৩৬৮১

পরিচ্ছেদঃ যিকর তথা আল্লাহকে স্মরণ করার ফযীলত ও তার প্রতি উৎসাহ দান

(৩৬৮১) হারেস আশআরী কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’আল্লাহ সুবহানাহু অতাআলা য়্যাহয়্যা বিন যাকারিয়া আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে পাঁচটি বাক্য দিয়ে তার উপর আমল করতে এবং বানী ইস্রাঈলকে আমল করতে আদেশ দিতে বললেন। অতঃপর তিনি সে ব্যাপারে প্রায় দেরী করে ফেলেছিলেন। সুতরাং ঈসা (আঃ) তাঁকে বললেন, ’আল্লাহ তাআলা আপনাকে পাঁচটি বাক্য দিয়ে তার উপর আমল করতে এবং বানী ইস্রাঈলকে আমল করতে আদেশ দিতে বলেছেন। অতএব আপনি কি তাদেরকে আদেশ করবেন, নাকি আমি তাদেরকে আদেশ করব?’ য়্যাহয়্যা বললেন, ’আমার ভয় হয়, আপনি আমার আগে বললে আমাকে মাটিতে ধসিয়ে দেওয়া হবে এবং শাস্তি দেওয়া হবে।’ সুতরাং য়্যাহয়্যা বায়তুল মাক্বদিসে লোকেদেরকে জমা করলেন। মসজিদ ভরে গেলে লোকেরা উঁচু জায়গাতেও বসল।

অতঃপর তিনি বললেন, ’আল্লাহ তাআলা আমাকে পাঁচটি বাক্য দিয়ে তার উপর আমল করতে এবং তোমাদেরকে আমল করতে আদেশ দিতে বলেছেন।’ উক্ত বাক্যাবলীর পঞ্চম বাক্য ছিল, ’’আমি তোমাদেরকে আদেশ দিচ্ছি যে, তোমরা আল্লাহর যিকর কর। যেহেতু এর উপমা হল সেই ব্যক্তির মতো, যার পশ্চাতে শত্রু ত্রস্তপদে ধাওয়া করেছে। পরিশেষে একটি দুর্ভেদ্য দুর্গে এসে নিজেকে তাদের হাত হতে রক্ষা করেছে। অনুরূপই আল্লাহর যিকর ছাড়া বান্দা নিজেকে শয়তান থেকে রক্ষা করতে পারে না।’’ (আহমাদ ১৭৩০২, তিরমিযী ২৮৬৩, নাসাঈর কুবরা ৮৮১৫, সহীহুল জামে’ হা/ ১৭২৪)

উক্ত হাদীসেই আছে, ’’আর আল্লাহ তোমাদেরকে আদেশ করেছেন নামাযের। সুতরাং যখন তোমরা নামায পড়বে, তখন অন্যমনস্ক হয়ো না। যেহেতু আল্লাহ নিজের চেহারা নামাযে নিজ বান্দার চেহারার সাথে স্থির রাখেন, যতক্ষণ সে অন্যমনস্ক হয় না।’’

وَعَن الْحَارِثِ الأَشْعَرِيِّ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: إِنَّ اللهَ أَمَرَ يَحْيَى بْنَ زَكَرِيَّا بِخَمْسِ كَلِمَاتٍ أَنْ يَعْمَلَ بِهَا وَيَأْمُرَ بَنِي إِسْرَائِيلَ أَنْ يَعْمَلُوا بِهَا وَإِنَّهُ كَادَ أَنْ يُبْطِئَ بِهَا فَقَالَ عِيسَى : إِنَّ اللهَ أَمَرَكَ بِخَمْسِ كَلِمَاتٍ لِتَعْمَلَ بِهَا وَتَأْمُرَ بَنِي إِسْرَائِيلَ أَنْ يَعْمَلُوا بِهَا فَإِمَّا أَنْ تَأْمُرَهُمْ وَإِمَّا أَنَا آمُرُهُمْ فَقَالَ يَحْيَى : أَخْشَى إِنْ سَبَقْتَنِي بِهَا أَنْ يُخْسَفَ بِي أَوْ أُعَذَّبَ فَجَمَعَ النَّاسَ فِي بَيْتِ الْمَقْدِسِ فَامْتَلأَ الْمَسْجِدُ وَقَعَدُوا عَلَى الشُّرَفِ فَقَالَ : إِنَّ اللهَ أَمَرَنِي بِخَمْسِ كَلِمَاتٍ أَنْ أَعْمَلَ بِهِنَّ وَآمُرَكُمْ أَنْ تَعْمَلُوا بِهِنَّ وَآمُرُكُمْ أَنْ تَذْكُرُوا اللهَ فَإِنَّ مَثَلَ ذٰلِكَ كَمَثَلِ رَجُلٍ خَرَجَ الْعَدُوُّ فِي أَثَرِهِ سِرَاعًا حَتّٰـى إِذَا أَتَى عَلَى حِصْنٍ حَصِينٍ فَأَحْرَزَ نَفْسَهُ مِنْهُمْ كَذٰلِكَ الْعَبْدُ لاَ يُحْرِزُ نَفْسَهُ مِنَ الشَّيْطَانِ إِلاَّ بِذِكْرِ اللهِ وَإِنَّ اللهَ أَمَرَكُمْ بِالصَّلاَةِ فَإِذَا صَلَّيْتُمْ فَلاَ تَلْتَفِتُوا فَإِنَّ اللهَ يَنْصِبُ وَجْهَهُ لِوَجْهِ عَبْدِهِ فِي صَلاَتِهِ مَا لَمْ يَلْتَفِتْ


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ হারিস আশআরী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ