১৫৬

পরিচ্ছেদঃ

১৫৬। ইবনুল আব্বাস বলেন, একদিন উমার (রাঃ) ভাষণ দিলেন। প্রথমে আল্লাহর প্রশংসা করলেন, অতঃপর রজমের (ব্যভিচারীকে পাথর মেরে হত্যা করা) প্রসঙ্গ তুললেন। তিনি বললেনঃ তোমরা রজম সম্পর্কে কারো দ্বারা প্রতারিত হয়ো না। কেননা ওটা আল্লাহর নির্ধারিত দণ্ডসমূহের একটি। জেনে রাখ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রজম করেছেন, তারপরে আমরাও রজম করেছি। যদি এ আশঙ্কা না থাকতো যে, লোকেরা বলবে, উমার আল্লাহর কিতাবে এমন জিনিস সংযোজন করেছে, যা কিতাবের অংশ নয়, তাহলে আমি কুরআনের ভেতরে এক পাশে লিখে দিতাম, “উমার ইবনুল খাত্তাব সাক্ষ্য দিয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রজম করেছেন এবং তারপর আমরাও রজম করেছি”। জেনে রাখ, তোমাদের পরে এমন এক গোষ্ঠীর আবির্ভাব ঘটবে, যারা রজম, দাজ্জাল, শাফায়াত ও কবরের আযাব অস্বীকার করবে এবং এমন এক গোষ্ঠীর কথাও অস্বীকার করবে যারা জাহান্নামে আযাব ভোগ করার পর আবার তা থেকে বেরিয়ে আসবে।

[মুসনাদ আহমাদ-১৯৭, ৩৩২, ৩৯১]

حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أخبرنا عَلِيُّ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ يُوسُفَ بْنِ مِهْرَانَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: خَطَبَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ - وَقَالَ هُشَيْمٌ مَرَّةً: خَطَبَنَا - فَحَمِدَ اللهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ، فَذَكَرَ الرَّجْمَ، فَقَالَ: لَا تُخْدَعُنَّ عَنْهُ، فَإِنَّهُ حَدٌّ مِنْ حُدُودِ اللهِ، أَلا إِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ رَجَمَ، وَرَجَمْنَا بَعْدَهُ، وَلَوْلا أَنْ يَقُولَ قَائِلُونَ: زَادَ عُمَرُ فِي كِتَابِ اللهِ عز وجل مَا لَيْسَ مِنْهُ، لَكَتَبْتُهُ فِي نَاحِيَةٍ مِنَ الْمُصْحَفِ، شَهِدَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ - وَقَالَ هُشَيْمٌ مَرَّةً: وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ وَفُلانٌ وَفُلانٌ - أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ رَجَمَ وَرَجَمْنَا مِنْ بَعْدِهِ، أَلا وَإِنَّهُ سَيَكُونُ مِنْ بَعْدِكُمْ قَوْمٌ يُكَذِّبُونَ بِالرَّجْمِ، وَبِالدَّجَّالِ، وَبِالشَّفَاعَةِ، وَبِعَذَابِ الْقَبْرِ، وَبِقَوْمٍ يُخْرَجُونَ مِنَ النَّارِ بَعْدَمَا امْتَحَشُوا إسناده ضعيف لضعف علي بن زيد - وهو ابنُ جُدعان -، ويوسف بن مهران لين وأخرجه الطيالسي (25) عن حماد بن زيد، وعبد الرزاق (13364) عن معمر، وأبو يعلى (146) من طريق حماد بن سلمة، ثلاثتهم عن علي بن زيد بن جدعان، بهذا الإسناد، وانظر لزاماً الحديث رقم (197) و (391) قوله: " امتحشوا "، أي: احترقوا، والمَحْشُ: احتراق الجلد وظهورُ العظم