২৩৪১

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ক্ষমা ও তাওবাহ্

২৩৪১-[১৯] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্রত্যেক আদম সন্তানই পাপী। আর উত্তম পাপী হলো সে ব্যক্তি যে (গুনাহ করে) তওবা্ করে। (তিরমিযী, ইবনু মাজাহ, দারিমী)[1]

وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كُلُّ بَنِي آدَمَ خَطَّاءٌ وَخَيْرُ الْخَطَّائِينَ التَّوَّابُونَ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ والدارمي

ব্যাখ্যা: ইমাম সিন্দী (রহঃ) বলেন, الخطأ দ্বারা ইচ্ছাকৃত অবাধ্যতা উদ্দেশ্য এবং الخطأ যেহেতু الصواب তথা সঠিকতার বিপরীত সে হিসেবে সাধারণভাবে الخطأ দ্বারা অনিচ্ছাকৃত গুনাহ।

কারী বলেন, كل শব্দের দিকে দৃষ্টি দিয়ে خطاء শব্দটি একবচন নেয়া হয়েছে। এক বর্ণনাতে خطاؤن বহুবচন আছে সেখানে كل শব্দের অর্থের দিকে লক্ষ্য করে خطاؤن শব্দটি বহুবচন নেয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে নাবীদের বিষয়টি স্বতন্ত্র বা আলাদা অথবা তারা সগীরাহ্ গুনাহের অধিকারী তবে প্রথমটি উত্তম। অথবা নাবীদের বিষয়গুলোকে পদস্খলন বলা যেতে পারে, অর্থাৎ- যাতে তাদের কোন ইচ্ছা ছিল না। একমতে বলা হয়েছে, كل بنى ادم خطاء এর অর্থ হল তাদের অধিকাংশ অধিক ভুলকারী।

(وَخَيْرُ الْخَطَّائِينَ التَّوَّابُونَ) অর্থাৎ- যারা তাওবার মাধ্যমে আল্লাহর দিকে অধিক প্রত্যাবর্তনশীল তথা অবাধ্যতা থেকে আনুগত্যের দিকে প্রত্যাবর্তনশীল। এর সমর্থনে আল্লাহর বাণী, অর্থাৎ- ‘‘নিশ্চয়ই আল্লাহ অধিক তাওবাহকারীদের ভালবাসেন’’- (সূরা আল বাকারাহ্ ২ : ২২২)। অর্থাৎ- যারা সগীরাহ্ গুনাহে স্থায়ী হয় না, কেননা সগীরাহ্ গুনাহে স্থায়িত্ব সগীরাহ্ গুনাহকে কাবীরাহ্ গুনাহে পরিণত করে।