন। অতঃপর ইবনু শাহীন এবং আবুল কাসেম মেহরানী “আল-ফাওয়ায়েদুল মুন্তাখাবা” গ্রন্থে (২/১১/২) হাফস ইবনু উমার উবুল্লী সূত্রে বর্ণনা করেছেন। ইবনু শাহীন মুহাম্মাদ ইবনু ওবায়েদ ইবনে উতবাহ সূত্রে মুহাম্মাদ ইবনু ইসহাক বালখী হতে এবং তিনি তালীদ হতে ...বর্ণনা করেছেন।

এ তিনটি সূত্রই আসেম হতে। সবগুলোই নিতান্তই দুর্বল। একটি অন্যটির চেয়ে বেশী দুর্বল। প্রথমটির সনদে উমার ইবনু গিয়াস রয়েছেন। উকায়লী বলেনঃ বুখারী বলেছেনঃ তার হাদীসে বিরূপ মন্তব্য রয়েছে। উকায়লী বলেনঃ সে হাদীসটি হচ্ছে এটিই। বুখারী “তারীখুস সাগীর” গ্রন্থে বলেনঃ তিনি যে আসেম হতে শুনেছেন তা উল্লেখ করা হয়নি, হাদীসটি মু’যাল। ইবনু হিব্বান তাকে মিথ্যার দোষে দোষী করেছেন। তিনি আরো বলেছেনঃ তিনি আসেম হতে যা তার হাদীস নয় তা বর্ণনা করেছেন। ইবনু আবী হাতিম “আল-জারহু ওয়াত তা’দীল” গ্রন্থে (৩/১/১২৮) তার পিতার উদ্ধৃতিতে বলেছেনঃ তিনি মুনকারুল হাদীস। তার থেকে বর্ণনাকারী মুয়াবিয়া ইবনু হিশামের মধ্যে দুর্বলতা রয়েছে। ইবনু আদী কর্তৃক বর্ণিত সূত্রগুলো হতেই ইবনুল জাওয়ী তার “আল-মাওযু’আত” গ্রন্থে (১/৪২২) উল্লেখ করে বলেছেনঃ এটির সমস্যার কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে আমর ইবনু গিয়াস (তাকে বলা হয় উমার)। তাকে দারাকুতনী দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। ইবনু হিব্বান বলেছেনঃ তিনি আসেম হতে এমন কিছু বর্ণনা করেছেন যা তার হাদীস নয়। হাকিম হাদীসটির সনদ সম্পর্কে বলেছেনঃ সনদটি সহীহ। যাহাবী তার প্রতিবাদ করে বলেছেনঃ বরং দুর্বল।

মুয়াবিয়া এককভাবে (তাকেও দুর্বল বলা হয়েছে) ইবনু গিয়াস হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি একেবারেই দুর্বল। উকায়লী ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে মওকুফ হিসাবেও বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেনঃ মওকুফই উত্তম।

আমি (আলবানী) বলছিঃ মওকুফ হিসাবেও সহীহ নয়।

দ্বিতীয় সূত্র; তাতে রয়েছেন হাফস ইবনু উমার উবুল্লি। তিনি মিথ্যুক।

তৃতীয় সূত্র; তাতে রয়েছেন তালীদ। ইবনু মাঈন বলেনঃ তিনি মিথ্যুক, উসমানকে (রাঃ) গালী দিতেন। আবু দাউদ বলেনঃ তিনি রাফেয়ী, আবু বাকর ও উমারকে (রাঃ) গালী দিতেন। অন্য ভাষায় বলেছেনঃ তিনি খাবীস।

إن فاطمة حصنت فرجها فحرم الله ذريتها على النار ضعيف جدا - أخرجه الطبراني (1 / 257 / 1) والعقيلي في " الضعفاء " (ص 286) وابن عدي في " الكامل " (ق 249 / 1) وابن شاهين في " فضائل فاطمة " (ورقة 3 وجه 1) وتمام في " الفوائد " (61 / 2) وابن منده في " المعرفة " (2 / 293 / 1) وابن عساكر (5 / 23 / 1، 17 / 386 / 1) عن معاوية بن هشام، حدثنا عمر ابن غياث الحضرمي عن عاصم بن أبي النجود عن زر بن حبيش عن عبد الله بن مسعود مرفوعا، ثم رواه ابن شاهين، وكذا أبو القاسم المهراني في " الفوائد المنتخبة " (2 / 11 / 2) من طريق حفص بن عمر الأبلي، حدثنا عبد الملك بن الوليد بن معدان، وسلام بن سليم القاري عن عاصم به وابن شاهين أيضا من طريق محمد بن عبيد بن عتبة، حدثنا محمد بن إسحاق البلخي حدثنا تليد عن عاصم به قلت: فهذه طرق ثلاث عن عاصم، وهي ضعيفة جدا، وبعضها أشد ضعفا من بعض ففي الطريق الأولى عمر بن غياث، قال العقيلي قال البخاري: في حديثه نظر، قال العقيلي: والحديث هو هذا، وقال البخاري في " التاريخ الصغير " (ص 214) ولم يذكر سماعا من عاصم، معضل الحديث، واتهمه ابن حبان فقال: يروي عن عاصم ما ليس من حديثه، وقال ابن أبي حاتم في " الجرح والتعديل " (3 / 1 / 128) عن أبيه: هو منكر الحديث، والراوي عنه معاوية بن هشام فيه ضعف، لكن الحمل فيه على شيخه عمر، ومن هذه الطرق برواية ابن عدي أورده ابن الجوزي في " الموضوعات " وقال: مداره على عمرو بن غياث ويقال فيه عمر، وقد ضعفه الدارقطني، وقال ابن حبان: عمرو يروي عن عاصم ما ليس من حديثه، ولعله سمعه في اختلاط عاصم، ثم إن ثبت الحديث فهو محمول على أولادها فقط، وبذلك فسره محمد بن علي بن موسى الرضى فقال: هو خاص بالحسن والحسين قلت: ومن هذا الوجه أخرجه الحاكم (3 / 152) وأبو نعيم (4 / 188) وقال: هذا حديث غريب تفرد به معاوية، وأما الحاكم فقال: صحيح الإسناد، ورده الذهبي بقوله قلت: بل ضعيف، تفرد به معاوية، وقد ضعف عن ابن غياث، وهو واه بمرة قلت: ورواه العقيلي أيضا من طريق آخر عن معاوية بن هشام به، إلا أنه أوقفه على ابن مسعود، وقال العقيلي: والموقوف أولى قلت: ولا يصح لا موقوفا ولا مرفوعا وأما الطريق الثاني، ففيه حفص بن عمر الأبلي وهو كذاب وأما الطريق الثالث، ففيه تليد، قال ابن معين: كذاب يشتم عثمان، وقال أبو داود: رافضي يشتم أبا بكر وعمر، وفي لفظ " خبيث "، فتبين أن هذه الطرق واهية لا تزيد الحديث إلا وهنا، وقد روى أبو نعيم في " أخبار أصبهان " (2 / 206 - 207) بسند فيه نظر عن ابن الرضا أنه سئل عن هذا الحديث فقال: خاص للحسن والحسين وذكره العقيلي من قول أبي كريب أحد رواته عن ابن هشام، وزاد ولمن أطاع الله منهم، وهذا تأويل جيد لوصح الحديث، وقد ذكر له السيوطي شاهدا من حديث ابن عباس، وهو عندي شاهد قاصر، لأنه أخص منه، على أن إسناده ضعيف، وهو (الأتي)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ