২৯৮৮

পরিচ্ছেদঃ ৪১. কাফিরদের ধনভর্তি পুরাতন কবর খোঁড়া

২৯৮৮। ইবনু আ’বুদা (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আলী (রাঃ) আমাকে বললেন, আমি কি তোমাকে আমার ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কন্যা ফাতিমাহর পক্ষ থেকে হাদীস বর্ণনা করবো না? আমি বললাম, হ্যাঁ, বলুন। তিনি বললেন, তাঁর পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ফাতিমাহ (রাঃ)-ই ছিলো তাঁর নিকট সর্বাপেক্ষা আদরের। (অথচ) যাঁতা ঘুরানোর কারণে ফাতিমার হাতে ফোসকা পড়ে গেছে এবং কলসে করে পানি টানার কারণে তার কাঁধে দাগ পড়ে এবং ঘরে ঝাড়ু দেয়ার কারণে তার পরনের কাপড় নোংরা হয়ে যেতো।

এক সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে কিছু সংখ্যক খাদেম আসলে আমি ফাতিমাহকে বলি, তুমি তোমার পিতার কাছে গিয়ে একটি খাদেম চেয়ে নাও! সেখানে গিয়ে তাঁর কাছে লোকেরা বসে কথা বলছে দেখে ফাতিমাহ ফিরে আসলো। পরদিন সকালে তিনি ফাতিমার ঘরে এসে জিজ্ঞেস করলেনঃ তুমি আমার কাছে কি দরকারে গিয়েছিলে? ফাতিমাহ চুপ রইলো।

আমি (আলী) বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমি বলছি। যাঁতা পিষতে পিষতে তার হাতে ফোসকা পড়ে গেছে, এবং কলসে করে পানি টানার কারণে তার কাঁধে দাগ পড়ে গেছে। আপনার নিকট কিছু সংখ্য খাদেম আসলে আমি তাকে নির্দেশ করি যেন, আপনার কাছে গিয়ে খাদেম চেয়ে নেয়। যাতে তার কষ্ট কিছুটা লাঘব হয়।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হে ফাতিমাহ! আল্লাহকে ভয় করো, তোমার রবের নির্ধারিত ফরয আদায় করো এবং নিজের ঘরের কাজ নিজেই করো। আর যখন তুমি বিছানায় ঘুমাতে যাবে তখন ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদু লিল্লাহ এবং ৩৪ বার আল্লাহু আকবার পাঠ করবে। এভাবে একশো পূর্ণ হবে। এটা তোমার জন্য খাদেমের চেয়েও উত্তম। ফাতিমাহ (রাঃ) বললেন, আমি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি সন্তুষ্ট।[1]

بَابُ نَبْشِ الْقُبُورِ الْعَادِيَّةِ يَكُونُ فِيهَا الْمَالُ

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ خَلَفٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْأَعْلَى، عَنْ سَعِيدٍ يَعْنِي الْجُرَيرِيَّ، عَنْ أَبِي الْوَرْدِ، عَنِ ابْنِ أَعْبُدَ، قَالَ: قَالَ لِي عَلِيٌّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: أَلَا أُحَدِّثُكَ عَنِّي، وَعَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَانَتْ مِنْ أَحَبِّ أَهْلِهِ إِلَيْهِ؟ قُلْتُ: بَلَى، قَالَ: إِنَّهَا جَرَّتْ بِالرَّحَى حَتَّى أَثَّرَ فِي يَدِهَا، وَاسْتَقَتْ بِالْقِرْبَةِ حَتَّى أَثَّرَ فِي نَحْرِهَا، وَكَنَسَتِ الْبَيْتَ حَتَّى اغْبَرَّتْ ثِيَابُهَا، فَأَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَدَمٌ، فَقُلْتُ: لَوْ أَتَيْتِ أَبَاكِ فَسَأَلْتِيهِ خَادِمًا، فَأَتَتْهُ فَوَجَدَتْ عِنْدَهُ حُدَّاثًا فَرَجَعَتْ، فَأَتَاهَا مِنَ الْغَدِ، فَقَالَ: مَا كَانَ حَاجَتُكِ؟ فَسَكَتَتْ، فَقُلْتُ: أَنَا أُحَدِّثُكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، جَرَّتْ بِالرَّحَى حَتَّى أَثَّرَتْ فِي يَدِهَا، وَحَمَلَتْ بِالْقِرْبَةِ حَتَّى أَثَّرَتْ فِي نَحْرِهَا، فَلَمَّا أَنْ جَاءَكَ الْخَدَمُ أَمَرْتُهَا أَنْ تَأْتِيَكَ فَتَسْتَخْدِمَكَ خَادِمًا يَقِيهَا حَرَّ مَا هِيَ فِيهِ، قَالَ: اتَّقِي اللَّهَ يَا فَاطِمَةُ، وَأَدِّي فَرِيضَةَ رَبِّكِ، وَاعْمَلِي عَمَلَ أَهْلِكِ، فَإِذَا أَخَذْتِ مَضْجَعَكِ فَسَبِّحِي ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ، وَاحْمَدِي ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ، وَكَبِّرِي أَرْبَعًا وَثَلَاثِينَ، فَتِلْكَ مِائَةٌ، فَهِيَ خَيْرٌ لَكِ مِنْ خَادِمٍ قَالَتْ: رَضِيتُ عَنِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، وَعَنْ رَسُولِهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ضعيف