৩৮১২

পরিচ্ছেদঃ তওবার বিবরণ

(৩৮১২) যির ইবনে হুবাইশ (রহঃ) বলেন যে, আমি মোজার উপর মাসাহ করার মসলা জিজ্ঞাসা করার জন্য সাফওয়ান ইবনে আস্সালের নিকট গেলাম। তিনি বললেন, ’হে যির্র! তোমার আগমনের উদ্দেশ্য কী?’ আমি বললাম, ’জ্ঞান অন্বেষণ।’ তিনি বললেন, ’নিশ্চয় ফিরিশতামণ্ডলী ঐ অন্বেষণের প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে বিদ্যার্থীর জন্য নিজেদের ডানা বিছিয়ে দেন।’

অতঃপর আমি বললাম, ’পেশাব-পায়খানার পর মোজার উপর মাসাহ করার ব্যাপারে আমার মনে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে। যেহেতু আপনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর একজন সাহাবী, তাই আপনার নিকট জানতে এলাম যে, আপনি এ ব্যাপারে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে কিছু আলোচনা করতে শুনেছেন কি না?’ তিনি বললেন, ’হ্যাঁ! যখন আমরা বিদেশ সফরে বের হতাম, তখন তিনি আমাদেরকে (সফরে) তিনদিন ও তিন রাত মোজা না খোলার আদেশ দিতেন (অর্থাৎ আমরা যেন এই সময়সীমা পর্যন্ত মাসাহ করতে থাকি), কিন্তু বড় অপবিত্রতা (সঙ্গম, বীর্যপাত ইত্যাদি) হেতু অপবিত্র হলে (মোজা খুলতে হবে)। কিন্তু পেশাব-পায়খানা ও ঘুম থেকে উঠলে নয়। (এ সবের পর রীতিমত মাসাহ করা জায়েয)।’ আমি বললাম, ’আপনি কি তাঁকে ভালবাসা সম্পর্কে কিছু আলোচনা করতে শুনেছেন?’ তিনি বললেন, ’হ্যাঁ। আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে সফরে ছিলাম। আমরা তাঁর সঙ্গে বসেছিলাম, এমন সময় এক বেদুঈন অতি উঁচু গলায় ডাক দিল, ’’হে মুহাম্মাদ!’’

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও তাকে উঁচু আওয়াজে জবাব দিলেন, এখানে এস!’’ আমি (যির) তাকে বললাম, ’’আরে তুমি নিজের আওয়াজ নীচু কর! কেননা, তুমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আছ। তাঁর নিকট এ রকম উঁচু গলায় কথা বলা তোমার (বরং সকলের) জন্য নিষিদ্ধ।’’ সে (বেদুঈন) বলল, ’’আল্লাহর কসম! আমি তো আস্তে কথা বলবই না। বেদুঈন বলল, কোন ব্যক্তি কিছু লোককে ভালবাসে; কিন্তু সে তাদের (মর্যদায়) পৌঁছতে পারেনি? (এ ব্যাপারে আপনার মন্তব্য কি?)। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যুত্তরে বললেন, ’’মানুষ কিয়ামতের দিন ঐ লোকদের সঙ্গে থাকবে, যাদেরকে সে ভালবাসবে।’’ পুনরায় তিনি আমাদের সাথে কথাবার্তা বলতে থাকলেন।

এমনকি তিনি পশ্চিম দিকের একটি দরজার কথা উল্লেখ করলেন, যার প্রস্থের দূরত্ব ৪০ কিংবা ৭০ বছরের পথ অথবা তিনি বললেন, ওর প্রস্থে একজন আরোহী ৪০ কিংবা ৭০ বছর চলতে থাকবে। (সুফয়ান এই হাদীসের একজন বর্ণনাকারী বলেন যে, এই দরজা সিরিয়ার দিকে অবস্থিত।) আল্লাহ তাআলা এই দরজাটি আসমান-যমীন সৃষ্টি করার দিন সৃষ্টি করেছেন এবং সেই সময় থেকে তা তওবার জন্য খোলা রয়েছে। পশ্চিমদিক থেকে সূর্য না উঠা পর্যন্ত এটা বন্ধ হবে না।

وعن زِرِّ بن حُبَيْشٍ قَالَ : أَتَيْتُ صَفْوَانَ بْنَ عَسَّالٍ أسْألُهُ عَن الْمَسْحِ عَلَى الخُفَّيْنِ فَقالَ : ما جاءَ بكَ يَا زِرُّ ؟ فقُلْتُ : ابتِغَاء العِلْمِ فقالَ : إنَّ المَلائكَةَ تَضَعُ أجْنِحَتَهَا لطَالبِ العِلْمِ رِضًى بِمَا يطْلُبُ فقلتُ : إنَّهُ قَدْ حَكَّ في صَدْري المَسْحُ عَلَى الخُفَّينِ بَعْدَ الغَائِطِ والبَولِ وكُنْتَ امْرَءاً مِنْ أَصْحَابِ النَّبيِّ ﷺ فَجئتُ أَسْأَلُكَ هَلْ سَمِعْتَهُ يَذكُرُ في ذلِكَ شَيئاً ؟ قَالَ : نَعَمْ كَانَ يَأْمُرُنا إِذَا كُنَّا سَفراً أَوْ مُسَافِرينَ - أنْ لا نَنْزعَ خِفَافَنَا ثَلاثَةَ أَيَّامٍ وَلَيالِيهنَّ إلاَّ مِنْ جَنَابَةٍ لكنْ مِنْ غَائطٍ وَبَولٍ ونَوْمٍ فقُلْتُ : هَلْ سَمِعْتَهُ يَذْكرُ في إِلٰهَوَى شَيئاً ؟ قَالَ : نَعَمْ كُنّا مَعَ رسولِ اللهِ ﷺ في سَفَرٍ فبَيْنَا نَحْنُ عِندَهُ إِذْ نَادَاه أَعرابيٌّ بصَوْتٍ لَهُ جَهْوَرِيٍّ : يَا مُحَمَّدُ فأجابهُ رسولُ الله ﷺنَحْواً مِنْ صَوْتِه هَاؤُمْ فقُلْتُ لَهُ : وَيْحَكَ اغْضُضْ مِنْ صَوتِكَ فَإِنَّكَ عِنْدَ النَّبي ﷺ وَقَدْ نُهِيتَ عَنْ هذَا فقالَ : والله لاَ أغْضُضُ قَالَ الأعرَابيُّ : المَرْءُ يُحبُّ القَوْمَ وَلَمَّا يلْحَقْ بِهِمْ ؟ قَالَ النَّبيُّ ﷺالمَرْءُ مَعَ مَنْ أَحَبَّ يَومَ القِيَامَةِ فَمَا زَالَ يُحَدِّثُنَا حَتّٰـى ذَكَرَ بَاباً مِنَ المَغْرِبِ مَسيرَةُ عَرْضِهِ أَوْ يَسِيرُ الرَّاكبُ في عَرْضِهِ أرْبَعينَ أَوْ سَبعينَ عاماً قَالَ سُفْيانُ أَحدُ الرُّواةِ : قِبَلَ الشَّامِ خَلَقَهُ الله تَعَالٰـى يَوْمَ خَلَقَ السَّمَاواتِ والأَرْضَ مَفْتوحاً للتَّوْبَةِ لا يُغْلَقُ حَتّٰـى تَطْلُعَ الشَّمْسُ مِنْهُ رواه الترمذي وغيره، وَقالَ حديث حسن صحيح


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ যির ইবন হুবায়শ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ