৩৭৯৪

পরিচ্ছেদঃ ঝাড়ফুঁক ও তাবীয সংক্রান্ত হাদীস

(৩৭৯৪) ইবনে মসঊদ (রাঃ) এর পত্নী যয়নাব (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, ’’এক বুড়ি আমাদের বাড়ি আসা-যাওয়া করত এবং সে বাতবিসর্পরোগে ঝাড়-ফুঁক করত। আমাদের ছিল লম্বা খুরো-বিশিষ্ট খাট। (স্বামী) আব্দুল্লাহ বিন মসঊদ যখন বাড়িতে প্রবেশ করতেন, তখন গলা-সাড়া বা কোন আওয়াজ দিতেন। একদিন তিনি বাড়িতে এলেন। (এবং অভ্যাসমত বাড়ি প্রবেশের সময় গলা-সাড়া দিলেন।) বুড়ি তাঁর আওয়াজ শোনামাত্র লুকিয়ে গেল। এরপর তিনি আমার পাশে এসে বসলেন। তিনি আমার দেহ স্পর্শ করলে (গলায় ঝুলানো মন্ত্র-পড়া) সুতো তাঁর হাতে পড়ল। তিনি বলে উঠলেন, ’এটা কি?’ আমি বললাম, ’সুতো-পড়া; বাতবিসর্পরোগের জন্য ওতে মন্ত্র পড়া হয়েছে।’ একথা শুনে তিনি তা টেনে ছিঁড়ে ফেলে দিলেন এবং বললেন, ’ইবনে মসঊদের বংশধর তো শিরক থেকে মুক্ত। আমি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি যে, ’’নিশ্চয়ই মন্ত্র-তন্ত্র, তাবীয-কবচ এবং যোগ-যাদু ব্যবহার করা শিরক।’’

যয়নাব (রাঃ) বলেন, আমি বললাম, ’কিন্তু একদা আমি বাইরে বের হলাম। হঠাৎ করে আমাকে অমুক লোক দেখে নিল। অতঃপর আমার যে চোখটা ঐ লোকটির দিকে ছিল সেই চোখটায় পানি ঝরতে লাগল। এরপর যখনই আমি ঐ চোখে মন্ত্র পড়াই, তখনই পানি ঝরা বন্ধ হয়ে যায়। আর যখনই না পড়াই, তখনই পানি ঝরতে শুরু করে। (অতএব বুঝা গেল যে, মন্ত্রের প্রভাব আছে।)’

ইবনে মসঊদ (রাঃ) বললেন, ’’ওটা তো শয়তানের কারসাজি। যখন তুমি (মন্ত্র পড়িয়ে) ওর আনুগত্য কর, তখন সে ছেড়ে দেয় (এবং তোমার চোখে পানি আসে না)। আর যখনই তুমি তার আনুগত্য কর না, তখনই সে নিজ আঙ্গুল দ্বারা তোমার চোখে খোঁচা মারে (এবং তার ফলে তাতে পানি আসে; যাতে তুমি মন্ত্রকে বিশ্বাস কর এবং শির্কে লিপ্ত হয়ে পড়)। তবে যদি তুমি সেই কাজ করতে, যা আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম করেছেন, তাহলে তা তোমার জন্য উত্তম ও মঙ্গল হত এবং অধিকরূপে আরোগ্য লাভ করতে। আর তা এই যে, চোখে পানি ছিটাতে এবং বলতে,

أَذْهِبِ الْبَأْسَ رَبَّ النَّاسِ اِشْفِ أَنْتَ الشَّافِـيْ لَا شِفَاءَ إِلاَّ شِفَاؤُكَ شِفَاءً لَّا يُغَادِرُ سَقَمًا

উচ্চারণ: আযহিবিল বা’সা রব্বান-নাসি ইশফি আন্তাশ্ শাফী লা- শিফায়া ইল্লা শিফাউক শিফায়াল্ লাইউগদিরু সাক্বমা।

عَنِ ابْنِ أُخْتِ زَيْنَبَ امْرَأَةِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ زَيْنَبَ قَالَتْ: كَانَتْ عَجُوزٌ تَدْخُلُ عَلَيْنَا تَرْقِي مِنَ الْحُمْرَةِ، وَكَانَ لَنَا سَرِيرٌ طَوِيلُ الْقَوَائِمِ، وَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ إِذَا دَخَلَ تَنَحْنَحَ وَصَوَّتَ، فَدَخَلَ يَوْمًا فَلَمَّا سَمِعَتْ صَوْتَهُ احْتَجَبَتْ مِنْهُ، فَجَاءَ فَجَلَسَ إِلَى جَانِبِي فَمَسَّنِي فَوَجَدَ مَسَّ خَيْطٍ فَقَالَ: مَا هَذَا؟ فَقُلْتُ: رُقًى لِي فِيهِ مِنَ الْحُمْرَةِ فَجَذَبَهُ وَقَطَعَهُ فَرَمَى بِهِ وَقَالَ: لَقَدْ أَصْبَحَ آلُ عَبْدِ اللَّهِ أَغْنِيَاءَ عَنِ الشِّرْكِ، سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: إِنَّ الرُّقٰـى، وَالتَّمَائِمَ، وَالتِّوَلَةَ شِرْكٌ» ، قُلْتُ: فَإِنِّي خَرَجْتُ يَوْمًا فَأَبْصَرَنِي فُلَانٌ، فَدَمَعَتْ عَيْنِي الَّتِي تَلِيهِ، فَإِذَا رَقَيْتُهَا سَكَنَتْ دَمْعَتُهَا، وَإِذَا تَرَكْتُهَا دَمَعَتْ، قَالَ: ذَاكِ الشَّيْطَانُ، إِذَا أَطَعْتِهِ تَرَكَكِ، وَإِذَا عَصَيْتِهِ طَعَنَ بِإِصْبَعِهِ فِي عَيْنِكِ، وَلَكِنْ لَوْ فَعَلْتِ كَمَا فَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ خَيْرًا لَكِ، وَأَجْدَرَ أَنْ تُشْفَيْنَ تَنْضَحِينَ فِي عَيْنِكِ الْمَاءَ وَتَقُولِينَ: «أَذْهِبِ الْبَاسْ رَبَّ النَّاسْ، اشْفِ أَنْتَ الشَّافِي لَا شِفَاءَ إِلَّا شِفَاؤُكَ شِفَاءً لَا يُغَادِرُ سَقَمًا


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ যায়নাব (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ