২৩০৪

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - তাসবীহ (সুবহা-নাল্ল-হ), তাহমীদ (আল হাম্‌দুলিল্লা-হ), তাহলীল (লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ) ও তাকবীর (আল্ল-হু আকবার)- বলার সাওয়াব

২৩০৪-[১১] জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ’’সুবহা-নাল্ল-হিল ’আযীম ওয়া বিহামদিহী’’ (অর্থাৎ- মহান আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করি তাঁর প্রশংসার সাথে) পড়বে, তার জন্য জান্নাতে একটি খেজুর গাছ রোপণ করা হবে। (তিরমিযী)[1]

عَنْ جَابِرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ قَالَ سُبْحَانَ اللَّهِ الْعَظِيمِ وَبِحَمْدِهِ غُرِسَتْ لَهُ نَخْلَةٌ فِي الْجَنَّةِ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ

ব্যাখ্যা: (نَخْلَةٌ) অর্থাৎ- প্রত্যেকবার বলার কারণে একটি করে খেজুর বৃক্ষ লাগানো হয়। নাসায়ীর বর্ণনাতে খেজুর বৃক্ষের পরিবর্তে বৃক্ষের উল্লেখ এসেছে, তবে এ সাধারণ বর্ণনাটিকে খেজুর বৃক্ষের নির্দিষ্ট বর্ণনার উপর চাপিয়ে দিতে হবে। ফলে এ ক্ষেত্রে জান্নাতের রোপণ করা বৃক্ষটি খেজুর বৃক্ষ হিসেবে সাব্যস্ত হবে।

(فِى الْجَنَّةِ) যা উল্লেখিত জিকির পাঠকারীর জন্য প্রস্ত্তত থাকবে। উদ্ধৃত অংশ থেকে বুঝা যাচ্ছে নিশ্চয়ই খেজুর জান্নাতী ফলসমূহের অন্তর্ভুক্ত। যেমন আল্লাহ বলেন, ‘‘উদ্যানদ্বয়ে থাকবে ফল-মূল, খেজুর ও আনার’’- (সূরা আর্ রহমান ৫৫ : ৬৮)। এখানে খেজুরকে নির্দিষ্ট করা হয়েছে অধিক উপকার, উত্তম স্বাদ এবং এর প্রতি ‘আরববাসীদের ঝোঁক থাকার কারণে। বিদ্বানগণ আরো বলেছেন, এখানে কেবল খেজুর বৃক্ষকে নির্দিষ্ট করা হয়েছে, কেননা তা সর্বাধিক উপরকারী ও উত্তম বৃক্ষ। আর এ কারণেই আল্লাহ মু’মিন এবং তার ঈমানের দৃষ্টান্ত খেজুর বৃক্ষ ও তার ফল দ্বারা দিয়েছেন। যেমন আল্লাহ বলেন, ‘‘আপনি লক্ষ্য করেননি কিভাবে আল্লাহ একটি উত্তম বাণীর দৃষ্টান্ত দিয়েছেন’’- (সূরা ইব্রাহীম ১৪ : ২৪)। আর তা হল একত্ববাদের বাণী, ‘‘যেমন উত্তম বৃক্ষ’’- (সূরা ইব্রাহীম ১৪ : ২৪)। আর তা হল খেজুর বৃক্ষ।